
থাইল্যান্ড সরকার সম্প্রতি ব্যাংককে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১০ সালে অনুষ্ঠেয় সাংহাই বিশ্ব মেলায় থাইল্যান্ড ভবনের নির্মান পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে ।
থাইল্যান্ডের সমাজ উন্নয়ন ও জনশক্তি নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান ,এ দেশের মানুষের জীবনযাত্রাই সাংহাই বিশ্ব মেলার থাইল্যান্ড ভবনের মূল বিষয় ।
৩১১৭ বর্গ মিটারের থাইল্যান্ড ভবনের তিনটি প্রদর্শনী কক্ষ রয়েছে । প্রথম প্রদর্শনী কক্ষের নাম: আনন্দপূর্ণ ঐতিহাসিক ভ্রমন । কক্ষটির মাঝখানে থাকবে একটি কৃত্রিম জলপ্রপাত । বিরাটকায় পর্দায় থাইল্যান্ডের ইতিহাসের যে বর্ণাঢ্য চিত্র প্রদর্শিত হবে এ কৃত্রিম জলপ্রপাতের মধ্য দিয়ে তা দেখা যাবে ।

দ্বিতীয় কক্ষের নাম: সুললিত সুরের সমবেত সংগীত । দ্বিতীয় কক্ষে সাজানো পন্যদ্রব্য ও ছবিগুলো দেখে থাইল্যান্ড ও সারা বিশ্বের অর্থনীতি ও সংস্কৃতির মিলনের কথা জানা যাবে ।
তৃতীয় কক্ষের নাম:থাইল্যান্ডবাসীর মনোরম প্রকৃতি । থাইল্যান্ডের বিভিন্ন জাতি ও মহলের জনসাধারণ অভিন্ন জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জনের যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তা এ কক্ষে প্রদর্শিত হবে ।

থাইল্যান্ডের সমাজ উন্নয়ন ও জনশক্তি নিরাপত্তা মন্ত্রী ইসারা সংচাই সাংবাদিকদের জানান , সাংহাই বিশ্ব মেলায় থাইল্যান্ডের অংশগ্রহণ থাইল্যান্ড-চীন মৈত্রী জোরদারের এক সুবর্ণ সুযোগ করে দেবে ।এর পাশাপাশি থাইল্যান্ডের পর্যটন ,শিল্প ও কৃষির উন্নয়নগতি দ্রুত হবে এবং থাইল্যান্ডের অর্থনীতি তেজীয়ান হয়ে উঠবে ।
থাইল্যান্ডে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত গুযান মু সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ,দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় থাইল্যান্ডের স্থাপত্যশিল্পের সৌন্দর্য অপূর্ব । আমি বিশ্বাস করি, সাংহাই বিশ্ব মেলায় থাইল্যান্ডের যে স্থাপত্যশৈলী প্রদর্শিত হবে তা লক্ষ লক্ষ দর্শকের মনকে স্পর্শ করবে । |