v চীনের বিশ্ব কোষv চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগ
হামিদ কার্জাই আফগান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নির্ধারিত হারেরও বেশি ভোট পেয়েছেন
2009-09-17 17:19:40
আফগান নির্বাচন কমিশন ১৬ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক ভোটের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। এখন পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রের ভোট পরিসংখ্যানের সব কাজ শেষ হয়েছে। আফগানিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট হামিদ কার্জাই গত ২০ আগষ্ট অনুষ্ঠিত আফগান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫৪.৬শতাংশের ভোট পেয়েছেন। চূড়ান্ত ফলাফল নির্বাচন কমিশন সবগুলো অসন্তোষ দূর করার পর প্রকাশ করবে।

এদিন নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, প্রায় ৫৬লাখ ৬০হাজার ভোটের মধ্যে কার্জাই প্রায় ৩০ লাখ ৯০হাজার পেয়েছেন। তাঁর ভোট লাভের হার প্রায় ৫৪.৬ শতাংশ। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ প্রায় ১৫লাখ ৭০হাজার ভোট পেয়েছেন। তাঁর ভোট লাভের হার হল ২৭.৮ শতাংশ। তৃতীয় হল সাবেক কর্মসূচী মন্ত্রী ও বর্তমান সংসদের সদস্য বাশার দোস্ত। তিনি ৫লাখ ২০হাজার ভোট পেয়েছেন। তাঁর ভোট লাভের হার হল ৯.২ শতাংশ।

আফগান প্রেসিডেন্ট নির্বাচন গত ২০ আগষ্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মসূচী অনুযায়ী ৭ সেপ্টেম্বর আফগান স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের উচিত প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করা। কিন্তু প্রাথমিক পরিসংখ্যান প্রায় ১০দিন স্থগিত রেখে প্রকাশিত হয়েছে। এ সম্পর্কে আফগান নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র নুর মোহামেদ মুর বলেছেন, এটি হল প্রযুক্তির সমস্যা। কিন্তু গণ মাধ্যমগুলো মনে করে, গত ২০ আগষ্ট আফগানিস্তান নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর আবদুল্লাহসহ প্রার্থীরা নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় কারচুপির অভিযোগ করেন। এটি হল নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলের প্রকাশ স্থগিত রাখার আসল কারণ।

১৫ সেপ্টেম্বর আফগান নির্বাচন অসন্তোষ কমিশন সারা দেশের প্রায় ১০ শতাংশ ভোট কেন্দ্রের ভোট আবার পুনর্গণনার অনুরোধ জানিয়েছে। এদিন আফগান নির্বাচন অসন্তোষ কমিশনের চেয়ারম্যান গ্র্যান্ট কিপ্পেন বলেছেন, আফগানিস্তানের প্রায় ১০শতাংশ ভোট কেন্দ্র বা ২৫০০টি ভোট কেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ রয়েছে। সেজন্য আবার ভোট গণনা করা উচিত।

আফগান নির্বাচন অসন্তোষ কমিশন ৮ সেপ্টেম্বর নির্দেশ দিয়েছে, যে ভোট কেন্দ্রের সবাই ভোটদাতা ভোটদানে অংশ নিয়েছে ও একই ভোট কেন্দ্রের ৯৫শতাংশেরও বেশি ভোট একজন প্রার্থীকে ভোট প্রদান করেছে, তার ভোট আবার গণনা করা উচিত। আফগান নির্বাচন কমিশন বলেছে, তারা কারচুপির প্রমাণ পেয়েছে। জানা গেছে, কারচুপি সবচেয়ে বেশি অঞ্চল হল আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চল। কারর্জাই'র বেশির ভাগ সমর্থনকারীর বসবাস এ অঞ্চলে।

আফগানিস্তানের নির্বাচন আইন অনুযায়ী, যদি প্রথম দফা ভোটদানে কোন প্রার্থী ৫০শতাংশেরও বেশি ভোট লাভ করেন, তাহলে তিনি সরাসরি বিজয়ী হবেন। যদি প্রথম দফা ভোটদানে কোনো প্রার্থী ৫০শতাংশেরও কম ভোট লাভ করেন, তাহলে প্রথম স্থানে থাকা দু'জন প্রার্থী দ্বিতীয় দফা ভোটদানে প্রতিদ্বন্দ্বিতার করবেন। বিশ্লেষকরা বলেছেন, যদিও কার্জাই শতকরা ৫০ ভাগেরও বেশি ভোট পেয়েছেন, দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণ এড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তুবও কারচুপি ভোটের অধিকাংশই কার্জাই'র বেশির ভাগ সমর্থনের অঞ্চলে হয়েছে। সেজন্য কারচুপি সম্পর্কে তদন্ত ও ভোট আবার পণনার পর কার্জাই'র সমর্থনের হার কমে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। এমনকি দ্বিতীয় দফা ভোটের আয়োজনেরও আশংকা রয়েছে।

নির্দিষ্ট কর্মসূচী অনুযায়ী আগামী অক্টোবর মাসে দ্বিতীয় দফা ভোটদান অনুষ্ঠিত হবে। কিপ্পেন ১৫ সেপ্টেম্বর ইংগিত দিয়ে বলেছেন, কারচুপি ও আবার পরিসখ্যানের কাজ আরো কয়েক সপ্তাহের সময় দরকার। সেজন্য আনুষ্ঠানিক ফলাফল প্রকাশের আরো বেশি সময় প্রয়োজন। আনুষ্ঠানিক ফলাফল স্থগিত রেখে প্রকাশ করলে দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠানের জটিলতা বেশি রয়েছে। কারণ আগামী নভেম্বর মাস থেকে আফগানিস্তানের শীতকাল শুরু হবে। আফগানিস্তানের অনেক দূরবর্তী অঞ্চলের পরিবহন তুষার পাতের কারণে বন্ধ করে দেয়া হবে। সেজন্য দ্বিতীয় দফা ভোটদান আগামী বছরের বসন্তকাল পর্যন্ত স্থগিত রেখে অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা রয়েছে। আফগানিস্তানের ক্ষমতা হস্তান্তরে অনেক লম্বা সময় নেয়া হলে তালিবানরা তাদের শক্তি বাড়ানোর সুযোগ পাবে। এর ফলে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠতে পারে।

ছাই ইউয়ে

  • সাক্ষাত্কার
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • অন-লাইন জরীপ
     
    © China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
    16A Shijingshan Road, Beijing, China