v চীনের বিশ্ব কোষv চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগ
"এ সব গানের সঙ্গে আমরা বড় হয়েছি"-শিশু দিবস উপলক্ষে গানগুলো
2009-06-17 16:01:05
    এ সব গান শুনে শুনে আমরা বড় হয়েছি। আমাদের এ প্রজন্মের মানুষ ছোটবেলায় কি কি গান শুনতাম তা আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদের শোনাচ্ছি।

    "বসন্তকাল কোথায়? বসন্তকাল কোথায়? বসন্তকাল আমরা সবুজ বনের ভেতরে পাই। সেখানে লাল ফুল আছে সবুজ ঘাস আছে এবং কুহু কুহু গান গাওয়ার পাখিও আছে"। এ সুন্দর গান যেন ৫০ বছর ধরে চীনা মানুষের মনে গভীর প্রভাব ফেলেছে।

    নয়া চীন প্রতিষ্ঠিত ৬০ বছর হয়েছে। এ বছরগুলোর মধ্যে চীনের শিশুদের নয়া চীনের সঙ্গে বড় হয়েছে। তাই গানের মধ্যেও তাদের সুন্দর স্বপ্ন ও সুন্দর জীবনের প্রতি আশাআকঙ্খা রয়েছে।

    যে গানটি আপনারা শুনছেন তা হলো "কুয়াই লা দা চিয়ে রি---আনন্দের দিবস"। এ গানটি বিংশ শতাব্দীর ৫০এর দশকে রচিত হয়। রচনা হওয়ার পর শিশুদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠে। এ গানে বলা হয়, পাখি আমাদের ওপরে, বাতাস আমাদের গায়ে বয়ে যায়। আমরা বসন্তকালের মত পার্কে প্রবেশ হয়েছি। আমাদের সুন্দর রঙ্গিং কাপড় সুর্য্যের নিচে ফুলের মত দেখায়। আমরা নাচ নাচি গান গাই। প্রিয় চাচা চাচি আমাদের সঙ্গে এ আনন্দের দিবস কাটি।

    শিশুদের বড় হওয়ার প্রক্রিয়ায় শিশুদের গানের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০০৫ সাল থেকে চীন সরকার "শিশুদের গান উন্নয়নের পরিকল্পনা" চালু করেছে। সমাজের বিভিন্ন পক্ষের সাহায্যে হাজার হাজার শিশু গান রচিত হয়।  

    যে গানটি আপনারা শুনছেন তা হলো পেইচিংয়ের দ্বিতীয় স্কুলের ছাত্র ওয়াং সিং ইয়ু'র গাওয়া গান "বাবামা, আমার কথা শোনো"। সব বাবা মা চায় নিচের বাচ্চারা বড় হওয়ার পর সমাজে নিচের ভূমিকা পেতে পারবে। এবং অন্য শিশুদের চেয়ে ভাল ফল পাবে। তাই অনেক ছোটবেলা থেকে তাদের ওপরে পড়াশোনার চাপ বেশি দেয়া হয়। এ গানে বাবা মা'র কাছে চাপ কমিয়ে দিয়ে শিশুদের আরো বেশি খেলার সময় দেয়ার আহ্বান জানান হয়।

    গানে বলা হয়, তোমরা আমার ভাল হওয়ার জন্য অনেক করছো তা আমি জানি। আমাকে এটা শিখার কথা বলেছো আবার ওই শিখার কথা বলছো। আমি এতো ব্যস্ত কিভাবে থাকতে পারি? আমার মনের কষ্ট কে জানে? বেশি শিখলেও আমি আয়ত্ত করতে পারি না। বাবা, আমার কথা শোনো। মা আমার কথা শোনো। আমি বন্ধু'র সাথে খেলাধুলা করতে চাই। বাবা, আমার কথা শোনো। মা, আমার কথা শোনো। আমি তোমাদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে চাই।  

    শিশুদের গানের মধ্যে কিছুটা প্রাচীনকালের কবিতা দিয়ে গান বানানো হয়। যেমন "শুন সিয়াও" গানটি। চীনের থাং রাজবংশের কবি মেং হাও রান এ কবিতা রচনা করেন।  

    গানে বলা হয়, বসন্তকালে ঘুম এতো মিষ্টি যেন যথেষ্ট হয় না। সকাল পাখি'র আওয়াজ শুনে বোঝা যায় সকাল এসেছে। গতকাল রাতে বাতাস এবং বৃষ্টি পড়েছিল নাকি? নয়লে এতো ফুল গাছ থেকে পড়ে গেছে কেন?

    আমরা আরেকটি গান শোনবো। গানের নাম "মেয়েটি মাশরুম খুঁজছে। এ গানে সুন্দর ভাষায় পাহাড়ে ওঠে মাশরুম খোঁজার একটি মেয়ে'র কথা বল হয়।

    গানে বলা হয়, মাশরুম খোঁজার মেয়েটি এক বড় বাস্কেট নিয়ে সকালে পাহাড়ে ওঠে। সে কোনো জুতা না পরে মাশরুম খোঁজার জন্য অনেক জায়গা গিয়েছে। তার পরিশ্রমে পাওয়া মাশরুম আকাশের তারার মত বেশি। তার বাস্কেটে মাশরুর সবচেয়ে বড়, যেন ছোট ছাতার মত।

    অনুষ্ঠানের শেষ প্রান্তে এসে আমরা আরেকটি গান শোনবো। গানের নাম "মনের আশা"। গানে বলা হয়, ভবিষ্যতে সমুদ্রে কত সুন্দর সুন্দর জাহাজ থাকবে? মাছ লাফালাফি করে জাহাজকে চুমু দেবে। ভবিষ্যতে বনে অনেক সুন্দর সুন্দর সময় হবে। পাখি'র গান আরো মিষ্টি হবে। ভবিষ্যতে যেন আর দুর্ঘটনা হবে না। আমরা নিচের হাত দিয়ে বাড়ি বানানো। ভবিষ্যতের পৃথিবী শান্তিপূর্ণ হবে। আমরা আশা করি, আমরা অপেক্ষা করছি। (ইয়াং ওয়েই মিং)

  • সাক্ষাত্কার
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • অন-লাইন জরীপ
     
    © China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
    16A Shijingshan Road, Beijing, China