v চীনের বিশ্ব কোষv চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগ
চীন-ভারত সীমান্ত সমস্যা বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধিদের এয়োদশ বৈঠক শুরু হয়েছে
2009-08-07 19:55:08
     ৭ আগস্ট ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে চীন-ভারত সীমান্ত সমস্যা বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধিদের এয়োদশ বৈঠক শুরু হয়েছে। এ বৈঠকে চীনের বিশেষ প্রতিনিধি চীনের রাষ্ট্রীয় কাউসিলার তেই পিন কুও ও ভারতের বিশেষ প্রতিনিধি ভারতের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এম কে নারায়ানানের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। চীনের দক্ষিণ এশিয়া সমস্যা বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সীমান্ত সমস্যা চীন ভারতের স্পর্শকাতর নাড়িকে টেনে নিয়েছে। এবারের বৈঠকে মতৈক্য পৌছাতে কঠিন। কিন্তু দু'দেশের সম্পর্কের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করতে গেলে দু'পক্ষের বিশেষ করে ভারতের নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

    চীন-ভারত সীমান্ত রেখার দৈর্ঘ্য দু'হাজার কিলোমিটার। পূর্ব, মধ্য ও পশ্চিম এ তিন ভাগে ভাগ করা হয়। বতর্মানে দু'পক্ষের মধ্যে বির্তকিত অঞ্চলের আয়তন প্রায় এক লক্ষ ২৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার। এ সব বিতর্কিত অঞ্চল প্রধানত পূর্বাংশের ম্যাকমোহন লাইনের পাশ্ববর্তী এলাকায় অবস্থিত। ২০০৫ সালে চীনের প্রধান মন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাওয়ের ভারত সফরের সময় দু'দেশের মধ্যে " সীমান্ত সমস্যা সমাধানের রাজনৈতিক পরিচালনার মৌলিক নীতি" স্বাক্ষরিত হয়। চীনের আধুনিক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গবেষণালয়ের অধ্যাপক, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া গবেষণালয়ের উপ পরিচালক হু সি সেন মনে করেন, সীমান্ত সংক্রান্ত আলোচনা ষ্পর্শকাতর বলে এবারের বৈঠকে মতৈক্য পৌছানো বেশ কঠিন হবে। তিনি বলেন,

      আমরা জানি যে, ২০০৫ সালে যে রাজনৈতিক পরিচালনার মৌলিক নীতি নির্ধারন করা হয়েছে তাতে অনেক বিধি রয়েছে। এ সম্পর্কে বিভিন্ন পক্ষের যে উপলব্দি হয়েছে তাতে বড় পার্থক্য রয়েছে। দু'পক্ষের পার্থক্য দূর করা বেশ কঠিন। এটা সত্যিই একটি জটিল ব্যাপার। তা ছাড়া, সীমান্ত একটি অত্যন্ত স্পশকাতর বিষয়। সুতরাং দু'পক্ষের সতর্কভাবে এ বিষয় মোকাবিলা করা উচিত।

    ২০০৫ সালের পর, দু'পক্ষের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে বেশ কয়েক বার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু দু'পক্ষের মধ্যে মদভেদ কমানো সম্ভব হয়নি বরং বেড়েছে। অধ্যাপক হু সি সেন মনে করেন,

    আলোচনা অচলাবস্থায় পড়ার কারণ এই যে, ভারত ধীরে ধীরে সীমান্ত অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা সীমান্ত অঞ্চলের প্রতিরক্ষামূলক শক্তি জোরদার করেছে। তারা এ সব অঞ্চল তাদের ভুখন্ড হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছে। এটা চীনের পক্ষে কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।

     জনমত অনুযায়ী, এবার চীন-ভারত বৈঠকের পরিবেশ আগের তুলনায় ভিন্ন। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ভারত "চীনকে ভারতের হুমকি " হিসেবে মন্তব্য প্রচার করছে। এর সঙ্গে সঙ্গে সীমান্ত অঞ্চলে ভারতের সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে ঘনঘন। গত জুন মাসে ভারত চীন-ভারত সীমান্তের তথাকথিত আরুনাছাল প্রদেশে দু'টা পাহাড়ী ডিভিশন পাঠিয়েছে। এখন এ অঞ্চলে সৈন্যের মোট সংখ্যা এক লাখ। আসলে এ অঞ্চল চীনের তিব্বতের দক্ষিণাংশের একটি অংশ।

     অধ্যাপক হু সি সেন বলেছেন, চীন-ভারত সীমান্ত সমস্যায় চীনের অবস্থান বরাবর এক ও অভিন্ন । তিনি বলেন,

প্রথমত: সীমান্ত সমস্যা সমাধান করতে দু'পক্ষের সমঝোতা ও আপোষ একান্ত প্রয়োজন। দু'পক্ষের উদ্যোগ না থাকলে এ সীমান্ত সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। দ্বিতীয়ত: কেবল সমতার ভিত্তিতে রাজনৈতিক নিষ্পত্তির মাধ্যমে এ সীমান্ত সমস্যার সমাধান করা উচিত। তৃতীয়ত: সীমান্ত সমস্যার মৌলিক নীতি হল শান্তি বজায় রাখা। যে কোন সময় দু'দেশের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না।

  • সাক্ষাত্কার
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • অন-লাইন জরীপ
     
    © China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
    16A Shijingshan Road, Beijing, China