সিন হুয়া বার্তা সংস্থার ইয়ুন নান কার্যালয়ের ২ ডিসেম্বরের এক খবরে জানা গেছে, কুন মিং কাস্টমসের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ৯ মাসে ইয়ুন নান প্রদেশের কৃষি পণ্য থেকে রপ্তানি বাবদ আয় হয়েছে ৬২ কোটি মার্কিন ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৭.৪ শতাংশ বেড়েছে। রপ্তানিকৃত পণ্যের গড়পড়াতা মূল্য আগের চেয়ে ২০ শতাংশ বেড়েছে। এ পরিসংখ্যান থেকে আরও জানা গেছে, জাপান সবচেয়ে বেশি ইয়ুন নান প্রদেশের কৃষি পণ্য আমদানি করে। একই সঙ্গে ই'ইউ বাজারে ইয়ুন নান প্রদেশের কৃষি পণ্যের চাহিদাও অনেক বেশি।
জানা গেছে, গত ৯ মাসে ইয়ুন নান প্রদেশের নানা কৃষি পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ৪.৯১ লাখ টন। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪.৫ শতাংশ বেশি। তাতে পরিমাণ ও গুণগতমান এ দু'দিকের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা গেছে। এর মধ্যে ইয়ুন নান প্রদেশের সিগারেট ও তামাকজাত পণ্য স্থিতিশীলভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর রপ্তানির পরিমাণ ১৮ কোটি মার্কিন ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৩.৭ শতাংশ বেড়েছে। কফি, সুগন্ধী তেল, পিনাস্টার সিড তেল ও বাদাম গত ৯ মাসের রপ্তানিকৃত পণ্যের মধ্যে প্রাধান্য পেয়েছে। এ চার ধরণের পণ্যের রপ্তানির পরিমাণ ও আয় দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে কফির রপ্তানি পরিমাণ গত বছরের চেয়ে ১৯ শতাংশ বেড়েছে। এর মূল্য ৫ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে ৪২.৫ শতাংশ বেশি।
জাপান ইয়ুন নান প্রদেশের পণ্য রপ্তানিকৃত বৃহত্তম দেশ। এর আগে জাপানের পরীক্ষা-নিরিক্ষার মানদন্ড ও মাতসুতাকে সমস্যার কারণে এক সময়ে ইয়ুন নান প্রদেশের জাপানে রপ্তানির পরিমাণ কমে যায়। সম্প্রতি ইয়ুন নান প্রদেশ জাপানে রপ্তানিকৃত পণ্যের কাঠামো পরিবর্তন করেছে এবং এর গুণগমান, পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত মানদন্ড আরও কঠোর করেছে বলে জাপানে ইয়ুন নান প্রদেশের পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ধীরে ধীরে বেড়ে যাচ্ছে। বর্তমানে কফি, শুকনো সবজি ও ফুল জাপানে রপ্তানিকৃত পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। কিন্তু ইয়ুন নান প্রদেশের কৃষি পণ্য প্রধানত আসিয়ান বাজারেই বেশি বিক্রি হচ্ছে। থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়ার এ তিনটি দেশ ইয়ুন নান প্রদেশ থেকে পণ্য আমদানির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। একই সঙ্গে ই'ইউ ইয়ুন নান প্রদেশের পণ্যের চাহিদাও অনেক বেড়েছে। বেলজিয়াম, ইতালি ও জার্মানি ইয়ুন নান প্রদেশের পণ্য রপ্তানির নতুন বাজার হয়ে উঠেছে। (ওয়াং তান হোং) |