বাংলাদেশের চুয়াভাঙ্গা জেলার গ্লোবাল রেডিও লিসনার্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট আশরাফুল ইসলাম তাঁর চিঠিতে বলেছেন, 'আমরা দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত্ সিআরআই'র খুবই তথ্যবহুল ও আকর্ষণীয় বাংলা অনুষ্ঠান শুনে আসছি। এ অনুষ্ঠান শোনার মাধ্যমে আমরা চীন সমন্ধে আমাদের জ্ঞানের মাত্রা বাড়াতে খুবই সক্ষম হয়েছি। সিআরআই'র বাংলা অনুষ্ঠানের পরিবেশনার মান এখন অনেক উন্নত হয়েছে। তাছড়া নবীন ও প্রবীন সহকর্মীদের সমন্বয়ে পরিবেশিত অনুষ্ঠানের পরিবেশনার ধরণও এখন অনেক আধুনিক হয়েছে।' শ্রোতা বন্ধু আপনি আমাদের উত্সাহ দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই। ভবিষ্যতে আমরা আরো বেশি বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠান তৈরী করবো এবং আমরা আমাদের অনুষ্ঠানের মান উন্নয়ন করবো। এছাড়াও, তিনি আমাদের অনুরোধ জানিয়েছেন যে, চিঠির সাথে ইমেলে লেখা চিঠিরও উত্তর দেয়া ও বাংলা ওয়েবসাইটের পুরানো বিষয়বস্তুগুলো নিয়মিত পরিবর্তন করা। আপনি অনেক ভাল প্রস্তাব দিয়েছেন। আমরা ভবিষ্যতে শ্রোতা সন্ধ্যা অনুষ্ঠানে ইমেল ও ওয়েবসাইটে মন্তব্যের উত্তর দেবো।
বাংলাদেশের ফরিদপুরের ওয়ার্ল্ড রেডিও লিসনার্স ক্লাবের জেনারেল সেক্রেটারী এম, এম, জোলাম সারেয়োর তাঁর চিঠিতে বলেছেন, 'আপনি হয়ত জানেন, আমি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের শুরু করেছি সিআরআই'র অনুষ্ঠান শুনে। আজীবন আমি সিআরআই'র একনিষ্ঠ শ্রোতা হয়েই থাকার প্রত্যাশা করছি। আমার বিশ্বাস আমি সিআরআই'র আজীবন শ্রোতা হয়ে থাকতে পারব। যদি আপনাদের ভালবাসা আর সমর্থন থাকে। আপনাদের প্রতিটি পরিবেশনা অত্যন্ত বাস্তব সম্মত ও সময় উপযোগী। যা সব সময় প্রশংসার দাবি রাখে। দিনে দিনে সিআরআই'র শ্রোতা সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। তাতে ভবিষ্যতে সিআরআই আরো উন্নত হবে বলে বিশ্বাস করি। ধন্যবাদ।' আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আমরাও আজীবন আপনার মত শ্রোতাদের জন্য সুন্দর অনুষ্ঠান তৈরীর চেষ্টা করতে থাকবো। এত ভাল শ্রোতা থাকলে আমাদের ভাল অনুষ্ঠান না করার কারণ নেই। তিনি আরো বলেছেন, 'আমাদের বাড়ীর পালোর বাজারে ওয়েবসাইট চালু হওয়ার পর হতে প্রায় নিয়মিত ভাবেই আমি সিআরআই'র ওয়েবসাইট ঠিকানায় টুকে পরি। তা যেন আনন্দ আর অফুরন্ত ভাললাগা। আমি সিআরআই'র ওয়েবসাইট পরিসেবাকে স্বাগত জানাই। ভাবতে ভাল লাগে যে, সিআরআই'র ওয়েবসাইট এক চমক প্রদ পরিসেবা। আমি সিআরআই'র ওয়েবসাইটের মাধ্যমে চীন সম্পর্কে আরো অনেক কিছু জানতে পেরেছি। যদি ওয়েবসাইট না থাকলে পারতামনা। সিআরআই'র ওয়েবসাইট সিআরআই'র উন্নয়নের আরেক ধাপ। এমন উন্নয়ন দেখার অপেক্ষায় ছিলাম শ্রোতা জীবনের অনেক গুলো বছর।' আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইট সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানাই। আসলে যে অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়, তা আমাদের ওয়েবসাইটে দিয়ে দেয়া হবে। সেজন্য যদি আপনারা আমাদের অনুষ্ঠান শুনতে না পারে, তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে দেখতে পারেন। এছাড়া, আমাদের ওয়েবসাইটে আরো বেশি সংবাদ ও প্রবন্ধ রয়েছে। কোনো কোনো বিষয় বেতারের অনুষ্ঠানের চেয়ে আরো মজা। আমরা আশা করি, আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের ওপর আরো বেশি সজাগ দৃষ্টি রাখবেন। কারণ আপনি হয়ত আপনার ছবি ও লেখা আমাদের ওয়েবসাইটে আবিস্কার করতে পারবেন। আমি বিশ্বাস করি, আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটকে পছন্দ করবেন।
বাংলাদেশের মাগুরা জেলার কুমার কোটা লিসনার্স ক্লাবের মিন্টু আশরাফুল ইসরাম তাঁর চিঠিতে বলেছেন, 'সিআরআই'র সঙ্গে পরিচয় আমার আজ আট বছর। আর এই আট বছরে আমি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের কাছ থেকে অনেক কিছু পেয়েছি। সিআরআই আসন করে নেয় আমার হৃদয় মন্দিরে। তেমনি একটি বছর ২০০৭ আমার আর সিআরআই'র জন্য স্মৃতিময়। যা আমার জীবনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। সিআরআই'র মাধ্যমে আমি চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সম্পর্কে আমার অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে।' আপনি আমাদেরকে উত্সাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আসলে আপনাদের প্রশংসা ও উত্সাহ হল আমাদের চালক-শক্তি। আমরা অবশ্যই আরো ভালভাবে অনুষ্ঠান তৈরী করবো। এছাড়া তিনি বলেছেন, বর্তমানের অশান্ত পৃথীবিতে শান্তি আর সত্যের ধ্বজা উঠিয়ে স্বাশাত হয়ে উঠুক পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্ত প্রতিটি মানুষের মাকো। এটি হল তাঁর প্রাণের দাবি ও একন্ত প্রত্যাশা। আপনি অনেক ভাল বলেছেন। আমার মনে হয়, যে মানুষ শান্তি ও সত্যবে ভাল বাসে, তার আপনাদের একই প্রত্যাশা রয়েছে। আমরা আশা করি, বিশ্বের নানা স্থানে শান্ত ও স্থিতিশীল হবে। তিনি তাঁর চিঠিতে একটি কবিতা লেখেছেন। কবিতার নাম হল প্রিয় সিআরআই।
(কবিতা)
আকাশের তারাগুলো জ্বলে যখন সিটিসিটি। চাঁদ যখন একা হাসে মধুময় স্মৃতিগুলি হাতছানি দিয়ে ডাকে ঠিক তখনই মনে পড়ে সিআরআই তোমাকে। তোমাকে ছাড়া আমি প্রতিটি মূহুর্তে কিছু ভাবতে পারিনা। আমি লেখাপড়ার মাঝামাঝি শুধু তোমাকে খুঁজি। তুমি ছাড়া আমার এ জীবন অর্র্থে তাইতো প্রতিটি ক্ষনে তুমি আমার এই নিঃসঙ্গ জীবনের একমাত্র সাথী।
বাংলাদেশের সিলেট জেলার পলাশ আফজাল তাঁর চিঠিতে একটি কবিতা লেখেছেন।
ফুলের মত ফুটতে হবে
ছুটতে হবে দূরে
বিশ্বটাকে জানতে হবে
দেখতে হবে ঘুরে
তিনি তাঁর চিঠিতে আরো বলেছেন, 'আপনাদের বেতারের মাধ্যমে চীন সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি। সেটুকু অনেক কলেজ চুডেন্টও জানেনা।' অবশ্যই সিআরআই'র লক্ষ্য হল বিশ্বের কাছে চীনকে প্রচার করা ও বিশ্বের কাছে বিশ্বকে প্রচার করা। যদি আপনারা সিআরআই'র বাংলা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চীন ও বিশ্বের নানা স্থান সম্পর্কে আরো বেশি জেনেছেন, তাহলে আমাদের লক্ষ্য বাস্তবায়িত হয়েছে। আপনার উত্সাহের জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমরা আরো ভালভাবে অনুষ্ঠান তৈরী করবো।
ভারতের পশ্চিম বঙ্গের নাদিয়া জেলার রবি নারায়ন তাঁর চিঠিতে বলেছেন, তিনি রান্না নিয়ে গবেষণা করতে ভালবাসি। তিনি তাঁর চিঠিতে তাঁর নিজ্বস তৈরীর কয়েক রান্নার রেসিনি লিখে দিয়েছেন। আমরা এসব রান্নার উপকরণ ও পদ্ধতি বাংলা ওয়েবসাইটে দিয়ে দিবো। এছাড়া, তিনি কবিতা লিখতে আগ্রহী। তিনি তাঁর চিঠিতে কয়েকটি কবিতা লিখে দিয়েছেন। আজকের অনুষ্ঠানে আমি তাঁর দু'টি কবিতা আপনাদেরকে বলবো।
(কবিতা)
ছেলেবেলা
হাইরাইজে ও হাইঠেকে বন্দী যে আজ
ঘোকার ছেলেবেলা।
হারিয়ে গেছে লাচীই ঘুড়ি
চুকিত্কিত্ কানামাছি ঘেলা।
পেঁজাতুলোর মেঘের ঘেলা
দেখার সময় কই,
দেখার সময় কই,
সকাল সন্ধে কমিউটির
দুপুর বিকেলে বই।
পাডালৌ দাশু, বুড়ো অংশ
বাদ পড়েছে পাঠে,
নন্টে যান্টে হারিয়ে গেছে
কোন সুদুরের মাঠে।
মাউম হাতে আজকে ধোকা,
এখন একা ঠায়
অবাক পেঘে মনিটরে
পিটাপিটিয়ে চায়।
******
বহু গাছ
এসো ভাই গাছ লাগাই
গাছের মতো বন্ধু আর পাই
পৃথিবীর আমি প্রাণ
আম্লজান করে দান
অক্সিজেন ত্যাগ করে
কাঠন ডাই অক্রাই শোষন করে
মোদের বাঁচায় প্রাণ।
বন্ধুরা, অনেক তো কথা হলো। ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন কি? আসুন আপনাদের তাহলে মান্না দে কান্ঠে একটি গান শুনাই। গানের নাম হল খুব জানতে ইচ্ছে করে সবাই শুনুন তাহলে। |