v চীনের বিশ্ব কোষv চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগ
চীনে কতগুলি মহানগরী আছে?
2009-05-29 21:03:11
     বাংলাদের নরসিংদি জেলার শ্রোতা শাকুর মজিদ তার চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনে কতো সিনেমা হাউস আছে? প্রিয় বন্ধু, আপনার এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া অত্যন্ত কঠিন। কারণ চীন একটি বিশাল দেশ। চীনের ছোট-বড় শহর ও গ্রামাঞ্চলে সিনেমা হাউস আছে। সারা চীনে কত সিনেমা হাইস আছে তা বলা সত্যিই মশকিল। আপনার এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে না পাওয়ার জন্য দু:খিত।

     বাংলাদেশের বগুড়া জেলার শ্রোতা মো: শাহ জালাল তার চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনে কতগুলি মহানগরী আছে? প্রিয় শ্রোতা বন্ধু, চীনের স্থলভাগের মোট আয়তন ৯৬ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার। চীনে ২৩টি প্রদেশ, পাঁচটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ও চারটি কেন্দ্রীয় শাসিত মহানগর আছে। পাঁচটি কেন্দ্রীয় শাসিত মহানগর ছাড়া, প্রতিটি প্রদেশের রাজধানী একটি মহানগরী। এভাবে হিসাব করা হলে চীনে ত্রিশটিরও বেশী মহানগরী আছে।

     বাংলাদেশের রংপুর জেলার শ্রোতা মাসুদ রানা আশিক তার চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনে কয়েকটি হাইওয়ে আছে? চীনের প্রথমটি হাইওয়ে কোন সালে চালু হয়? উত্তরে বলছি, বতর্মানে চীনে হাইওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৩৪ হাজার কিলোমিটার। যুক্তরাষ্ট্রের পর চীনের স্থান দ্বিতীয়। চীনের প্রথম হাইওয়ের নাম সাংহাই-চিয়াশিন হাইওয়ে। মানে চীনের সাংহাই থেকে ছেচিয়াংয়ের চিয়া শহর পযর্ন্ত নির্মিত হাইওয়ে। এ হাইওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ১৫.৯ কিলোমিটার। ১৯৮৪ সালের ২১ ডিসেম্বর এ হাইওয়ের নির্মান কাজ শুরু হয়। ১৯৮৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়। এ হাইওয়ের নির্মানে মোট ১ কোটি ৩০ লাখ ইউয়ান বরাদ্দ করা হয়েছিল।

     বাংলাদেশের পাবনা জেলার শ্রোতা করুণাময় চক্রবর্তী তার চিঠিতে চীনের চলচ্চিত্রের ইতিহাস জানতে চেয়েছেন। এখন সর্ম্পকে কিছু বণর্না করবো। ১৮৯৬ সালে চীনে চলচ্চিত্র দেখানোর প্রচলন হয়। কিন্তু চলচ্চিত্র তৈরির কাজ শুরু হয় প্রথম মহা যুদ্ধের অল্প কিছু দিন আগে থেকে। ১৯৩১‌ সালে চীনা কমিউনিষ্ট পার্টির নেতৃত্বাধীন বা প্রভাবাধীন লেখক ও শিল্পীরা শাংহাই ও অন্যান্য জায়গায় মোটমুটি প্রগতিশীল কতকগুলো ছায়াছবি তৈরী করেন। এগুলোর মধ্যে " উন্মত্ত স্ত্রোত" , " মহাপথ" ইত্যাদি ছায়াছবির নাম উল্লেখ করা যায়। জাপ-বিরোধী প্রতিরোধ যুদ্ধ ও মুক্তি যুদ্ধের সময়ে গুওমিনডাং শাসিত অঞ্চলগুলোর চলচ্চিত্র কর্মীরা সংগ্রামের মাধ্যমে আরো কতকগুলো ছায়াছবি তৈরী করেছিলেন যেগুলো তখনকার সমাজের উপর বিরাট প্রভাব ফেলেছিল। এগুলোর মধ্যে "সোংহুয়া নদীতে" ইত্যাদি ছায়ছবির নাম করা যায়। চীন গণ প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর , বিশেষ করে চীনে সংস্কার ও উন্মুক্ত নীতি চালু হওয়ার পর চীনের চলচ্চিত্র ব্যাপকভাবে বিকশিত হয়েছে।

    ভারতের পশ্চিম বাঙ্গলার শ্রোতা সুমন সেন গুপ্ত তার চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনের বৃহত্তম নদী ইয়াংসি নদীর ওপর কয়েকটি সেতু নির্মান করা হয়েছে? উত্তরে বলছি, এখন পযর্ন্ত ইয়াংসি নদীর ওপর মোট ১৮টি সেতু নির্মান করা হয়েছে। জানা গেছে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আরও দশ বারটি সেতু নির্মান করা হবে।

     বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার শ্রোতা এম এইচ জুয়েল তার চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনের কোনো কোনো জায়গায় কয়লার মজুদ সবচেয়ে বেশী? চীনের সবচেয়ে বেশী কয়লা-উত্পাদন হয় উত্তর চীনে। উত্তরপূর্ব চীন, মধ্য চীন ও পূর্ব চীনেও বিপুল পরিমাণ কয়লা নিষ্কাশন হয়। চীনের পুরনো খনি এলাকাগুলোর মধ্যে খাইলুয়ান, ডাথোং, ফুশুন, ফুসিন, পিংসিয়াং আগেই থেকেই প্রসিদ্ধ।

      বাংলাদেশে চট্টগ্রাম জেলার শ্রোতা আলী যাকের তার চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনের বসতি বর্গ কিলোমিটায় কত লোক বসবাস করে?

      উত্তরে বলছি, আপনারা জানেন, চীন একটি বিশাল দেশ। সুতরাং বিভিন্ন জায়গায় জনসংখ্যার ঘনতা ভিন্ন। চীনের উপকূলীয় অঞ্চলে জনসংখ্যার ঘনতা বেশী। চীনের সংখ্যালঘু জাতি অধ্যুষিত এলাকায় জনসংখ্যার ঘনতা অপেক্ষাকৃত কম। চীনের পূবার্ঞ্চলের জনসংখ্যার ঘণতা চীনের পশ্চিমাঞ্চলের চাইতে আট গুণও বেশী। চীনের পঞ্চম জাতীয় আদমশুমারী অনুযায়ী, চীনের পূর্বাঞ্চলে অথাত চীনের উন্নত অঞ্চলে প্রতি বগর্কিলোমিটায় ৪৫২.৩ জন লোক বসবাস করে, চীনের মধ্য অঞ্চলে প্রতি বগর্কিলোমিটায় ২৬২.২ জন লোক বসবাস করে এবং চীনের পশ্চিমাঞ্চলে অতার্ত চীনের অনুন্নত অঞ্চলে প্রতি বগর্কিলোমিটায় ৫১.৩ জন লোক বসবাস করে। চীনের সিছুয়েন প্রদেশ, চিয়াংসু প্রদেশ এবং হোনান প্রদেশে জনসংখ্যার ঘনতা সবচেয়ে বেশী । কিন্তু চীনের ছিনহাই প্রদেশ , আন্তর্মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল, সিনজিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল, তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে লোক সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম।

     বাংলাদেশের নরসিংদি জেলার শ্রোতা নোমান চৌধুরী তার চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনের বৃহত্তম গ্রন্থাগার কোনটা?

       উত্তরে বলছি, বতর্মানে চীনের বৃহত্তম গ্রন্থাগার হল চীনের রাষ্ট্রীয় গ্রন্থাগার । এর আগের নাম ছিল পেইচিং গ্রন্থাগার । ১৯০৪ সালে ছিন রাজবংশীয় সময়পর্বে পেইচিং গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন এই গ্রন্থাগারে কেবল প্রাচীন বই সংরক্ষিত হত । সেসময় গ্রন্থাগারটি পেইচিংএর শিশাহাইয়ে অবস্থিত ছিল। ১৯১১ সালে শিনহাই বিপ্লবের পর অথার্ত ছিন রাজবংশ উত্খাতের পর তত্কালীণ পেইচিং সরকার এই গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব গ্রহণ করে । ১৯১২ সালের ২৭ আগষ্ট গ্রন্থাগারটি আনুষ্ঠানিকভাবে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ১৯৪৯ সালে পেইচিং গ্রন্থাগার নামকরন করা হয়। সত্তর দশক থেকে এই গ্রন্থাগারের সম্প্রসারণ কাজ শুরু হয়। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী যৌ এন লাইয়ের নিদের্শে পেইচিং গ্রন্থাগারের নতুন ভবন নিমার্ণ প্রকল্প গৃহীত হয়। ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নতুন ভবনের নিমার্ণ কাজ শুরু হয়ে ১৯৮৭ সালে ১ জুলাই শেষ হয়। চীনের তত্কালীণ শীর্ষ নেতা তেং শিয়াও পি এই নতুন ভবনকে নিজের হাতে নাম লেখেন । এখন চীনের এই রাষ্ট্রীয় গ্রন্থাগার পেইচিং শহরের পশ্চিমে অবস্থিত ।চীনের সাবেক প্রেসিডেন্ট চিয়াং জে মিন এই গ্রন্থাগারে নাম লেখেন ।

 

  • সাক্ষাত্কার
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • অন-লাইন জরীপ
     
    © China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
    16A Shijingshan Road, Beijing, China