v চীনের বিশ্ব কোষv চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগ
হু চিনথাও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও অভিন্ন সমৃদ্ধিরসুষম বিশ্ব গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন
2009-09-24 18:41:12

চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিনথাও ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কেজাতিসংঘ সদরদপ্তরে ৬৪তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ বিতর্কে ভাষণ দিয়েছেন । ভাষণে তিনি সার্বিকভাবে বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি এবং বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সম্পর্কে চীনের অভিমত ব্যাখ্যা করেছেন এবং বিভিন্ন পক্ষের উদ্দেশ্যে মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও অভিন্ন সমৃদ্ধির সুষম বিশ্ব গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন ।

২৩ সেপ্টেম্বর ছিল ৬৪তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিতর্ক সভার প্রথম দিন । বিতর্কের প্রধান বিষয় হল , কার্যকরভাবে বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা, বহুপক্ষবাদ ও ভিন্ন সভ্যতার মধ্যে সংলাপ জোরদার করা এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের শান্তি , নিরাপত্তা ও উন্নয়ন তরান্বিত করা । এ বছর জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী না হলেও আন্তর্জাতিক সংকটের বিস্তার , ক্রমাগত প্রকট জলবায়ু পরিবর্তন এবং খাদ্য ও জ্বালানী সম্পদের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিশ্ব সমস্যার কারণে জাতিসংঘের এবারের বিতর্ক সভা বিশ্বের প্রায়১৪০টি দেশের শীর্ষনেতাদের আকর্ষণ করেছে । হু চিনথাও তাঁর ভাষণে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে , বর্তমানে সম্মুখীন বিশ্ব পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত হাতে হাত রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়া এবং শান্তি, উন্নয়ন, সহযোগিতা ও উভয়ের কল্যাণের লক্ষ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও অভিন্ন সমৃদ্ধির সুষম বিশ্বের গঠনকাজ তরান্বিত করা । এজন্য তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, আরও প্রশস্ত দৃষ্টিতে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে হবে । সার্বিক ধারণায় উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে অভিন্ন সমৃদ্ধি তরান্বিতকরতে হবে এবং আরও উদার মনোভাব নিয়ে পরস্পরকে সমঝোতা করে সুষমভাবে সহাবস্থান বাস্তবায়ন করতে হবে ।

হু চিনথাও জোর দিয়ে বলেছেন , মানবজাতির ইতিহাসে বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তা কখনো আজকের মতো এতোনিবিড়ভাবে জড়িত ছিল না । বিশ্বের এবং অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা না থাকলে একটি দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা আসতোনা । বিভিন্ন পক্ষের উচিত পারস্পরিক আস্থা ও কল্যাণ এবং সমতা ও সহযোগিতার নতুন নিরাপত্তা অভিমতে অটল থেকে নিজনিজ দেশের নিরাপত্তা রক্ষা করা এবং অন্য দেশের নিরাপত্তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা । বর্তমান আন্তর্জাতিক আর্থিক সংকট সম্পর্কে তিনি বলেন , আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাকে সর্বাগ্রেনতুন সম্পদ উন্নয়নশীল দেশগুলোর দারিদ্র্য বিমোচনে কাজে লাগাতে হবে ।যাতে আরও নমনীয় , দ্রুত ও সুবিধাজনকভাবে ঋণ দানে সমর্থন করা যায় । আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার সংস্কারকেউন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব ও কথা বলার অধিকার বাড়িয়ে দেয়ার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে ।

হু চিনথাও বলেন , জলবায়ু পরিবর্তন এবং খাদ্য ও গণ স্বাস্থ্যের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতার সময় বিভিন্ন পক্ষের উচিত নিজদেশের জনগণের স্বার্থকে বিশ্ব জনগণের অভিন্ন স্বার্থের সঙ্গে সমন্বিত করে বিভিন্ন পক্ষের অভিন্ন স্বার্থ সম্প্রসারিত করা । তিনি বলেন , গত ৬০ বছরের উন্নয়নের পর চীনের বহুমুখী ক্ষমতা লক্ষণীয়ভাবে বেড়েছে । এর পাশাপাশি চীনের ভাগ্য ও বিশ্বের ভাগ্যের সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে জড়িত হয়েছে । তিনি জোর দিয়ে বলেন, চীনের যত বেশী উন্নয়ন হবে বিশ্বে এর অবদান তত বেশি হবে এবং বিশ্বের জন্য ততই বেশি সুযোগ বয়ে আনবে । চীন আগের মতো আজ এবং ভবিষ্যতে সবসময় বিশ্ব শান্তি রক্ষা এবং অভিন্ন উন্নয়ন তরান্বিত করার ইতিবাচক শক্তি হয়ে থাকবে ।

একটি উন্নয়নশীল বড় দেশ হিসেবে চীন সবসময় অভিন্ন উন্নয়ন তরান্বিত করার ভূমিকা পালন করে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সমর্থন ও সাহায্য করার প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে । ২৩ সেপ্টেম্বরের ভাষণে হু চিনথাও বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন, চীন অব্যাহতভাবে আন্তর্জাতিক আর্থিক সংকটের নেতিবাচক প্রভাবে প্রভাবিত উন্নয়শীল দেশগুলোকে সাহায্য ও সমর্থন করতে থাকবে । মনোযোগের সঙ্গে অর্থ বাড়িয়ে দেয়া এবং অর্থসংগ্রহ সম্পর্কে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে বাণিজ্য ও অর্থবিনিয়োগে সহযোগিতা জোরদার করবে । অবশেষে তিনি আশাভরপুর হয়ে আহবান জানান , আসুন , আমরা হাতেহাত রেখে অভিন্নভাবেউন্নয়নের সুযোগ উপভোগ করি । যৌথভাবে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করি এবং স্থায়ী শান্তি এবং সমৃদ্ধিরসুষম বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য অক্লান্তভাবে প্রচেষ্টা চালাই ।

  • সাক্ষাত্কার
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • অন-লাইন জরীপ
     
    © China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
    16A Shijingshan Road, Beijing, China