ইয়ুন নান প্রদেশের শিল্প ও তথ্যায়ন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, গত বছর সারা ইয়ুন নান প্রদেশের জ্বালানি সাশ্রয় ও নিঃসরণ কমানোর ব্যাপারে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। ২০০৭ সালে জ্বালানি সাশ্রয় ও নিঃসরণ কমানোর পরিমান ৩.৮ শতাংশ কমানোর ভিত্তিতে ২০০৮ সালে এর পরিমান আরও ৪.৪ শতাংশ কম হয়েছে।
২০০৬ সালে ইয়ুন নান প্রদেশের জ্বালানি সাশ্রয় ও নিঃসরণ কমানোর কর্মকান্ড শুরু হওয়ার পর চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ইয়ুন নান প্রাদেশিক কমিটি এবং প্রাদেশিক সরকার জ্বালানি সাশ্রয় ও নিঃসরণ কমানোর কাজ অর্থনৈতিক অবকাঠামো সমন্বয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে পর্যায়ক্রমে " ইয়ুন নান প্রদেশের জ্বালানি সাশ্রয় ও নিঃসরণ কমানোর সার্বিক কর্মকান্ড সম্পর্কিত প্রস্তাব" এবং "ইয়ুন নান প্রাদেশিক সরকার জ্বালানি সাশ্রয় ও নিঃসরণ কমানো জোরদার সংক্রান্ত কয়েকটি মতামত"সহ সংশ্লিষ্ট ১৫টি দলিলপত্র প্রস্তুত করেছে। যা সার্বিকভাবে জ্বালানি সাশ্রয় ও নিঃসরণ কমানোর কাজকে এগিয়ে নেয়ার জন্য অনেক সহায়ক হয়েছে।
জ্বালানি সাশ্রয় ক্ষেত্রে সরকারকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়ার জন্য চীন জাতীয় জ্বালানি সাশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন করবে। প্রস্তুতকালীন এ কেন্দ্র ভবিষ্যতে জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশনের পরিচালনায় কাজে লাগবে।
জানা গেছে, এ কেন্দ্রের প্রধান কাজ হবে, জ্বালানি সাশ্রয়ী নীতি প্রণয়ন, নিয়ম, পরিকল্পনা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা সংক্রান্ত গবেষণা, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুরোধে স্থাবর পুঁজি বিনিয়োজিত প্রকল্পের জ্বালানি সাশ্রয় সংক্রান্ত মুল্যায়ণ, জ্বালানি সাশ্রয় সংক্রান্ত প্রযুক্তি, পণ্য ও নতুন ব্যবস্থাপনার সম্প্রসারণ এবং জ্বালানি সাশ্রয় ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আদান-প্রদানসহ সহযোগিতা চালানো।
২০০৪ সালে চীনের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো ব্যাপকভাবে জ্বালানি সাশ্রয় এবং তা কার্যকর করতে শুরু করেছে। এ সংস্থাগুলোতে ভোক্তার সম্পদ ব্যবহারে পরিমাণও কমে যাচ্ছে। গত বছর সংস্থাগুলোতে মাথাপিছু বিদ্যুত ব্যবহার এর আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪ শতাংশ কমেছে এবং পানির ক্ষেত্রে কমেছে ৮ শতাংশ ।
গত বছর চীনের ইয়ুন নান প্রদেশ নতুন স্থাপিত ১ হাজার ৪২৬টি বসতবাড়ি প্রকল্পের জ্বালানি সাশ্রয় ও নিঃসরণ কমানো সংক্রান্ত তত্ত্বাবধান ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে। ফলে বেশির ভাগ জ্বালানি ব্যবহারকারী ও দূষণযুক্ত মোট ১ হাজার ৭৪৭ গাড়ি ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। --ওয়াং হাইমান |