থেং ছুং জেলার হাজার হাজার বছরের ঐতিহ্য রয়েছে । এ প্রাচীন জেলা, তার স্বকীয় বৈশিষ্টের ওপর সবসময় বেশ গুরুত্ব আরোপ করে থাকে। তবে আজকের এ গুরুত্ব আরোপ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কারণ , অতি সম্প্রতি থেং ছুং বিমান বন্দর আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে।
থেং ছুং হচ্ছে চীনের ইয়ুন নান প্রদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন জেলা। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে চীনের কেন্দ্রীয় টেলিভিশন কেন্দ্র সি সি টি ভিসহ সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৬০টিরও বেশি সংবাদমাধ্যম পর্যায়ক্রমে থেং ছুং বিমান বন্দরে সাক্ষাত্কার নিতে সেখানে গেছেন। তাহল থেং ছুং বিমান বন্দরের ওপর কেন এতো বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে? এর একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে থেং ছুংয়ের পর্যটন শিল্পের একটি প্রকৌশলগত সুবিধাপ্রাপ্তি।
থেং ছুং জেলা মিয়ানমার সংলগ্ন। সুতরাং, এ স্থানটি হচ্ছে মিয়ানমার, বাংলাদেশ,ভারত এবং পাকিস্তানসহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বিনিময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এ জেলার নিজের গভীর স্ববৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ভূভাগীয় অবস্থা এবং ২৩টি সংখ্যালঘু জাতি অধ্যুষিত এলাকার কারণে বেশ মনোরম ও রহস্যময় পরিবেশ সব সময় বিরাজ করছে ।
তাছাড়াও, এখানে প্রাচীনকাল থেকেই মিং ও ছিং রাজবংশের স্থাপত্যগুলো সুষ্ঠুভাবে বজায় রয়েছে। যেমন হে শুন প্রাচীন জেলা, কাও লি পবর্ত, আগুণ পবর্ত এবং গরম সাগরের উষ্ণ পানি। এ সব দৃশ্য সকল পর্যটকদের আকর্ষণ করে। উল্লেখ্য,এখানে আপনি বেশ সস্তায় রত্ন মনি মুক্তা কিনতে পারবেন।
থেং ছুং ভ্রমণ করতে চাইলে, নিজের গাড়িতে সেখানে যাওয়া হলো একটি সবচে' ভালো উপায়। কারণ ,খুন মিং থেকে থেং ছুং মাত্র ৭ শ কিলোমিটার দূরে। যেতে কমপক্ষে ১০ ঘন্টা সময়তো লাগবেই। তবে বাইরের পর্যটকরা কীভাবে থেং ছুংয়ে পৌঁছাবেন?তারা শুধু বিমান করে সেখানে যেতে পারবেন। সুতরাং, থেং ছুংয়ের পর্যটন শিল্প দ্রুতভাবে উন্নয়ন করতে চাইলে, এর যোগাযোগ সমস্যা সমাধান করা খুবই জরুরি।
২০০১ সালে ইয়ুন নান প্রদেশের পাও শান পৌর সরকার এবং থেং ছুং জেলা পর্যায়ের কমিটির যৌথ উদ্যোগে থেং ছুং বিমান বন্দর নির্মাণের কাজ জোরে শোরে শুরু হয়। সাধারণত একটি বেসামরিক বিমান বন্দর নির্মাণে প্রায় ১০ বছরের সময় লেগে থাকে। তবে থেং ছুং বিমান বন্দর নির্মাণের শুরু থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু পর্যন্ত মাত্র ৬ বছরের সময় লেগেছে। যা বেসামরিক বিমান বন্দর নির্মাণ ইতিহাসে একটি বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।--ওয়াং হাইমান |