v চীনের বিশ্ব কোষv চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগ
চীন সংখ্যালঘু জাতি নীতি সম্পর্কিত শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে
2009-09-28 18:04:01
    ২৭ সেপ্টেম্বর চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের তথ্য কার্যালয় ' চীনের সংখ্যালঘু নীতি ও সকল জাতির অভিন্ন সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন ' নামে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে । শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে , চীনের বাস্তব অনুশীলন পুরোপুরিভাবে প্রমাণ করেছে যে চীনের সংখ্যালঘু জাতির নীতি চীনের বাস্তব অবস্থা ও বিভিন্ন জাতির জনগণের মৌলিক স্বার্থের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ । তাই এই নির্ভুল ও কার্যকর নীতি চীনের বিভিন্ন জাতির জনগণের সমর্থন পেয়েছে ।

    ৯টি ভাগে বিভক্ত এ শ্বেতপত্রের মোট অক্ষর সংখ্যা ২০ হাজারের কিছু বেশি। এতে চীনা জাতির উন্নয়নের গতিপথ , চীনের সংখ্যালঘু জাতি নীতি এবং নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর ৬০ বছরে সংখ্যালঘুজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলের অর্থনীতি , সংস্কৃতি ও সামাজিক উন্নয়ন ক্ষেত্রের বিরাট সাফল্য ব্যাখ্যা করা হয়েছে ।

    চীনে মোট ৫৬টি জাতি রয়েছে । নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর চীনের কমিউনিষ্ট পার্টি ও চীন সরকার নিজ দেশের বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে সংখ্যালঘু জাতি নীতি প্রণয়ন করেছে । এ নীতির মূল লক্ষ্য হল সব জাতির মধ্যে সমতা , ঐক্য , সংখ্যালঘুজাতির স্বায়ত্তশাসন ও বিভিন্ন জাতির অভিন্ন উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি বাস্তবায়ন করা । চীনের জাতীয় সংখ্যালঘু জাতি বিষয়ক কমিটির মহাপরিচালক ইয়াং চিং বলেন , নয়া চীন প্রতিষ্ঠার প্রথম দিকে চীন সরকার চীনের কমিউনিষ্ট পার্টির সংখ্যালঘু জাতির সমস্যা সমাধানের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সংখ্যালঘু জাতি নীতি প্রণয়ন করে । গত ৬০ বছরে , বিশেষ করে সংস্কার নীতি কার্যকর করার ত্রিশ বছরে চীন সরকার বিভিন্ন সময়পর্বের পরিস্থিতি ও কর্তব্য বিবেচনা করে চীনের সংখ্যালঘু জাতি নীতি পরিপূর্ণ করার চেষ্টা করেছে ।

     শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে , চীন সরকার বরাবরই সংখ্যালঘু জাতি অধ্যুষিত অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নকে চীনের জাতিসত্ত্বা সমস্যা সমাধানের মৌলিক পথ হিসেবে গ্রহণ করে এসেছে । দীর্ঘকাল ধরে কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন সংখ্যালঘু জাতি অধ্যুষিত অঞ্চলের বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে নীতি , অর্থ , দক্ষ কর্মী ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সমর্থন ও সাহায্য দিয়ে আসছে । ইয়াং চিং বলেন , কেন্দ্রীয় সরকারের সমর্থন ও সাহায্যের মধ্যে রয়েছে অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পে আর্থিক বরাদ্দ বাড়ানো , পরিবেশ সংরক্ষণকে গুরুত্ব দেয়া , দরিদ্র অঞ্চলকে সাহায্য করা , উন্নত অঞ্চলগুলোকে সংখ্যালঘু জাতি অধ্যুষিত অঞ্চলকে সাহায্য করার নির্দেশ দেয়া এবং সংখ্যালঘু জাতির বিশেষ চাহিদা মেটানো । নতুন শতাব্দীতে প্রবেশের শুরুতে কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিম চীনের উন্নয়নকে চীনের এক কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে গ্রহণ করেছে । বেশির ভাগ সংখ্যালঘু জাতি পশ্চিম চীনে বাস করে ।

    এ সব ব্যবস্থা সংখ্যালঘু জাতি অধ্যুষিত অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন তরান্বিত করেছে , বিভিন্ন জাতির জনগণের জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত হয়েছে । ২০০৮ সালে সংখ্যালঘু জাতি অধ্যুষিত অঞ্চলের উত্পাদন মূল্য ১৯৫২ সালের ৫৭৯ কোটি ইউয়ান থেকে ৯২ গুন বেড়ে তিন ট্রিলিয়ন ইউয়ানে উন্নীত হয়েছে । সেখানকার শহরের নাগরিকদের আয় ১৯৭৮ সালের ৩০৭ ইউয়ান থেকে ১৩ হাজার ইউয়ানে পৌঁছেছে , কৃষক ও পশুপালকদের আয় ১৯৭৮ সালের ১৩৮ ইউয়ান থেকে তিন হাজার চার শ' ইউয়ানে বৃদ্ধি পেয়েছে।

    এর মধ্যে অন্তর্মঙ্গোলিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি টানা ৭ বছর শীর্ষস্থানে রয়েছে , সিনচিয়াংয়ের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি টানা ৬ বছর ১০ শতাংশের বেশি বজায় রয়েছে । তিব্বতের উত্পাদন মূল্য ১৯৫৯ সালের তুলনায় ৬৫ গুন বেড়েছে । চীনের সংখ্যালঘু জাতি অধ্যুষিত অঞ্চলে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ১৯৮৫ সালের চার কোটি থেকে ২০০৮ সালে ৭৭ লাখে নেমে এসেছে ।

    ইয়াং চিং বলেন , নির্ভুল সংখ্যালঘু জাতি নীতি কার্যকর করার মাধ্যমে সংখ্যালঘু জাতি অঞ্চলে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে । ৬০ বছরের বাস্তব অনুশীলন প্রমান করেছে যে এ নীতি চীনের বাস্তব অবস্থার সঙ্গে খাপ খায় এবং তা জনগণের সমর্থন পেয়েছে । এ নীতি বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা উত্তীর্ণ হয়েছে ।

    শ্বেতপত্রের উপসংহারে বলা হয়েছে , বহিরাগত শক্তি জাতি , ধর্ম ও মানবাধিকারের পতাকা তুলে ধরে যে চীনের সংখ্যালঘু জাতি সমস্যায় হস্তক্ষেপ করেছে চীন সরকার দৃঢভাবে তার বিরোধীতা করে ।

  • সাক্ষাত্কার
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • অন-লাইন জরীপ
     
    © China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
    16A Shijingshan Road, Beijing, China