v চীনের বিশ্ব কোষv চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগ
জি –বিশ শীর্ষ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও বিশ্বঅর্থনীতির উন্নয়নে চীনের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন
2009-09-26 18:54:53
    আন্তর্জাতিক আর্থিক সংকটের প্রথম বার্ষিকীর সময় জি-বিশের নেতৃবৃন্দ যু্ক্তরাষ্ট্রের পিটসবার্গে বৈঠক করে বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ অন্বেষণ করেছেন । চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও সম্মেলনে 'অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর চেষ্টা করুন , ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়ন তরান্বিত করুন' শীর্ষক ভাষণ দিয়েছেন ।

    প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও তার ভাষণে বিশ্ব অর্থনীতির ইতিবাচক অগ্রগতি উল্লেখ করে বলেছেন , বিশ্ব অর্থনীতির উন্নয়নের পরিস্থিতির ভিত্তি এখনও মজবুত নয় , এতে অনেক অনির্দিস্ট উপাদান রয়েছে । তিনি জোর দিয়ে বলন , বিশ্ব অর্থনীতি সার্বিকভাবে পুনরুদ্ধারের জন্য বিভিন্ন দেশের উচিত অবিচলভাবে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর চেষ্টা চালানো , দৃঢতার সঙ্গে আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার ওপর সংস্কার চালানো এবং বিশ্ব অর্থনীতির ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়ন তরান্বিত করা ।

    প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও মনে করেন , অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি বাড়ানো বিভিন্ন দেশের প্রথম কাজ । চীনের সমাজবিজ্ঞান একাডেমীর বিশ্ব অর্থনীতি ও রাজনীতি গবেষণাগারের উপমহাপরিচালক ওয়াং ই চৌ মনে করেন , প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওয়ের ভাষণে বিশ্ব অর্থনীতির প্রতি চীনের মূল্যায়ন প্রতিফলিত হয়েছে এবং কিছু দেশের পেশ করা বাজারের চাহিদা ও সরবরাহের প্রতি সরকারের হস্তক্ষেপ কমানোর   প্রস্তাবের প্রতি চীনের অবস্থান ব্যক্ত করা হয়েছে । তিনি বলেন , বাজারের স্বতন্ত্র অবস্থা বজায় রাখার জন্য কিছু দেশ সরকারের ভূমিকা কমিয়ে দেয়ার কথা চিন্তা করছে । আমি মনে করি , আর্থিক সংকটের সময় সরকারের অপেক্ষাকৃত শিথিল মুদ্রা নীতি ও সরকারের হস্তক্ষেপ ছাড়া অর্থনীতির পুনরুদ্ধার ও অস্থিতিশীল বিশ্ব অর্থনীতি মন্দাভাবের কালো ছায়া থেকে বের হওয়া সম্ভব হবে না । তাই প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও বলেছেন , সরকারের অর্থনীতি চাংগা করার ব্যবস্থা নেয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয় । তা ছাড়া দেশের অর্থনীতির সামঞ্জস্যতা ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখাও গুরুত্বপূর্ণ । চীনের বাস্তব অনুশীলনও প্রমাণ করেছে যে শিথিল মুদ্রা নীতি কার্যকর করা এক ভালো ব্যবস্থা ।

     বিশ্ব আর্থিক ব্যবস্থা সংস্কার প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও তার ভাষণে পেশ করা দ্বিতীয় কাজ । তিনি বলেন , বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ইতিবাচক বিকাশের প্রেক্ষিতে বিশ্ব আর্থিক ব্যবস্থা সংস্কারের সংকল্প ও লক্ষ্যে অটল থাকতে হবে । জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন শেষে প্রকাশিত 'নেতৃবৃন্দের বিবৃতিতে' সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে বিশ্ব মুদ্রা তহবিলে নবোত্থিত দেশ ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর অনুপাত ৫ শতাংশের বেশি হতে হবে এবং বিশ্ব ব্যাংকে উন্নয়নশীল দেশগুলো ও নবোত্থিত দেশগুলোর ভোটদাতা দেশের সংখ্যা আরো ৩ শতাংশ বাড়ানো হবে । এ সম্পর্কে ওয়াং ই চৌ বলেন , ( রেকর্ডিং ২ ) জি-বিশের শীর্ষ সম্মেলনে চীন ও অন্যান্য দেশের মিলিত প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে নবোত্থিত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব ও ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে সক্রিয় অগ্রগতি হয়েছে । এটা বর্তমান শীর্ষ সম্মেলনের অন্যতম বড় সুফল ।

    বিশ্ব অর্থনীতির ভারসাম্যহীন সমস্যার সমাধানও প্রেসিডেন্ট হু চিন থাওয়ের ভাষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । তিনি জোর দিয়ে বলেছেন , ব্যাপক উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতির কার্যকর উন্নয়ন ছাড়া বিশ্ব অর্থনীতির পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে না এবং বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি স্থায়ী হবে না। এ প্রসঙ্গে ওয়াং ই চৌ বলেন , ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়ন সম্পর্কে বিভিন্ন দেশের ব্যাখ্যা এক নয় । পাশ্চাত্য দেশগুলো মনে করেন , ভারসাম্য উন্নয়নের জন্য কিছু নবোত্থিত দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে হবে । প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও বলেন , শুধু বাণিজ্য ক্ষেত্রের ভারসাম্যহীনতা নয় , দক্ষিণ ও উত্তরের দেশেগুলোর মধ্যে উন্নয়ন সামর্থ্য , প্রযুক্তি ও মুলধন ও বিশ্ব অর্থনীতি উন্নয়ন ক্ষেত্রের কথা বলার অধিকারের ক্ষেত্রের ভারসাম্যহীনতাও গুরুতর । বাণিজ্য ক্ষেত্রের ভারসাম্যহীনতা বাহ্যিক , উন্নয়ন সামর্থ্য , প্রযুক্তি ও মুলধন ক্ষেত্রের ভারসাম্যহীনতা কাঠামোগত ভারসাম্যহীনতা । এতে প্রমানিত হয়েছে যে আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও অর্থনীতির কাঠামো সংস্কার করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে ।

  • সাক্ষাত্কার
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • অন-লাইন জরীপ
     
    © China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
    16A Shijingshan Road, Beijing, China