পাকিস্তানের নৌ বাহিনীর স্টাফ প্রধান এডমিরাল নোমান বশির ২৩ এপ্রিল ছিংতাওয়ে চীনা গণ মুক্তি ফৌজের নৌ বাহিনীর ৬০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বহু দেশীয় নৌ বাহিনীর সম্মিলনের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, চীনের উত্থাপিত 'সুষম সমুদ্র' ধারণা আঞ্চলিক ও বিশ্বের সমুদ্রের নিরাপদ পরিস্থিতি রক্ষা করার জন্য অনুকূল এবং বিভিন্ন দেশের স্বার্থের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।
এডমিরাল বশির বলেন, 'আমি মনে করি, এটা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচী। অনেক দেশ তাদের প্রতিনিধি পাঠিয়েছে। অনেক দেশের নৌ বাহিনীর সর্বোচ্চ প্রধানও এসেছেন। এমন উচ্চ পর্যায়ের বিরাট আকারের কর্মসূচীর সাংগঠনিক কাজ খুবই কঠিন। এবারের সাংগঠনিক কাজ সত্যিই উল্লেখ করার মত ভালো। সকল অংশগ্রহণকারীর নিজের মন্তব্য প্রদান, পরস্পরের সঙ্গে বিনিময় করার পাশাপাশি চীনের নৌ বাহিনীর নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করার সুযোগ পেয়েছে। সেই জন্য আমি চীনের নৌ বাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করি।'
বশির বলেন, চীন 'সুষম সমুদ্র'কে চীনের নৌ বাহিনী প্রতিষ্ঠার ৬০তম বার্ষিকীর বহু দেশীয় উদযাপনী কর্মসূচীর প্রতিপাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা বর্তমান আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক নিরাপত্তার বাস্তব অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তিনি বলেন, সমুদ্রের নিরাপত্তা ও সুষম অবস্থান বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। বিশ্বের শান্তি ও উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে সামুদ্রিক পরিবহনে বাণিজ্যের নিরাপত্তা রক্ষা করা হচ্ছে বিভিন্ন দেশের অভিন্ন দায়িত্ব। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন পক্ষের সমন্বয় ও যৌথ প্রচেষ্টার প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমি মনে করি, এটা খুব ভালো প্রতিপাদ্য। সমুদ্র কোন দেশের একার নয়। সমুদ্র হচ্ছে বিভিন্ন দেশের অভিন্ন সম্পদ। বিভিন্ন দেশ সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের চাহিদা মেটাতে পারে। যদি সবাই সমুদ্রের সুষম অবস্থান রক্ষায় ঐকবদ্ধ থাকে, তাহলে এ পৃথিবী সুষম হবে।'
বশির বলেন, চীন হচ্ছে বিশ্বের শান্তি রক্ষা করার এক ইতিবাচক শক্তি। পাকিস্তান এ ক্ষেত্রে বরাবরই চীনের প্রচেষ্টা ও অবদানের প্রতি সম্মান জানায় ও প্রশংসা করে। কেউ কেউ চীনের নৌ বাহিনীর শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন আর তার সাফল্যকে হুমকী মনে করে। বশির তা দৃঢ়তার সঙ্গে খন্ডন করেছেন। তিনি বলেন, 'আমরা মনে করি, চীনের অর্জিত সাফল্য ও অগ্রগতি কোন পক্ষের ওপর হুমকি হয়ে দাঁড়াবে না। চীন কখনো কোন দেশের ওপর এতটুকুও হুমকি দেখায় নি। আমি এ মন্তব্যের পুরোপুরি বিরোধিতা করি। এটা সম্পূর্ণ ভুল।'
বশির জোর দিয়ে বলেন, শান্তিকামী দেশ হিসেবে পাকিস্তান সবসময় আঞ্চলিক ও বিশ্বের শান্তি রক্ষা করার চেষ্টা করে আসছে। পাকিস্তান চীনসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিশ্বের সামুদ্রিক বাণিজ্য ও পরিবহনের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য সামুদ্রিক অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদীদের ওপর আঘাত হানার জন্য নিজের অবদান রাখতে ইচ্ছুক। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে) |