v চীনের বিশ্ব কোষv চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগ
পাকিস্তানে চীনা ভাষা শিক্ষার ব্যাপারে ব্যাপক সাড়া পড়েছে
2009-09-22 16:41:32
চীন ও পাকিস্তান দুটি সুপ্রতিবেশী রাষ্ট্র। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো গভীর হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিনিময়ও অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুতরাং চীনা ভাষা শিক্ষার ব্যাপারে পাকিস্তানে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। পাকিস্তানের পথে পাকিস্তানী চীনা ভাষার মাধ্যমে আমাদের সংবাদদাতাকে শুভেচ্ছার কথা শুনাতে পারে। পাকিস্তানের জাতীয় আধুনিক ভাষা বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে তোলা ইসলামাবাদ কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটে চীনা ভাষা শিখতে আগ্রহী পাকিস্তানীদের জন্য ভালো পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এ ইনস্টিটিউট একটি সেতুর মত দু'দেশের জনগণকে মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ করেছে এবং দু'দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় ত্বরান্বিত করেছে। (১)

এ সুন্দর চীনা গানটি পাকিস্তানের একটি শিশু দলের গাওয়া। তারা হচ্ছে ইসলামাবাদ কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের শিশু শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রী। এ ইনস্টিটিউট ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে এর কার্যক্রম চালু হয়েছে। দু'বছরের উন্নয়নের মাধ্যমে ইসলামাবাদ কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের শিক্ষাদানের মান স্পষ্ট উন্নতি লাভ করেছে। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ও শিক্ষাদানের কোর্সের রকম অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের চীন পক্ষের পরিচালক ফু চি ওয়ে বলেছেন, (২)

প্রথম দিকে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ছিল শুধু দশজন। বর্তমানে প্রতি বছর ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা তিন শ'জন। এ ইনস্টিটিউটের শিক্ষক আগে ছিল শুধু দুজন। বর্তমানে ছ'জন শিক্ষক শিক্ষাদানের কাজ করছেন। আমাদের যেমন বাণিজ্যিক চীনা ভাষা, শিশু চীনা ভাষা, মৌলিক চীনা ভাষা ও থাইজি মুষ্টিযুদ্ধসহ দশটিরও বেশি বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাদানের কোর্স রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। তাছাড়া, সমাজের ব্যবসায়ী, কোম্পানির স্টাফ ও সরকারী কর্মকর্তা রয়েছে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের চীন বিষয়ক বিশেষ দূতও আমাদের ইনস্টিটিউটে চীনা ভাষার কোর্স গ্রহণ করেছেন।

ফু চি ওয়ে আরো বলেছেন, চলতি বছরের আগস্ট মাস থেকে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট কিছু বিদ্যালয়ে চীনা ভাষা সংক্রান্ত সিলেক্টিভ কোর্স চালু করেছে। এর ফলে চীনা ভাষা শিক্ষা গ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে।

তাহিরা নাভিদ কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটে দু'বছর লেখাপড়া করেছেন। তার স্বামী একজন কূটনীতিক। তিনি তার স্বামীর সঙ্গে পেইচিংয়ে তিন বছর বসবাস করেছিলেন। পাকিস্তানে ফিরে আসার পর ইসলামাবাদ কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির খবর জানার পর তিনি দরখাস্ত করার মাধ্যমে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের একজন ছাত্রী হিসেবে ভর্তি হয়েছেন। তিনি বলেন, (৩)

আমি চীনা ভাষা খুব পছন্দ করি, আমি চীনাদের পছন্দ করি। সুতরাং চীন থেকে ফিরে আসার পর আমি চীনা ভাষা শিখছি। আমি মনে করি, চীনা ভাষা লেখা ও বলা খুব মজার। চীনা ভাষা শেখা এবং চীনের সংস্কৃতি অনুসরণ করা হচ্ছে পাকিস্তানী আগ্রহের কাজ।

তিনি আমাদের সংবাদদাতাকে বলেছেন, তার স্বপ্ন হচ্ছে পরীক্ষার মাধ্যমে একজন চীনা ভাষার শিক্ষকে পরিণত হবেন।

কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের পাকিস্তান পক্ষের পরিচালক , পাকিস্তানের জাতীয় আধুনিক ভাষা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আজিজ আহমাদ খান পাকিস্তানে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার কাজকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, চীন পাকিস্তানের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। দু'দেশের জনগণের আরো বেশি যোগাযোগ হওয়া দরকার। তবে বিনিময়ের ভিত্তি হচ্ছে ভাষা। সুতরাং কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা খুবই প্রয়োজন। তিনি বলেন, (৪)চীনা ভাষা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জনপ্রিয় করা সংক্রান্ত চীনের রাষ্ট্রীয় নেতৃস্থানীয় কার্যালয় পাকিস্তানের জাতীয় আধুনিক ভাষা বিশ্ববিদ্যালয়ে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত খুব শুভবুদ্ধির পরিচায়ক। একটি দেশের সংস্কৃতিকে আরো বেশি বুঝতে হলে সবার আগে তার ভাষা জানতে ও বুঝতে পারা দরকার।(লিলু)

  • সাক্ষাত্কার
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • অন-লাইন জরীপ
     
    © China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
    16A Shijingshan Road, Beijing, China