v চীনের বিশ্ব কোষv চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগ
২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করার আহবান
2009-09-28 20:31:00
* * * ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করার আহবান

২০২১ সালের মধ্যে বাংলদেশকে একটি মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করার জন্য সরকার বিশ্বব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেছে।বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি ১৮ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চন্লের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসাবেল গুরেরোর সাথে বৈঠকের সময় এ কথা বলেন।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার। এ বৈঠকে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়, রেলযোগাযোগ, নদীপথে যোগাযোগ, জ্বালানি, নৌ চলাচল ক্ষেত্রে সহযোগিতা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দক্ষিণ এশীয় দেশ সমূহের মধ্যে বাণিজ্য এবং এসব ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের বিনিয়োগ সম্পর্কে আলোচনা হয়।

* * * বিশ্ব মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে: শীর্ষ বিনিয়োগকারী মিসর

বিশ্ব মন্দা ও আর্থিক সংকটের কারণে ২০০৮ সালে বিশ্বে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই ) শতকরা ১৪ ভাগ কমলেও বাংলাদেশে তা বেড়েছে শতকরা ৬৩ ভাগ। ২০০৭ সালে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৬৬ কোটি ৬৩ লাখ মার্কিন ডলার। আর ২০০৮ সালে তা বেড়ে গিয়ে ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। ২০০৮ সালে বিশ্বব্যাপী প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৯৭ বিলিয়স ডলার। ২০০৭ সালে এ পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৯৭৯ বিলিয়ন ডলার। আঙ্কটাড প্রকাশিত ১৯ তম বিনিয়োগ রিপোর্টে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকায় বিনিয়োগ বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে এ রিপোর্ট উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ইসমাইল হোসেন। রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের দিক দিয়ে শীর্ষে আছে মিসর। সে দেশের দু'টি কোম্পানি বাংলাদেশে মোবাইল কোম্পানি অধিগ্রহণ করায় এফডিআই তালিকায় এক নম্বরে চলে এসেছে।

* * * বাংলাদেশের সস্তা শ্রম ও ইপিজেড ভারতীয় বিনিয়োগের জন্য বড় সুযোগ: হাই কমিশনার

বাংলাদেশের সস্তা শ্রম ও রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা(ইপিজেড) থাকায় ভারতীয় উদ্যোক্তাদের জন্য বিনিয়োগের বড় ধরনের সুযোগ রয়েছে। ইপিজেডে যৌথ বিনিয়োগে শিল্প স্থাপন করে ভারতীয় কাঁচামাল দিয়ে পণ্য উৎপাদন করে ভারতীয় বাজারে বিক্রির সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার। সম্প্রতি ঢাকায় আয়োজিত ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ এবং ভারতের ক্যাপেক্সেলের যৌথ 'পণ্য প্রদর্শন ও ক্রেতা-বিক্রেতা সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্য-ঘাটতি কমাতে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহবান জানান। তিনি বিদেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মান ও দক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন।

* * * ভারতের কয়েকটি মোবাইল কোম্পানিকে ১৩৬ কোটি রুপি জরিমানা

নয়াদিল্লি সরকার ভারতের কয়েকটি বেসরকারি মোবাইল কোম্পানিকে প্রায় ১৩৬ কোটি রুপি জরিমানা করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর নেটওয়ার্কে বিভিন্ন সময়ে ত্রুটির জন্য এ জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে টাটার মোবাইল কোম্পানিকে ৪১ কোটিরুপি, এয়ারটেলকে ৩১ কোটি এবং আরকম মোবাইলকে ১৯ কোটি ৬৫ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকম (ডিওটি) কোম্পানিগুলোকে প্রথমে ৪৭৭ কোটি রুপি জরিমানা করেছিল। কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিলে ডিওটি জরিমানার পরিমান কমিয়ে ১৩৫ কোটি ৬০ লাখে নামিয়ে আনে।ফলে কোম্পানিগুলো বড় অংকের জরিমানার হাত থেকে বেঁচে যায়। সাম্প্রতিক এক হিসাব অনুযায়ী, কেবল ভোদাফোন ছাড়া প্রায় সব বেসরকারি কোম্পানিকে জরিমানা দিতে হয়েছে। ২০০৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১০টি কোম্পানির বিরুদ্ধে ৯৬ টি ক্ষতিপূরণের মামলা এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

* * * ভারত ৭১০ কোটি রুপি ব্যয়ে কাবুলে পার্লামেন্ট ভবন বানাচ্ছে

৭১০ কোটি রুপি ব্যয়ে কাবুলে পার্লামেন্ট ভবন বানিয়ে দিচ্ছে ভারত। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে পুণর্গঠন প্রকল্পের আওতায় এই পার্লামেন্ট ভবন তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। একই সংগে কাবুলে ইন্ডিয়ান চ্যান্সেরি ভবনও নির্মিত হচ্ছে নয়া দিল্লির অর্থে। এ পার্লামেন্ট ভবন নির্মানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভারতের দু'টি ঠিকাদারি সংস্থাকে। দু'টি ভবনেরই নির্মাণ নকশা তৈরি করেছে ভারতের প্রকৌশলীরা। পার্লামেন্ট ভবনটি তৈরি হচ্ছে ৮৬ একর জমির উপর। দোতলা ভবনটির উচ্চতা হচ্চে ১৮ মিটার। ২০১১ সালের প্রথম ভাগে ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

* * * জাতিসংঘ আন্ডার সেক্রেটারির শ্রীলংকায় শরণার্থী শিবির পরিদর্শন

জাতিসংঘের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল লিন পাসকো গত সপ্তায় শ্রীলংকার উত্তরাঞ্চলে যুদ্ধের ফলে বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার তামিল বেসামরিক নাগরিকের আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেছেন। পরে তিনি শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ রাজাপাকসের সাথে বৈঠক করেন। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন তাকে শ্রীলংকায় পাঠিয়েছেন। বান কি মুন সেখানে সরকার পরিচালিত শরণার্থী শিবিরে বসবাসরত তামিল বেসামরিক নাগরিকদের পুণর্বাসন বিলম্ব হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।(মফিজুর রহমান)

  • সাক্ষাত্কার
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • অন-লাইন জরীপ
     
    © China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
    16A Shijingshan Road, Beijing, China