v চীনের বিশ্ব কোষv চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগ
চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সিডনি অন-এয়ার কনফুসিয়াস ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠিত
2009-05-08 15:32:46

   ৭ই মে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সিডনি অন-এয়ার কনফুসিয়াস ক্লাসরুম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই কনফুসিয়াস ক্লাসরুম চীন আন্তর্জাতিক বেতার এবং অস্ট্রেলিয়া ও চীনের শিক্ষা কেন্দ্রের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি হচ্ছে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রথম অন-এয়ার কনফুসিয়াস ক্লাসরুম। এ ছাড়াও, এটি সারা বিশ্বে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের প্রতিষ্ঠিত একাদশতম অন-এয়ার কনফুসিয়াস ক্লাসরুম। চীন ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন মহলের ব্যক্তিবর্গ এ ক্লাস প্রতিষ্ঠার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন।

    ভাস্কর্য মূর্তির পর্দা-উন্মোচন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সিডনিতে নিযুক্ত চীনের কনসুলার জেনারেল হু শান   সিডনির অন-এয়ার কনফুসিয়াস ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠার তাত্পর্যের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, স্বদেশের তথ্য মাধ্যমে হান ভাষা শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে চীন আন্তর্জাতিক বেতার একটি পথিকৃত্। অন-এয়ার কনফুসিয়াস ক্লাসরুম এক ধরণের নতুন মঞ্চ হিসেবে চীনা ভাষা ও চীনা সংস্কৃতি পৌঁছে দেবে। তা সিডনি, নিউ সাউথ ওয়েলস, তথা গোটা অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বয়স ও পেশার মানুষকে চীনা ভাষা শেখার ক্ষেত্রে একটি আরো সুবিধাজনক ও কার্যকর চ্যানেল হিসেবে কাজ করবে।

    ৬৭ বছর ইতিহাসসম্পন্ন চীন আন্তর্জাতিক বেতার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে হান ভাষা জনপ্রিয় করে তোলার ক্ষেত্রে বরাবরই বিশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বেতারের মহা-পরিচালক ওয়াং কেং নিয়ান বলেন,

    চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ৫৩টি বিদেশী ভাষা দিয়ে তৈরী অনুষ্ঠান রয়েছে। আমরা যথাক্রমে "হান ভাষার আলোচনা সভা" এবং "হান ভাষা শেখা" অনুষ্ঠান সম্প্রচার করেছি। ফলে কোটি কোটি দর্শকের হান ভাষা শেখার চাহিদা মেটানো সম্ভব হয় এবং তা ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। ২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের অন-এয়ার কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের যাত্রা শুরু করেছে এবং মাতৃ ভাষা দিয়ে, অন-লাইন বেতারের মাধ্যমে, নতুন তথ্য মাধ্যম এবং শ্রোতা ক্লাবের মাধ্যমে হান ভাষা শেখার প্রস্তাব দেয়। এভাবে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে পর্যায়ক্রমে ১১টি অন-এয়ার কনফুসিয়াস ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

    অস্ট্রেলিয়া ও চীনের শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালক গর্ডন নিকলস বলেন, এ কেন্দ্র অন-এয়ার কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের অস্ট্রেলিয়ার সহযোগী পক্ষে পরিণত হওয়ায় তিনি খুব আনন্দ বোধ করেন। তিনি বলেন,

    অন-এয়ার কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের প্রতিষ্ঠা ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের কাছে চীনা সংস্কৃতি সম্প্রচারের একটি প্লাটফর্ম যোগানো ছাড়াও, এটা চীন ও অস্ট্রেলিয়ার জনগণের মৈত্রী সংযুক্ত করার সেতু। আমি বিশ্বাস করি, অন-এয়ার কনফুসিয়াস ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠার ফলে দু'দেশের জনগণ আরো ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রক্ষা করবেন।

    এবারে অন-এয়ার কনফুসিয়াস ক্লাসরুম সিডনিতে প্রতিষ্ঠার ফলে বিশেষ প্রেক্ষাপট পরিলক্ষিত হয়। গত ৫ বছরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় ভ্রমণকারী চীনা পর্যটকের মধ্যে ৬০ শতাংশেরও বেশি সিডনিতে গিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ায় অধ্যায়নরত চীনা ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা ৭০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। তাদের মধ্যে অধিকংশই সিডনিকে বেছে নিয়েছেন। সিডনির বাণিজ্য মহল, শিক্ষা মহল এবং পর্যটন মহলের সঙ্গে চীনা জনগণের বিনিময় করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই অর্থনীতির বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা এবং সহযোগিতার সম্পর্ক স্থাপন করা ছাড়াও, চীনা অতিথিদের মনে সুন্দর ছাপ ফেলতে পারে।

    তাই সিডনি শহরের সরকার এখানে অন-এয়ার কনফুসিয়াস ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠাকে সমর্থন করে। সিডনি অঞ্চলের শিক্ষা ব্যুরোর পরিচালক ফিল লামবার্ট বলেন,

    অর্থনীতি এবং সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া এবং চীনের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, অস্ট্রেলিয়ার ছাত্রছাত্রীরা দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্রে প্রধান অংশীদার তাই তাদের জানা খুবই প্রয়োজন। গত ২০ বছরের মধ্যে চীনা ভাষার শিক্ষাদান কেন্দ্র নিউ সাউথ ওয়েলস বিশাল পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে ২০ হাজারেরও বেশি ছাত্রছাত্রী সরকারী স্কুলে চীনা ভাষা শিখছে।

  • সাক্ষাত্কার
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • অন-লাইন জরীপ
     
    © China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
    16A Shijingshan Road, Beijing, China