আজকের অনুষ্ঠানে আমি চীনের ক্যাপিটল নর্মল বিশ্ববিদ্যালয়ের অকেস্ট্রা দল এবং তাদের উপস্থাপিত সঙ্গীতগুলো আপনাদের শোনাচ্ছি।আশা করি আপনাদের পছন্দ হবে।
যে সঙ্গীত আপনারা শুনছেন তা হলো বেলজিয়ামের সঙ্গীত রচয়িতা ডার্ক ব্রোসের রচিত "জীবনের যুদ্ধ"।তিনি স্পেনের রীতিনীতি বুল-ফাইটিং কেন্দ্র করে এ সঙ্গীত রচনা করেন।তিনি বুল-ফাইটিংয়ে মানুষের সাহস, রাগী বুল এবং উত্তেজিত দর্শকদের নিয়ে গঠিত এ বৈচিত্র চলচ্চিত্র বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজানো আওয়াজের মাধ্যমে প্রকাম করতে পেরেছেন।
আপনারি শুনলেন চীনের ক্যাপিটল নর্মল বিশ্ববিদ্যালয়ের অকেস্ট্রা দলের বাজানো "জীবনের যুদ্ধ" সঙ্গীত।
১৯৫৪ সালে ক্যাপিটল নর্মল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।তা হলো চীনের রাজধানী পেইচিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়।তাদের অকেস্ট্রল দল প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯১ সালে। দলের সদস্য সবাই যুব মানুষ। এ দলের পরিচালক লিউ বিং ছুয়ান বলেন:
'এ দলের কয়েকটি বিশিষ্ট আছে। এক, তাদের সদস্য সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী। এ দলের গড়পড়তা বয়স ২০ বছর। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলে এ দলের গড়পড়তা মানও উচ্চু। তাই দলটি খুব জীবন্ত এবং এনাজেটিক।'
এ দলের সদস্যরা এক'শরও বেশি চীন ও বিদেশের বিখ্যাত সঙ্গীত উপস্থাপন করতে পারে। তারা বিভিন্ন জায়গায় প্রায় এক'শ বার কনসার্ট আয়োজন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ২০০৮ সালে পেইচিং অলিম্পিক সংক্রান্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।সব পারফমেন্স খুব সফল হয়েছে। তাছাড়া অকেস্ট্রার ব্যাপককরণ এবং ক্যাম্পাসের সংস্কৃতি বৈচিত্রময় গড়ে তুলার ক্ষেত্রেও তারা নিজের অবদান রেখেছে। লিউ বিং ছুয়ান জানান,
'এক দিকে আমরা ক্যাম্পাসে নিয়মিত কনসার্ট আয়োজন করি, যেমন নববর্ষ উপলক্ষে এবং নতুন ছাত্রছাত্রীদের স্বাগত জানানোর অনুষ্ঠানে তারা খুব সক্রীয়ভাবে অংশ নেন। অন্য দিকে, জাতীয় শিক্ষা পরিষদের আমন্ত্রণে আমরা আবার সমাজের সাধারণ দর্শকদের জন্য কনসার্ট আয়োজন করি। গত মার্চ মাসে আমরা মাত্র জাতীয় গ্রান্ড হলে কনসার্ট আয়োজন করেছি। তাছাড়া পেইচিং মিউজিক হল, জুং শান মিউজিক হল এবং জাতীয় লেব্রুয়ারি'র মিউজিক হল এবং জায়গাও আমরা কনসার্ট আয়োজন করেছি। যুব সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে আমরা দেশে বিদেশের অনেক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলাম।
যে সঙ্গীত আপনারা শুনছেন তা হলো এ অকেস্ট্রা দলের উপস্থাপিত 'হুয়াং হোকে রক্ষা করা'। এ সঙ্গীত বিংশ শতাব্দী'র ৩০ দশকে রচিত হয়। এ সঙ্গীততে চীনা মানুষদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের মাতৃ নদী হুয়াং হো তথা দেশকে রক্ষা করার দৃঢ়তা রয়েছে।
ক্যাপিটল নর্মর বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য ১০জন। তা হলো বর্তমান পেইচিংয়ের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহত্তম অকেস্ট্রা দলের অন্যতম। শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ক্যাপিটল নর্মল বিশ্ববিদ্যালয়ের অকেস্ট্রা দল সফল হয়েছে। পরিচালক লিউ বিং ছুয়ান বলেন:
'প্রতিষ্ঠা থেকে ১৮ বছরের উন্নয়নের পর সদস্যদের সংখ্যা পঞ্চাশ থেকে ১১০ হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ের কয়েকটি সঙ্গীত থেকে বর্তমানের এক'শটিও বেশি সঙ্গীত আয়ত্ত করা হয়। দলটি সত্যি বিকশিত হয়েছে। ২০০৫ সালে দলটি পেইচিং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের প্রথম সংস্কৃতি উত্সবের প্রথম পুরষ্কা পেয়েছে। ২০০৭ সালে আমরা পেইচিং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের দ্বিতীয় সংস্কৃতি উত্সবের প্রথম পুরষ্কার পেয়েছে।
যে সঙ্গীত আপনারা শুনছেন তা হলো 'রোক এন্ড রোল মিক্স'। জাপানের সঙ্গীত রচয়িতা নাওহাকু ইওয়াই কয়েকটি বিখ্যাত রোক এন্ড রোল মিউজিকের অংশ সংযুক্ত করে এ সঙ্গীত রচনা করেন। এ সঙ্গীত উপস্থাপন করার সময় সাক্সফোন বাদ্যশিল্পীরা মঞ্চের সামনে গিয়ে বাজার সঙ্গে সঙ্গে তাদের বোডিও মিউজিকের সঙ্গে নাড়ানো হয়।
২০০৮ সালের মে মাসে 'শাংহাইয়ের বসন্তকাল' নামক আন্তর্জাতিক মিউজিক উত্সবে তারা 'ই হাই' সঙ্গীতটি উপস্থাপন করেছেন। গানটি দর্শকদের স্বীকৃতি পেয়েছে।
অনুষ্ঠানের শেষ দিকে আমরা একসাথে তাদের উপস্থাপনা সঙ্গীত 'ভোরবেলা' শুনবো। এ সঙ্গীত অস্ট্রেয়ার সঙ্গীত রচয়িতা টোমাস দোস রচনা করেন। এ সঙ্গীতের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন জাতি'র মানুষ উজ্জ্বলের প্রতি আঙ্খা করার কথা প্রকাশ করা হয়। (ইয়াং ওয়েই মিং) |