এ বছর হচ্ছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৪৮তম এবং প্রেম ও বিদ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১০তম জন্ম জয়ন্তী। গত ৩১ মে চীনে বাংলাদেশ দূতাবাস, চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগ ও সেন্ট্রাল কনসার্ভেটরী অব মিউজিকের যৌথ সহায়তায় এ দু'জন বিশ্ববরণ্য কবির জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষ্যে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপী এ অনুষ্ঠানমালায় ছিল দু'টি পর্ব। প্রথম পর্বে ছিল রবীন্দ্র-নজরুলের উপর আলোচনা এবং দ্বিতীয় পর্বে ছিল স্বরচিত কবিতা পাঠ, আবৃত্তি এবং সঙ্গীতানুষ্ঠান।
আমরা অপেশাদার শিল্পীদের কবিতা আবৃত্তি ও তাদের গাওয়া রবীন্দ্র ও নজরুলের গানগুলো শোনার পাশাপাশি বিশেষ ধরনের আনন্দ অনুভব করেছি। সময়ের অভাবে ইচ্ছা থাকলেও আমি সে অনুষ্ঠানের পুরোটা আপনাদের শোনাতে পারছি না। তা সত্যিই পরিতাপের বিষয়। তবে আশা করি, আপনারা এ অনুষ্ঠানের অংশ বিশেষের রেকর্ডিং শোনার ভেতর দিয়ে দুই মহান কবির সৃষ্ট সাহিত্য ও সংগীতের বিশেষ সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে পারবেন।
প্রথম শুনুন চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমদের উদ্বোধনী ভাষণ।
পাই খাই ইউয়ান ভাষণ দিচ্ছেন
আমার সহকর্মী জনাব পাই খাই ইউয়ান দীর্ঘদিন ধরে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ও কাজী নজরুলের লেখার চীনা অনুবাদের চেষ্টা করে আসছেন এবং বেশ সফলতার সঙ্গে চীনা ভাষায় বেশ কয়েকটি অনুবাদগ্রন্ধও প্রকাশ করেছেন। এ অনুষ্ঠানে নজরুলের চীনের সাম্যবাদে আকৃষ্ট হওয়ার কথা ছাড়াও তিনি বিশেষ করে রবীন্দ্রনাথ আর চীনের মৈত্রীর ওপর বিষদ ব্যাখ্যা করেছেন। এখন শুনুন তাঁর ভাষণের অংশ বিশেষ।
সি.আর.আই এর বাংলা বিভাগের কর্মীরা অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র সংগীত গেয়েছেন
অনুষ্ঠানটি সকল শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে যায়।
বন্ধুরা, আশা করি, অনুষ্ঠানটি আপনাদের ভালো লেগেছে। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে) |