‘জলের চাঁদ’
2020-11-10 08:31:39
‘জলের চাঁদ’_fororder_810a19d8bc3eb13581df761aae1ea8d3fd1f4473

বন্ধু, আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে চীনের সংখ্যালঘু জাতি মিয়াও জাতির একজন নারী কন্ঠশিল্পীর পরিচয় দিবো এবং তাঁর গান শোনাবো। তিনি হলেন আইয়ৌদুও। তাঁর আসল নাম লেই চেন ফিং। তিনি ১৯৭৭ সালের ২৯ এপ্রিল গুইচৌ প্রদেশের হুয়াংফিং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে ‘ছিয়ানদংনানের জুলাই মাস’ শীর্ষক গান। ছিয়ান হলো কুইচৌ প্রদেশের সংক্ষিপ্ত নাম। ছিয়ানদংনান মানে কুইচৌ প্রদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল। অঞ্চলটি মিয়াও জাতিঅধ্যুষিত অঞ্চল। আগে আমরা বিখ্যাত্ কন্ঠশিল্পী আদুও’র কন্ঠে গানটি শুনেছি। আশা করি, বন্ধুরা আইয়ৌদুও’র কন্ঠে গানটি পছন্দ করবেন।

বন্ধুরা, শুনছিলেন আইয়ৌদুও’র কন্ঠে ‘ছিয়ানদংনানের জুলাই মাস’ শীর্ষক গান। তিনি বেইজিং নর্মাল ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক হন। তিনি হলেন চীনের জাতীয় প্রথম পর্যায়ের অভিনেতা, কেন্দ্রীয় জাতীয় গান ও নাচ গ্রুপের সদস্য, একাদশ জাতীয় গণকংগ্রেমের সদস্য এবং গুইচৌ প্রদেশের নিরাপদ খাবার পরিকল্পনার দূত। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে ‘স্বপ্নের শৈশাবস্থা’ শীর্ষক গান। গানটি একটি মিয়াও জাতির লোকসংগীত। মিয়াও জাতির বাসিন্দারা পরিশ্রমী, দয়ালু, অতিথিপরায়ণ। ছিয়ানদংনান এলাকার শিল্প, সংস্কৃতি ও স্থাপত্য আকর্ষণীয়। এলাকাটিও একটি বিখ্যাত্ পর্যটন স্থান। চলুন, আমরা গানটি শুনবো।

বন্ধুরা, শুনছিলেন আইয়ৌদুও’র কন্ঠে ‘স্বপ্নের শৈশাবস্থা’ শীর্ষক গান। ১৯৯৯ সালে আইয়ৌদুও গুইচৌ প্রদেশের আয়োজিত যুব কন্ঠশিল্পীর প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান লাভ করেন। একই বছরে তিনি জাতীয় জাতি কমিশনের উদ্যোগে ‘নতুন যুগে জাতিগত ও লোকসঙ্গিত প্রতিযোগিতা’-র গুইচৌ এলাকার প্রথম স্থান লাভ করেন। এরপর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিনোদনজগতে প্রবেশ করেন। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে ‘জলের চাঁদ’ শীর্ষক গান। গানটি ২০১১ সালে রিলিজ হয়। গানটি প্রথম গেয়েছেন নারী কণ্ঠশিল্পী ইউন হুই। আইয়ৌদুও পুনরায় গানটি গেয়েছেন। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।

বন্ধুরা, শুনছিলেন আইয়ৌদুও’র কন্ঠে ‘জলের চাঁদ’ শীর্ষক গান। ২০০৫ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি ভিয়েনা গোল্ডেন হলে চীনা গুইচৌ’র লোকসংগীত পরিবেশন করেন। ২০০৫ সালে তিনি সিসিটিভি’র বসন্ত উত্সবের অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেন। একই বছরের মে মাসে তিনি ‘জাতীয় গ্রামীণ যুব সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব’ অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। ২০০৭ সালে তিনি নিজের অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ২০০৯ সালে তিনি দ্বিতীয় অ্যালবাম প্রকাশ করেন। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে ‘রৌদ্রে আনন্দ লাগে’ শীর্ষক গান। গানটি একটি পুরানো গান। গানটি ১৯৪২ সালে রিলিজ হয়। গানটি একটি স্যিছুয়ান প্রদেশে লোকসংগীত। আশা করি বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।

‘জলের চাঁদ’

বন্ধুরা, শুনছিলেন আইয়ৌদুও’র কন্ঠে ‘রৌদ্রে আনন্দ লাগে’ শীর্ষক গান। ২০০৯ সালে তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রে তিনি একজন সক্ষম মহিলা পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করেন। একই বছরের জুন মাসে তিনি একটি কংফু চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি পাঁচ বছর বয়সে দু’জন বড় ভাইকে হারান। এরপর তাঁর বাবাও মারা যান। তাঁর আরো তিন জন বড় বোন আছেন। তাদের বিয়ে হয়ে যায় আইয়ৌদুও’র ছোটবেলায়। তিনি বয়স্ক মা’র সঙ্গে থাকতেন। তাঁর ছোটবেলার জীবন দরিদ্র ও অনেক কঠিন ছিল। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে ‘ঘোড়াপালনের লোকগান’ শীর্ষক গান। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।

বন্ধুরা, শুনছিলেন আইয়ৌদুও’র কন্ঠে ‘ঘোড়াপালনের লোকগান’ শীর্ষক গান। ১৪ বছর বয়সে তিনি জন্মস্থানের সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ১৯৯৩ সালে তিনি বেইজিংয়ে গিয়ে একটি জাতিগত সংস্কৃতি গ্রামে একজন কন্ঠশিল্পী হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে তিনি জন্মস্থানে ফিরে একটি হোটেলের একজন ওয়েট্রিস হিসেবে কাজ করেন। এরপর তিনি বন্ধুদের সঙ্গে কুয়াংচৌ প্রদেশে গিয়ে কাজ করেন। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে ‘মালভূমি লাল’ শীর্ষক গান। গানটি একটি তিব্বতী জাতির লোকসংগীত। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।

প্রিয় শ্রোতা, এতোক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আমাদের অনুষ্ঠানে আপনারা কোনো পছন্দের গান শুনতে চান, তাহলে জানাবেন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা ben@cri.com.cn। আর আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা caiyue@cri.com.cn। 'গানের অনুরোধ' আমার নিজস্ব ই-মেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিন, একই সময়ে আবারও আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। চাই চিয়ান। (ছাই/আলিম/রুবি)