v চীনের বিশ্ব কোষv চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগ
চীনের টেলিযোগাযোগ শিল্পে লক্ষ্যনীয় সাফল্য অর্জিত
2009-09-03 21:02:51
   শ্রোতা বন্ধুরা, ৫৯ বছর বয়স্ক পেইচিংবাসি লো হুয়ে ইং সিছেন জেলার একটি শত বছরের ইতিহাস সম্পন্ন চক মেলানো বাড়িতে বসবাস করেন । আজ তার বাসায় গিয়ে গত ৫০ বছরের টেলিযোগাযোগ পদ্ধতি পরিবর্তানের মাধ্যমে তার পরিবারের কর্মকান্ডের কাহিনী শুনবো। তার পরিবারের কাহিনী থেকে চীন গণ প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ৬০ বছরের তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রের উন্নতি পযার্লোচনা করা হবে।

অপারেটার: কোথায় টেলিফোন করবেন?

   নায়ক: তিন নম্বর খনি ক্ষেত্রে

    অপারেটার: তিন নম্বর খনি ক্ষেত্র? আমি এখানে এক মাসেরও বেশী সময় কাজ করেছি, অথচ আমি কোন দিন তিন নম্বর খনি ক্ষেত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। একশো কিলোমিটারেরও বেশী দূরে । কত বিদ্যুতের খুঁটি দরকার!

    এটি হল কয়েক বছর আগে চীনে নির্মিত একটি অতি জনপ্রিয় ছায়াছবির একটি সংলাপ । এই কাহিনীর সূত্রপাত একটি শহরে। আজ থেকে অনেক বছর আগে, টেলিফোন করার জন্য পোষ্ট অফিসের সামনে লাইনে দাঁড়াতে হতো। লু ভিয়ে ইং বলেন, এই ছায়া ছবি দেখার পর চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হেলংচিয়াংয়ে জমিতে কৃষিকাজে তার পরিশ্রমের কথা মনে পড়ে। তখন পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি কেবল চিঠির ওপর নির্ভর করতে হতো । যখন পরিবারের কথা মনে পড়তো তখন চিঠি লিখে পেইচিং পাঠতাম। তিনি বলেন,

    সে সময় পিয়ন আমাদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ছিল। কারণ তাদের মাধ্যমে চিঠি আমাদের হাতে পৌছতে পারতো। বিশেষ করে যারা প্রান্তিক অঞ্চলে থাকেন তাদের কাছে পিয়ন ছিল আরও বেশি। কারণ পিয়ন হয়তো এক সপ্তেহে এক বার করে সেখানে যেতে পারতেন।

     মাঝে মাঝে হেইলুংচিয়াংয়ের তার শ্রমের অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ে। বিশেষ কোন জরুরী প্রয়োজনে লু ভিয়ে ইং টেলিফোন করে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। কারণ তখন টেলিফোন করাও অত সহজ কাজ ছিল না। সাধারণত ইকসস্টেশন করতে হয়। উপরন্তু সঙ্কেতও ভাল ছিল না। কখন কখন যোগাযোগ করা যেত না।

    গত শতাব্দীর আশি দশকে লু ভিয়ে ইং পেইচিং ফিরে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর তিনি ও তার স্বামী লিও সি জেন আলাদা জায়গায় থাকতেন। তখন টেলিফোনের সংখ্যা খব কম ছিল। তবে টেলিফোন করতে চাইলে আবাসিক এলাকার কমিটির অফিসে টেলিফোনের ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু তখন চীনাদের মাসিক বেতন খুব কম। কম বেতন বলে তখন টেলিফোনের ফি অপেক্ষাকৃত দামি। টাকা বাঁচানোর জন্য টেলিফোন করার আগে এমন কি কথার গুরুত্বর্পূণ বিষয় লিখতে হবে। লি সি জেন স্মরণ করে বলেন,

     তখন টেলিফোন করার আগে যে কথা বলতে হহো তা আগেই বিস্তারিত লিখে দিতে হতো। মোটেই আজকের মতো ছিল না। এখন টেলিফোনে অনেক ক্ষন কথা বলা যায়। তখন এক মিনিটে এক ইউয়ান দুই মাও লাগতো । কিন্তু তখন চীনের অধিকংশ মানুষের বেতন ছিল মাত্র ৩০ ইউয়ান । সুতরাং তখন লোকেরা খুব কম টেলিফো করতেন। তখন টেলিফোনের পরিবর্তে চিঠি লেখা হত।

    গত শতাব্দীর আশি দশকের শেষ নাগাদ, গত শতাব্দীর আশি দশকের শেষ নাগাদ, চীনের বাজারে ইটের মত বড় এক ধরনের সেলফোন আর্বিভুত হয় । তখন এ ধরনের সরঞ্জাম বিলাসী পণ্য বলে গণ্য করা হত। এমন কি এটা ছিল ধনী লোকের প্রতীক হিসেবে মনে করা হত। লু ভিয়ে ইং এখনও প্রথম বার অন্যাদের এই সেলফোন ব্যাবাহরের দৃশ্য মনে আছে। তিনি বলেন,

      যখন আমি এ ধরনের সেলফোন দেখি তখন খুব নতুন লাগে। আমি মনে মনে ভাবছিল তার ছাড়া কীভাবে টেলিফোন করা যায়। এখন বুঝতে পেরেছি , এটি একটি সাধারণ সেলফোল। কিন্তু সে সময় আমার কাছে অত্যন্ত রহস্যময়।

     সেলফোন জনপ্রিয় হয়ে উঠার আগে স্থাবর টেলিফোনের সংখ্যা গত শতাব্দীর নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময় বৃদ্ধি পায়। লু ভিয়ে ইং বলেন, পরে বিনা মূল্যে স্থাবর টেলিফোন স্থাপন করা যায়। এখন প্রায় ঘরে ঘরে টেলিফোনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

      এর পাশাপাশি চীনে সেলফোনের ফি ক্রমেই কমে গেছে। সেলফোন ব্যবহারকারীদের সংখ্যাও দ্রুত বেড়েছে। ২০০১ সালে যখন লু ভিয়ে ইংয়ের বড় মেয়ে বিশ্ববিদ্যায়ে ভর্তি হন তখন তারা পুরস্কার হিসেবে মেয়েকে একটি সেলফোন কিনেছেন। লিও চিন চিনের এক বয়সের অনেক ছেলে-মেয়ে গত শতাব্দীর শেষ দিক থেকে কম্পিউটার ব্যবহার করতে শুরু করে। তার অনেক পড়ার সাথী কম্পিউটারের মাধ্যমে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে কথা বলে। যখন কম্পিউটারে লগইন করি তখন প্রথম কাজ করতে হয় নিজের ইমেল খোলা । সে ধরনের উত্তেজনা ও প্রত্যাশিত মনের কথা এখনও তার মনে ষ্পষ্ট

  • সাক্ষাত্কার
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • অন-লাইন জরীপ
     
    © China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
    16A Shijingshan Road, Beijing, China