v চীনের বিশ্ব কোষv চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগ
চীনের কয়লা-সম্পদ ও জল-সম্পদ অফুরন্ত
2009-09-11 20:16:11

বাংলাদেশের ঢাকা জেলার শ্রোতা শুভ কিবরিয়া তার চিঠিতে চীনের বিদ্যুতশক্তি শিল্প সর্ম্পকে জানতে চেয়েছেন। এখন এ সর্ম্পকে কিছু বণর্না করবো। চীনের কয়লা-সম্পদ ও জল-সম্পদ অফুরন্ত। এই সব সম্পদের ভৌগোলিক অবস্থান বিশেষ সুবিধাজনক। প্রধানত উত্তর চীনে কয়লা উত্পাদিত হয়, আর দক্ষিণ-পশ্চিম চীন জল-সম্পদে সমৃদ্ধ। চীনের বিদ্যুত্শক্তি শিল্পের উন্নয়নে এগুলো খুবই সহায়ক। গত ৩০ বছর বছর চীনে বেশ কিছু সংখ্যক বিরাট ও মাঝারি ধরনের আধুনিক বিদ্যুতকেন্দ্র তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশের কুমিলা জেলার শ্রোতা সৌরভ তার চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে? প্রিয় শ্রোতা বন্ধু, এর আগে অন্যান্য শ্রোতাও একই প্রশ্ন করেছেন। আসলে আপনার এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া খুব কঠিন। কারণ চীন একটি বিশাল দেশ। সারা দেশে ঠিক কত বিশ্ববিদ্যালয় আছে তা বলা অত্যন্ত কঠিন। কেবল রাজধানী পেইচিংয়ে শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউট আছে। এ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পেইচিং ও ছিনওয়া বিশ্ববিদ্যালয় সবচেয়ে বিখ্যাত।

বাংলাদেশের খুলনা জেলার শ্রোতা মো: মনিরুজ্জামান তার চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনাদের বিয়ের অনুষ্ঠানের রীতিনীতি কি ?

প্রিয় বন্ধু, এর আগে আরও অনেক শ্রোতা একই প্রশ্ন করেছেন, এখন এ সর্ম্পকে কিছু বলবো। চীন একটি জাতিবহুল দেশ । চীনে মোট ৫৬টি জাতি আছে । বিভিন্ন জাতির বিয়ের রীতিনীতি ভিন্ন । চীন একটি বিশাল দেশ । বিভিন্ন জায়গায় একই জাতির বিয়ের রীতিনীতিও আলাদা । কিন্তু বতর্মানে চীনের বিভিন্ন জাতির বিশেষ করে শহরাঞ্চলের তরুণ-তরুনীরা তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান সহজ করে ফেলেছেন । সাধারণত বিয়ের দিনে বধূ ও বরের পরিবার ও আতীয়স্বজন , বন্ধু-বান্ধবরা এক সঙ্গে মিলে একটি জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সাধারণত বধূ ও বর সবাইয়ের সামনে তাদের মধ্যকার প্রেম সম্পর্কে বণর্না করেন । দু'পক্ষের বাবা-মা বধূ ও বরের সুখ কামনা করেন। অবশ্যই এই বিশেষ উপলক্ষ্যে, অনুষ্ঠানে কেউ কেউ বধু ও বর নিয়ে নানা ধরনের হাস্য রসামক করেন । যেমন, বধূ ও বরকে চুমু খেতে অনুরোধ করা হয়। নিঃসন্দেহে বিয়ের অনুষ্ঠানে ভাল ভাল খাবার পরিবেশিত হয়। তবে, চীনের কোনো কোনো সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় নিজস্ব জাতির ঐতিহ্যবাহী বিয়ের রীতিনীতি প্রচলিত আছে।

বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার চৌমুহনী সরকারি কলেজের শ্রোতা মানসী তার চিঠিতে চীনের মাধ্যমিক শিক্ষা সর্ম্পকে জানতে চেয়েছেন। প্রিয় বন্ধু, এর আগে অন্যান্য শ্রোতা একই প্রশ্ন করেছেন। তাহলে আজকে এ সম্পর্কে কিছু বলবো। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মাধ্যমিক শিক্ষায় চীনের বিশেষ অগ্রগতি হয়েছে। বতর্মানে চীনের অধিকাংশ বড় ও মাঝারি শহরে মাধ্যমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রী বাড়িতে থেকে বিদ্যালয়ে যায়। সপ্তাহে তারা পাঁচ দিন বিদ্যালয়ে যায়।প্রতিদিন ছ'ঘন্টা পড়াশোনা করে এবং এক ঘন্টা করে খেলাধুলা করে, বিজ্ঞানচর্চা করে ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। প্রত্যেক বছর স্নাতকদের মধ্যে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করেন। বতর্মানে রাজধানী পেইচিং ও শাংহাইয়ের মতো বড় বড় শহরে ৭০ শতাংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্নাতক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করার সুযোগ পায়।

বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার শ্রোতা মুহাম্মদ দিদারুল আলম তার চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনে ইমলাম ধর্ম গেবষণার কোন সংস্থা আছে? উত্তরে বলছি, রাজধানী পেইচিংয়ে অবস্থিত নিখিল চীন ইসলামিক সমিতি । চীনের এই ইসলামিক সমিতির প্রধান করণীয় হলো ইসলাম ধর্মের শিক্ষা সর্ম্পকে গবেষণা করা ও সংশ্লিষ্ট ঐতিহাসিক তথ্য সংগ্রহ করা এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের সঙ্গে পারস্পরিক তথ্য সংগ্রহ করা এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের সঙ্গে পারস্পরিক সমঝোতা ও মৈত্রী বাড়ানো। এই সমিতির উদ্যাগে মক্কা শরীফে হজ করার জন্যে বেশ কয়েক বার চীনের হজ দল পাঠানো হয়েছিলো। হজ করা ছাড়াও চীনের এই সব হজ দল অনেক মুসলিম দেশ ও অন্যান্য বন্ধুরাষ্ট্রে শুভেচ্ছা সফর করে এসেছে। তেমনি বিভিন্ন দেশের মুসলিম উলেমা ও মুফতীরা এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আমন্ত্রণক্রমে চীন সফরে এসেছিলেন। চীনে যেখানে যেখানে মুসলমানদের সংখ্যা কিছুটা দেশি সেই সব প্রদেশ, কেন্দ্রশাসিত শহর ও স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে স্থানীয় ইসলামিক সমিতি প্রতিষ্ঠিত রয়েছে।

বাংলাদেশের সিলেট জেলার শ্রোতা মামুন খান তার চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী কি একই স্কুলে পড়াশুনা করে? উত্তরে বলছি, চীনের ছাত্র-ছাত্রী একই স্কুলে পড়াশুনা করে। তারা এক সঙ্গে খেলাধুলা করে । এমন কি ছেলে ও মেয়ে একই টেবিলে বসে। কিন্তু নয়া চীন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে চীনের বড় বড় শহরগুলোতে নারী স্কুল ছিল। আমার জানা মত, রাজধানী পেইচিংএ একটি নারী ইনস্টিটিউট আছে। জানা গেছে, কোনো কোনো শহরের আবার নারী স্কুল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা আছে।

ভারতের পশ্চিম বাংলার শ্রোতা বিজয় দত্ত তার চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, বতর্মানে চীনে কত ভারতীয় ছাত্রছাত্রী পড়াশুনা করছেন? চীনের কোন শহরে বিদেশী ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশী? প্রিয় বন্ধু, বতর্মানে চীনে অধ্যায়নরত ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা খুব বেশী নয়। ঠিক কত কোন তথ্য থেকে জানা যায়নি। এক কথায় অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারত থেকে চীনে পড়াশুনা করতে আসা ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কম। চীনের রাজধানী পেইচিংয়ে বিদেশী ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশী। আমার জানা মতো বতর্মানে পেইচিংয়ে প্রায় দশ হাজার বিদেশী ছাত্রছাত্রী আছে।

  • সাক্ষাত্কার
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • অন-লাইন জরীপ
     
    © China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
    16A Shijingshan Road, Beijing, China