v চীনের বিশ্ব কোষv চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগ
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকদের কর্মজীবনের সাফল্য অর্জনের জন্য সহায়তা দেয়
2009-05-04 20:29:23
চলতি বছর চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্নাতক লাভকারী ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৬১ লাখেরও বেশি। আন্তর্জাতিক আর্থিক সংকটের পটভূমিতে কর্মসংস্থানের অবস্থাও নাজুক। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের উদ্যোগে কর্মজীবনের সাফল্যে উজ্জিবীত হওয়ায় কর্মসংস্থানের চাপ প্রশমনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতিতে পরিণত হয়েছে। কিছু সামাজিক সংস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয় ইতিবাচক ব্যবস্থা নিচ্ছে। আজকের অনুষ্ঠানে আমি লিলু এ সম্পর্কে আপনাদের কিছু কথা জানাবো।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পেইচিং শিল্প বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট ডিগ্রী প্রাপ্ত কোং সিন ছি পেইচিংয়ের ছাও ইয়াং এলাকার দক্ষ জনশক্তি সেবা কেন্দ্রে কর্মজীবনের সাফল্য অর্জনের জন্য ছাও ইয়াং নৈশ বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।

কোং সিন ছি নিজের গবেষণায় একটি ওষুধ উন্নয়নের সফুটওয়্যারের মাধ্যমে কর্মজীবনের সাফল্য অর্জন করতে চায়। তবে তিনি মনে করেন, আরো বেশি প্রস্তুতি নেয়া খুব দরকার। তিনি বলেছেন, (১)

আমি আর্থিক ক্ষেত্রের জ্ঞান শিখতে চাই। কর্মজীবনের সাফল্য অর্জনের জন্য আমার ফাইনানশিয়াল স্টেটমেন্ট দেখা প্রয়োজন। ছাও ইয়াং এলাকার দক্ষ জনশক্তি সেবা কেন্দ্র জানিয়েছে, তারা কর্মজীবনে সাফল্য অর্জনের সুযোগ দিতে পারে।

কোং সিন ছি'র প্রশিক্ষণ গ্রহণের এ নৈশ বিদ্যালয়টি হচ্ছে ছাও ইয়াং এলাকার যুব বিভাগ এবং কর্মজীবনের সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যে যুবকদের জন্য একটি বিদ্যালয়। এখানকার কয়েক শ'জন ছাত্র-ছাত্রীর গড়পরতা বয়স শুধু মাত্র ৩০ বছর। তাদের মধ্যে বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। কিছু ছাত্র কর্মজীবনের সাফল্য অর্জনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিছু ছাত্র কোং সিন ছির মত কর্মজীবনে সাফল্য অর্জন করতে চায় বলে উত্সাহী। নৈশ বিদ্যালয়ের কর্মী মা ইউয়ান আমাদের সংবাদদাতাকে বলেছেন, (২)

বর্তমানে বেশির ভাগ যুব কর্মজীবনের সাফল্য অর্জন করতে আগ্রহী। তবে শুধু অনুরাগই যথেষ্ট নয়। তাদের কর্মজীবনের সাফল্য অর্জনের পাশাপাশি কিছু নিপুণতার অভাবও রয়েছে। আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ ও অবৈতনিক শিক্ষক প্রশিক্ষণের সুযোগ দিচ্ছি। যাতে যুবকদের জন্য কর্মজীবনের সাফল্য অর্জনের নিপুণতা উন্নয়নের বাস্তব সহযোগিতা প্রদান করা যায়।

জানা গেছে, নৈশ বিদ্যালয়ের শিক্ষক যেমন বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, একই সঙ্গে শ্রেষ্ঠ যুব শিল্পপতি ও বিশেষজ্ঞ। তারা বাস্তব অবস্থা অনুযায়ী, ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বাস্তব জ্ঞান শিখাচ্ছেন। মা ইউয়ান বলেছেন, (৩)

আমরা দুটি দিক থেকে বিবেচনা করে শিল্পপতিদের আমন্ত্রণ করেছি। একটি দিক হচ্ছে এসব শিল্পপতি তৃণ মূল বা কর্মজীবনের সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যে সাধারণ ব্যবসায়ী থেকে সফল শিল্পপতিতে পরিণত হয়েছেন। তাদের অভিজ্ঞতা খুবই ভালো। অন্য দিক হচ্ছে বিভিন্ন খাতের নবীন যুবকদের কর্মজীবনের সাফল্য অর্জনের জন্য আরো বেশি পেশাগত প্রশিক্ষণ দেয়া।

কোং সিন ছিন আমাদের সংবাদদাতাকে বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় নৈশ বিদ্যালয় আমাদের দৃষ্টিপথকে আরো বেশি সম্প্রসারণ করেছে। তিনি বলেছেন, (৪)

এখানকার শিক্ষাদানের অভিজ্ঞতা খুব সফল। তবে এসব পরিচালকের সফলতার কারণ ভিন্ন। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শিক্ষাদানের বিষয়বস্তুও ভিন্ন।

নৈশ বিদ্যালয়ের কোর্স চালুর পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের বাজারে অংশ নেয়া, প্রকল্পের পরিকল্পনা পত্র লেখা ও প্রকল্পের কর্মকান্ড নিরুপনসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণের বিষয়বস্তু ধাপে ধাপে তুলে ধরা হবে। ভালো প্রস্তাব দিতে পারা ছাত্র-ছাত্রীরা নৈশ বিদ্যালয় এর প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে শিল্পপতিদের সঙ্গে সরাসরি সংলাপ করে সহযোগিতার সুযোগ পেতে ও কর্মজীবনের সাফল্য অর্জনের জন্য অর্থ অর্জনে সক্ষম হবে।

ছাও ইয়াং কর্মজীবনের সাফল্য অর্জনকারী নৈশ বিদ্যালয়ের পাশা পাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো বেশি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সহায়তা দেয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। পেইচিংয়ে অবস্থিত চীন গণ বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি কর্মজীবনের সাফল্য অর্জনের কেন্দ্র গড়ে তুলেছে। এ কেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পরিচালনা ও কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ বিভাগের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করা ছাত্র-ছাত্রীদের কর্মজীবনে সাফল্য অর্জনের জন্য সার্বিক পরিসেবা দেবে।

জানা গেছে, কর্মজীবনে সাফল্য অর্জনের কেন্দ্র হিসেবে ক্যাম্পাসে কর্মজীবনের সাফল্য অর্জনের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। চীন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিধা ব্যবহার করে সফল শিল্পপতিদের আমন্ত্রণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মজীবনের সাফল্য অর্জনের অভিজ্ঞতার ওপর প্রশিক্ষণ দেবেন। একটি বিশেষজ্ঞ দল নিয়ে গঠিত কমিটি ছাত্র-ছাত্রীদের কর্মজীবনের সাফল্য অর্জনের প্রস্তাব পর্যবেক্ষণ করবে এবং এ প্ল্যাটফর্ম নির্মাণের জন্য দশ লাখ ইউয়ান অর্থ সংগ্রহ করবে। এ কেন্দ্র গড়ে তোলার পটভূমি বলার সময় এ কেন্দ্রের উপপরিচালক ওয়াং কুও ছেং বলেছেন, (৫)

স্নাতকদের কর্মজীবনের সাফল্য অর্জনের সফল দিক তেমন একটা বেশি নয়। এর সঙ্গে সমাজ , ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞানের কাঠামো ও অর্থনৈতিক পরিবেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। আমি মনে করি, ছাত্র-ছাত্রীদের কর্মজীবনে সাফল্য অর্জনে উত্সাহ দেয়ার লক্ষ্যে উচিত হবে শিক্ষা ব্যবস্থা ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কর্মজীবনের সাফল্য অর্জনের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। আসলে কর্মজীবনের সাফল্য অর্জনের প্রক্রিয়ার মধ্যে অনেক বেশি বাস্তব সমস্যা রয়েছে।

কর্মজীবনের এ সাফল্য অর্জন ব্যবস্থা ফলপ্রসূভাবে চালুর জন্য চীন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মজীবনের সাফল্য অর্জন কেন্দ্র চলতি বছর থেকে প্রতি বছর ক্যাম্পাসে ছাত্র-ছাত্রীদের কর্মজীবনের সাফল্য অর্জনের নিপুণতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান পাওয়া দল ও এ দলের প্রস্তাব অনুযায়ী সরাসরি সাহায্য পেতে পারবে এবং বাস্তব তার আলোকে পরিচালনা করতে পারবে।

ওয়াং কুও ছেং আমাদের সংবাদদাতাকে বলেছেন, সমাজের উন্নয়নের পাশাপাশি কর্মজীবনে সাফল্য অর্জন কর্মসংস্থানের একটি প্রবণতায় পরিণত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কর্মজীবনে সাফল্য অর্জনের জন্য সুযোগ দেয়া প্রয়োজন। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় একটি সম্পত্তিতে পরিণত হবে।

  • সাক্ষাত্কার
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • অন-লাইন জরীপ
     
    © China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
    16A Shijingshan Road, Beijing, China