চীন ও আসিয়ানের নেতৃবৃন্দের ১২তম সম্মেলন ২৪ অক্টোবর থাইল্যান্ডের হুয়াহিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও এবং আসিয়ানের ১০টি দেশের নেতৃবৃন্দ এবারের সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। দু'পক্ষ গত এক বছরে আন্তর্জাতিক আর্থিক সংকটসহ চ্যালেঞ্জ যৌথভাবে মোকাবিলার প্রক্রিয়ার পর্যালোচনা করেছে। পাশাপাশি সার্বিকভাবে সহযোগিতা গভীর করে তোলার ব্যাপারে ব্যাপক মতৈক্যে পৌঁছেছে।
ওয়েন চিয়া পাও বলেন, আন্তর্জাতিক আর্থিক সংকটের কঠোর চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে চীন ও আসিয়ানের উচিত পারস্পরিক সহায়তা দেয়া এবং সহযোগিতা জোরদার করা। যাতে যৌথভাবে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় যৌথ উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা যায়। ২০১০ সালে সময় মতো নির্মিত চীন-আসিয়ান অবাধ বাণিজ্য এলাকা হবে দু'পক্ষের সম্পর্কের ইতিহাসে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন।
ওয়েন চিয়া পাও বলেন, একটি নিকটবর্তী প্রতিবেশী দেশ ও কৌশলগত সহযোগিতার অংশীদার হিসেবে চীন সবসময় আসিয়ানের সঙ্গে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। পরবর্তী পর্যায়ের সহযোগিতা সম্পর্কে ওয়েন চিয়া পাও ৬ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রথমতঃ চীন ও আসিয়ানের অবাধ বাণিজ্য এলাকার ভূমিকা পালন করা। দ্বিতীয়তঃ অবকাঠামো ব্যবস্থার দ্রুত স্থাপন করা। তৃতীয়তঃ কৃষি ও গ্রামীণ সহযোগিতা গভীর করে তোলা। চতুর্থতঃ টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা। পঞ্চমতঃ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় জোরদার করা। ষষ্ঠতঃ বহু-পর্যায়ের আঞ্চলিক সহযোগিতা ত্বরান্বিত করা। ---ওয়াং হাইমান
|