২০০৭ সালের ২৭ জুন ইয়ুন নান প্রদেশের শি লিন অঞ্চলকে বিশ্ব প্রাকৃতিক উত্তরাধিকারের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
" বিশ্ব উত্তরাধিকার প্রস্তাব"-এর কঠোর প্রয়োগ, সুষ্ঠু প্রশাসন, যৌক্তিক উন্নয়ন এবং স্থায়ী ব্যবহারের বিষয় অনুযায়ী, শি লিন অঞ্চলে প্রাকৃতিক উত্তরাধিকার রক্ষার বিরুদ্ধে বাধার সৃষ্টিকারী সকল সরকারী-জায়গা, উন্মুক্ত স্থাপনা এবং গ্রামসহ সকল স্থাপনা ৩ বছরের মধ্যে সব স্থানান্তর করা হবে।
যাতে বিশ্ব প্রাকৃতিক উত্তরাধিকার ভূমি রক্ষার বিষয় সুনিশ্চিত এবং কার্যকরভাবে শি লিন অঞ্চলের পর্যটনের পরিবেশের উন্নয়ন করা যায়।
এ অঞ্চলে এ সব স্থানান্তরের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। এ বছরের শেষ দিকে এ স্থানান্তরের কাজ সম্পন্ন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কর্মসূচীতে নতুন শি লিন গ্রাম হচ্ছে অধূষিত অঞ্চল, পর্যটন, রিয়াল এস্টেটের উন্নয়ন, ই জাতির নিজস্ব হস্ত শিল্প এবং বিনোদনসহ বিভিন্ন বিষয় জড়িত একটি আধুনিক গ্রাম।
এর মধ্যে চীনের সংখ্যালঘু জাতির সাংস্কৃতিক জীবন পুরোপুরিভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। এ গ্রামের মোট আয়তন ১২ লাখ বর্গমিটার। এর মধ্যে অধিবাসীদের বসতবাড়ির আয়তন প্রায় ৮১ হাজার বর্গমিটার, বাণিজ্যিক দোকানের আয়তন ১৯ হাজার বর্গমিটার, সরকারী স্থাপত্যের আয়তন ৬ হাজার ৮ শ বর্গমিটার, কৃষি ও বাণিজ্যিক কোম্পানির আয়তন ৫ হাজার বর্গমিটার এবং সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য মেলার আয়তন ২ হাজার ৬ শ বর্গমিটার।
বিমানে করে শি লিনে পৌঁছুতে ২টি ঘন্টা সময় লাগে । সেখান থেকে ইয়ুন নান প্রদেশের তা লি ভ্রমণে মোট ব্যয় হবে ৬৮০ ইউয়ান। এখন শি লিন বিমান বন্দর নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে। এ বিমান লাইন চালু হলে পর্যটকরা সরাসরিভাবে সেখানে যেতে পারবেন।
আসলে শি লিনে বিশ্বের বেশ কিছু গুরত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর অনেক পর্যটকদের আকর্ষন করেছে। সংস্কৃতি না থাকা পর্যটন স্থান যেন একজন মানুষের প্রাণ খাচার মত।
শি লিনের পর্যটন শিল্প উন্নয়নের দুয়ার এখন উন্মুক্ত। যা সারা প্রদেশের সাংস্কৃতিক পর্যটন শিল্পের দ্রুত উন্নয়নের লক্ষ্যে স্থানীয় প্রাকৃতিক অবস্থানের উন্নয়ন অনুযায়ী উপযুক্ত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। --ওয়াং হাইমান
|