শ্রোতা বন্ধুরা, সুরের ভূবন অনুষ্ঠানে আবার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি আমি ইয়াং ওয়েই মিং। আজকের অনুষ্ঠানে জাপানের জনপ্রিয় ব্যান্ড 'বেবি বো' পেইচিং কনসার্টের কয়েকটি গান আপনাদের শোনাচ্ছি।
কনসার্টে পাঁচ জন সুদর্শন ছেলে পেইচিংয়ে দর্শক শ্রোতাদের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে। কনসার্টের প্রথম গান 'ওয়াল্ড' দর্শকদের কাছে যুব মানুষের জীবন্ত ও আকর্ষনীয়তার প্রকাশ পেয়েছে।
বেবি বো ব্যান্ড জাপনের একটি জনপ্রিয় ব্যান্ড। এ ব্যান্ডের গান গাওয়ার যাত্রা শুরু হয় ২০০২ সালে। এ পর্যন্ত তাদের ৪টি নিজস্ব রচিত গানের এলবাম এবং ৩টি অন্যদের পুরনো গানের এলবাম প্রকাশ করেছে। সুন্দর মুখ ও আকর্ষণীয় কন্ঠস্বরের কারনে বেবি বো'র পাঁচজন সুদর্শন সুবক অনেক দর্শকের সমর্থন পেয়েছে। এবার তারা পেইচিং কনসার্টে আগের জনপ্রিয় গান এবং নতুন রচিত গান সবই দর্শকদের উদ্দেশ্যে পরিবেশন করেছেন। আগের গানের মধ্যে রয়েছে, 'প্রতি পদে সাহস', 'খন্ডিত তারা' এবং 'আকাশে চাঁদের আলো'। নতুন রচিত গান 'হোম টাউন' বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া যুবকদের বাড়িতে সবারই কথা মনে করার অনুভূতি প্রকাশ করেছে। এ গান শুনে অনেক দর্শক মুগ্ধ হয়েছে।
গানে বলা হয়, আমি যেখানকার কথা ভাবছি সেখানে সুন্দর সূর্যাস্ত আছে। ছবি'র পেছনে বন্ধুদের লেখা কথা আছে। যেমন, ছুটি হলে ফিরে আসো। তখন স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে আসার পথে আমরা রাস্তার পাশে বসে বসে আকাশের মেঘ দেখতাম। কথা বলতে বলতে সূর্যাস্ত যেতো। তোমরা কেমন আছো? তোমরা কি আগের মতোই তেমন চটপটে আছ? তোমাদের সঙ্গে দেখা করতে চাই।ছুটি পেলে অবশ্যই ফিরে যাবো। আমার জন্মস্থানের রাস্থাঘাটে দাঁড়িয়ে অনেক কথা মুখ থেকে বের হতে চায়। আশা করি জীবনের অনেক কিছু অভিজ্ঞতা পাওয়ার পরও হাসি মুখে তোমাদের সঙ্গে দেখা করতে পারবো।
জাপানে বেবি বো'র অনেক অনুরাগী আছে। বিভিন্ন স্থানে কনসার্ট আয়োজনের সময় তারা সব সময় গিয়ে তাদের উত্সাহ দেয়। কিন্তু চীনের মানুষ তাদের কথা খুব কম শুনেছে। তাই কনসার্টে দেশের মতো উত্তেজনাকর অবস্থা দেখা যায় না। তা সত্ত্বেও বেবি বো খুব মনযোগ সংগীত পরিবেশন করেছে। তারা গান গাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে নতুন করে শেখা চীনা ভাষায় দর্শকদের সঙ্গে কথা বলার সময় চীনা দর্শকদের আন্তরিক সমর্থন পেয়েছে। কনসার্ট করার জন্য বিদেশে এসে তাদের কি একা একা লাগে? এ প্রসঙ্গে তারা বলেছেন,
'সঙ্গীতে কোনো দেশের সীমারেখা নেই। সবাই এ কথা বলে। পেইচিং হলো আমাদের বিদেশে কনসার্টের প্রথম যাত্রা। এখানে আমাদের জনপ্রিয়তা খুব কম। তাই দেশের তুলনায় পুরোপুরি ভিন্ন অভিজ্ঞতা। কিন্তু সবাই এশিয়ান, দেখতে খুব কাছের মনে হয়'।
ব্যান্ডের প্রধান গায়ক চেরি জানিয়েছেন, ২০০৭ সালে বেবি বো পেইচিংয়ে আসার সময় দুটি জনপ্রিয় চীনা লোকসঙ্গীত গেয়েছে। একটা হল, 'চাঁদ আমার মনের প্রতীক', আরেকটা হলো 'ইয়ে লাই সিয়াং ফুল'।
যদিও তারা খুব অনর্গল চীনা ভাষা বলতে পারে না, কিন্তু তাদের গাওয়া চীনা গান চীনা দর্শকদের বেশ মুগ্ধ করেছে।
কেন তারা এ দুটি চীনা গান বেছে নিয়েছে এ প্রশ্নের উত্তরে তারা জানিয়েছেন,
'চাঁদ আমার মনের প্রতীক' গানটা খুব সুন্দর। আমরা অনুশীলনের সময় তা উপলব্ধি করেছি। এবার আরেকটি গান শিখেছি। 'ইয়ে লাই সিয়াং' গানটি জাপানেও খুব জনপ্রিয়। তাই আমরা এ গানও শিখেছি।
যে গানটি আপনারা শুনছেন তা হলো বেবি বো'র গাওয়া 'ইয়ে লাই সিয়াং'। প্রধান গায়ক চেরি জানিয়েছেন, তারা প্রায় এক মাস ধরে এ গানটি অনুশীল করেছেন।
২০০৭সালে 'পেইচিংয়ে দেখা করা' অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার পর এবার আবার পেইচিংয়ে এসে তারা নিজেদের খুব কাছের মনে করেন। গত বার তারা মহাপ্রাচীর বেড়াতে গেছেন এবং অনেক গ্রীন চা দেশে নিয়ে গেছেন। এবারে তারা অলিম্পিক স্টেডিয়াম 'বার্ড নেস্ট' ও 'ওয়ার্টার কিউব' দেখতে চান। এবং পেইচিংয়ের বিভিন্ন শপিং মলে কেনাকাটা করতে চান।
অনুষ্ঠানের শেষ দিকে আমরা তাদের আরেকটি গান শুনবো। এ গানের নাম 'ফুল'।
গানে বলা হয়, নদীর পানি যে দিকে যাচ্ছে, মানুষও সে দিকে যাচ্ছে। যেখানে যেতে চাই সেখানে তোমার জন্য ফুল হয়ে ফুটতে চাই। চোখের পানি যে দিকে যাচ্ছে ভালবাসাও সে দিকে যাচ্ছে। এক দিন ফুল ফুটবে হাসি মুখের সঙ্গে।
|