ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার বমনগর গ্রামের শ্রোতা সুদেষ্ণা বসু তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, প্রতি সকালে সি আর আই শুনে আমি চীনের আত্মা, জীবনধাতুর স্পর্শ পাই। দীর্ঘ সাত বছর ধরে সি আর আইয়ের বাংলা বিভাগের সঙ্গে আমি নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছি। সি আর আই আজ আমার জীবনে অবিচ্ছেদ্য অংশ। সি আর আইয়ের মোহনীয় অনুষ্ঠান চীন দেশের চিরন্ডনআগ্রহ জাগিয়ে তোলে আমার বুকে। কিন্তু মনের এই সুপ্ত ইচ্ছা বুকের মাঝে চেপে রাখি আর্থিক সামর্থ্যের অভাবে। সি আর আইয়ের অনুষ্ঠান শুনে চীন ভ্রমনের তৃপ্তি কিছুটা হলেও সেটাই। সি আর আই আসার কাছে শুধু চীনের জানালো নয়, বাইরের পৃথিবীটাকে জানবার জানালো। সি আর আই আমার হৃদয়ের আয়না, সে জড়িয়ে রয়েছে আসার জীবনের কণায় কণায়। আমি জানি আমি কখনো চীনে যেতে পাবো না। ' চলোনা ঘুরে আসি, সেই গ্রাম এই জীবন, ইতিহাসের অরন্যে বিচরণ, কন্যা জায়া জননী' এই অনুষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে আমি পরিচিত হতে পেরেছি চীনের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি আর ইতিহাসের সঙ্গে। বসন্ত উত্সব, কৌকা উত্সব, ড্রাগন নাচ, লন্ঠন উত্সব, নাদামো উত্সব আমাকে চীনের সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের প্রতি আগ্রহী করে তুলেছে। প্রিয় বন্ধু, আপনি সত্যি সত্যিত একটি সুন্দর চিঠি লিখেছেন। আপনার চিঠি পড়ে বুঝতে পেরেছি যে , আপনি আমাদের বাংলা অনুষ্ঠানের একজন ভক্ত শ্রোতা। আপনি আমাদের অনুষ্ঠান শুনতে পছন্দ করেন। তা ছাড়া আপনার চিঠিতে চীনে ভ্রমন করার ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়েছে। চিঠিতে আপনি লিখেছেন, আপনি কখনো চীনে যেতে পারবেন না। আমি আপনার সঙ্গে এক মত নই। কেননা, চীন ভারতের একটি প্রতিবেশী দেশ। চীন ভ্রমণের খরচ হয়তো খুব বেশী নয় । জানা গেছে, চীন আর ভারতের মধ্যে একটি পযর্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী, দু'দেশের পযর্টকরা সহজেই দু'দেশে ভ্রমণ করতে পারেন। সুতরাং আপনি কেন এক দিন চীন সফর করতে পারবেন না।
বাংলাদেশের ডিনাজপুর জেলার শ্রোতা মো: সুলতান মাহমুদ তাঁর চিঠতে লিখেছেন, আমি আপনাদের দক্ষ পরিচালনায় পরিবেশিত চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগের একজন নিয়মিত শ্রোতা। আপনাদের অনুষ্ঠান আমার খুব ভাল লাগে।তাই নিয়মিত শ্রবন করার চেষ্টা করি। প্রত্যেক বুধবারের ' মুখোমুখি' এবং প্রত্যেক শনিবারের মিতালী আমার সবচেয়ে ভাল লাগে।কেননা, আমি দু'টো অনুষ্ঠানকে আমাদের শ্রোতাদের নিজের অনুষ্ঠান বলে মনে করি। প্রিয় শ্রোতা বন্ধু, ধন্যবাদ । আমরা শীঘ্রই অনুষ্ঠান সূচী আপনাকে পাঠাবো। আশা করি নিয়মিত আমাদের অনুষ্ঠান শুনবেন। কোন মতামত থাকলে আমাদের চিঠি লিখে জানাবেন।
রাজবাড়ী জেলার শ্রোতা সুমীখান তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, আমি আপনাদের একজন নিয়মিত শ্রোতা । সম্প্রতি আমি লক্ষ্য করেছি , বাংলা বিভাগের আগের অনুষ্ঠানসূচী থেকে এখনকার অনুষ্ঠানসূচী ভিন্নতর হয়েছে। ভিন্নতর অনুষ্ঠানগুলো অনেক উন্নতি হয়েছে। এইতো এই গ্রাম সেই জীবন অনুষ্ঠানে এখন কৃষি খবর প্রচার করা হয়। এতে ভালই লাগছে। সব কিছুর মধ্যে নতুনত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। আমার কাছে অপূর্ব লাগছে অনুষ্ঠানমালা। চীনের কৃষি সম্পর্কে গ্রামের মানুষ সম্পর্কে এখন বিস্তারিত জানা যায়। খুব ভাল লাগে। সেই গ্রাম এই জীবন অনুষ্ঠানে আরও নতুনত্ব ধারা বয়ে আসুক সেই প্রত্যাশায়। প্রিয় বন্ধু, আমাদের অনুষ্ঠানের প্রশংসা করার জন্য ধন্যবাদ। প্রত্যেক বছরের জুলাই মাসে আমাদের অনুষ্ঠান এক বার করে পরিবর্তন করা হয়। চলতি বছরের জুলাই মাসের পর আমাদের পরিবর্তিত অনুষ্ঠানে সত্যিই অনেক নতুনত্ব দেখা দিয়েছে । ভবিষ্যতে আমাদের অনুষ্ঠান আরও সুন্দর হবে আশা করা হচ্ছে। আশা করি , আগের মতো ভবিষ্যতেও আপনি আমাদের বাংলা অনুষ্ঠান নিয়মিত শুনবেন। নিয়মিত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখবেন।
গাইবান্দ্ধা জেলার শ্রোতা টিটু আখান্দ তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, আমি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানের একজন পুরাতন শ্রোতা । দীর্ঘ দিন ধরে আমি আপনাদের বাংলা অনুষ্ঠান শুনে থাকি। আগের চেয়ে আপনাদের অনুষ্ঠানগুলোর উপস্থাপনার মান অনেক উন্নত হয়েছে। ধন্যবাদ আপনার প্রশংসার জন্য। বাংলা বিভাগের কয়েক জন মেয়ে তাদের উপস্থাপনার মান উন্নত করার জন্যে যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। সুতরাং তাদের উপস্থাপিত অনুষ্ঠানে উন্নতি দেখা দিয়েছে। অবশ্যই আমাদের বাংলা অনুষ্ঠান আরও উন্নত করার জন্যে আমাদের আরও চেষ্টা করতে হবে। যেন শ্রোতা বন্ধুদের প্রত্যাশাকে আশাহত না করা হয়।
ময়মনসিংহ জেলার শ্রোতা ফারুক আহমেদ তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, আমি আপনাদের একজন নিয়মিত শ্রোতা । প্রায় দশ বছর আগে আমি আপনাদের অনুষ্ঠান শুনতে শুরু করি। বতর্মানে বাংলা অনুষ্ঠান অনেক উন্নত হয়েছে। অনুষ্ঠান এক ঘন্টা বাড়ানোর পর আমরা চীন সম্বন্ধে আরও বেশী জানতে পারি। প্রত্যেক শনিবারের মিতালী আমার সবচেয়ে প্রিয় অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠান শুনতে আমার খুব ভাল লাগে। প্রিয় বন্ধু, ধন্যবাদ। আপনি আমাদের একজন পুরাতন শ্রোতা। নিয়মিত আমাদের কাছে চিঠি পাঠান। মাঝে মাঝে চিঠিতে প্রস্তাবও করেন। আশা করি, নিয়মিত আমাদের বাংলা অনুষ্ঠান শুনবেন। কোন মতামত থাকলে আমাদের চিঠি লিখে জানাতে ইতস্তত: করবেন না। আমাদের অনুষ্ঠান উন্নত করার জন্যে আপনার মতে শ্রোতার ভাল পরামর্শ দরকার।
সিরাজ গন্জ জেলার শ্রোতা সিসেস রাশিদা তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, আমি সি আর আইএর বাংলা বিভাগের একজন মিয়মিত শ্রোতা। আমি ১৯৯৯ সাল থেকে আপনাদের অনুষ্ঠান শুনি এবং পত্র যোগাযোগ করে থাকি। আমি একজন ছাত্রী। সি আর আইএর বাংলা অনুষ্ঠান আমার অত্যন্ত প্রিয়। সি আর আইএর প্রতিটি অনুষ্ঠান আমাকে মুগ্ধ করে। পনাশুনার ফাঁকে ফাঁকে আমি আপনাদের অনুষ্ঠান শুনে থাকি। খুব ভাল লাগে। বিশেষ করে আপনাদের প্রত্যেক বুবধারের মুখোমুখি আর প্রত্যেক শনিবারের মিতালী আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয়। এ দুটো অনুষ্ঠান শুনতে আমি কোন দিন মিস করি না।শ্রোতা বন্ধু, আমাদের অনুষ্ঠান শোনার জন্যে ধন্যবাদ। শ্রোতাদের প্রত্যাশাকে আশাহত না করার জন্য আমরা যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালাবো। আশা করি, মিয়মিত আমাদের অনুষ্ঠান শুনবেন। নিয়মিত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।
সুনামগনজ জেলার শ্রোতা মো: শাহদত হোসেন তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, আমি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগের একজন পুরানো শ্রোতা। ছাত্রাবস্থায় আপনাদের কাছে নিয়মিত লিখতাম। সম্প্রতি আবার লেখা শুরু করেছি। আমি মনে করি, অনুষ্ঠান শুনার পাশাপাশি নিয়মিত ডাক যোগাযোগও থাকা দরকার। আমি মূলত আপনাদের সকালের প্রচারিত অনুষ্ঠান শুনে থাকি। জরুরী কথা হলো: আমি আপনাদের তালিকাভুক্ত শ্রোতা হতে চাই। এ ছাড়া আমি একটি শ্রোতা সংঘের সভাপতি। ক্লাবটি বেশ কিছু দিন যাবত নিষ্ক্রিয়, এখন এটিকে আমি সক্রিয় করতে চাই। সে জন্যে আপনাদের সুন্দর যোগাযোগের অপেক্ষায় রইলাম। প্রিয় শ্রোতা বন্ধু, ধন্যবাদ আমাদের অনুষ্ঠান শোনান জন্য। আপনি সত্যিই আমাদের একজন ভক্ত শ্রোতা। আসলে আপনি আমাদের একজন তালিকাভুক্ত শ্রোতা হয়েছেন। আমরা নিয়মিত আপনার কাছ থেকে চিঠিপত্র পেয়ে থাকি। আমরা জানি, আপনি মন দিয়ে আমাদের অনুষ্ঠান শুনে থাকেন। এ জন্য আমরা খুব মুগ্ধ হয়েছি।আশা করি, আগের মতো ভবিষ্যতেও আমাদের অনুষ্ঠান শুনবেন। কোন মতামত থাকলে, আমাদের কাছে চিঠি লিখে জানাবেন। আমাদের অনুষ্ঠান আরও উন্নত করার জন্যে শ্রোতাদের পরামর্শ খুবই দরদার। তাই নিয়মিত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় করতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে। |