চীনের নৌ বাহিনীর সেনাপতি উ শেং লি
চীনা গণ মুক্তি ফৌজের নৌ বাহিনী প্রতিষ্ঠার ৬০তম বার্ষিকী উপলক্ষে বহু দেশীয় নৌ বাহিনীর উদযাপনী কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ২০ এপ্রিল রাতে পূর্ব চীনের উপকূলীয় শহর ছিংতাওয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চীনের নৌ বাহিনীর সেনাপতি উ শেং লি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আশা প্রকাশ করেন, এ সুযোগে বিভিন্ন দেশের নৌ বাহিনীর সঙ্গে বিনিময় জোরদার করা, অভিজ্ঞতা বাড়ানোর মঞ্চ প্রতিষ্ঠা করা এবং বিশ্বকে চীন ও চীনের নৌ বাহিনী সম্পর্কে আরো বেশি জানানো।
চীনের নৌ বাহিনী এ প্রথমবারের মতো বহু দেশীয় নৌ-বাহিনীকে নিয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। চীনের নৌ বাহিনীর উপ-সেনাপতি কু ওয়েন গে অনুষ্ঠান শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, এবারের প্রসঙ্গ হচ্ছে 'সুষম সাগর' শিরোনামে বহু দেশীয় নৌ বাহিনীর কর্মসূচী। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে সমুদ্রে নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করা এবং যৌথভাবে সুষম সামুদ্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করা। তিনি বলেন, 'এবারের উদযাপনী কর্মসূচি পুরোপুরি চীন সরকার ও চীনা জনগণ বিশ্ব শান্তি রক্ষা করা এবং সুষম বিশ্ব গড়ে তোলার সদিচ্ছা এবং চীনের নৌ বাহিনীর সমুদ্রের নিরাপত্তা রক্ষা করা আর সুষম সমুদ্র সৃষ্টি করার দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা প্রতিফলিত হয়। আমরা বিশ্বাস করি, আজকের সম্মিলনের মাধ্যমে আমাদের পরস্পরের প্রতি আস্থা ও অভিজ্ঞতা বাড়াবে এবং ব্যাপক সহযোগিতা হবে।'
জানা গেছে, রাশিয়ার নৌ বাহিনীর সেনাপতি, মার্কিন চীফ অফ নেভাল অপারেশনসসহ ২৯টি দেশের নৌ বাহিনীর প্রতিনিধি দল আর ১৪টি দেশের ২১টি নানা ধরনের জাহাজ ছিংতাও বন্দরে এসে বহু দেশীয় নৌ বাহিনীর উদযাপনী কর্মসূচীতে অংশ নিয়েছে। বিদেশী যুদ্ধ জাহাজগুলো চীনের নৌ বাহিনীর তিনটি নৌবহরের সঙ্গে ছিংতাওয়ের সমুদ্রে ব্যাপক সামুদ্রিক মহড়ায় অংশ নেবে।
সামুদ্রিক মহড়া ছাড়া আমন্ত্রণে চীন সফররত ২৯টি দেশের নৌ বাহিনীর প্রতিনিধি দল চীনে বহু দেশীয় নৌ বাহিনীর উর্ধতন পর্যায়ের আলোচনা, যুদ্ধ জাহাজ সম্পর্কিত বিনিময়, সাংস্কৃতিক ও ক্রিয়া ক্ষেত্রের বিনিময় এবং সমুদ্রে শাম্পান প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনের নৌ বাহিনীর সেনাপতি উ শেং লি বলেন, 'স্থায়ী শান্তি, অভিন্ন সমৃদ্ধ সুষম বিশ্ব গড়ে তোলা হচ্ছে চীন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা। শান্তি, সুষম ও সহযোগিতার সমুদ্র প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে চীনের নৌ বাহিনীর এবারের কর্মসূচী আয়োজনের প্রধান প্রতিপাদ্য।'
উ শেং লি উল্লেখ করেন, সমুদ্র হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নৌ বাহিনীর অভিন্ন বাড়ি। সমুদ্রের নিরাপত্তা রক্ষা করা, শান্তিময় ও সুষম সামুদ্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে বিভিন্ন দেশের নৌ বাহিনীর অনিবার্য দায়িত্ব। এখন দশ বারোটি দেশের নৌ বাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ ও সৈন্য এডেন উপসাগর ও সোমালিয়া সমুদ্র রক্ষার কাজ করছে। এটা হচ্ছে বিভিন্ন দেশের নৌ বাহিনী সমুদ্রের নিরাপত্তা রক্ষা করার গুরুত্বপূর্ণ বাস্তব অনুশীলন।
চীনের নৌ বাহিনীর আধুনিকায়ন প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে উ শেং লি বলেন, 'আমরা নিকট সমুদ্রে প্রতিরক্ষার নিয়ম অনুযায়ী তথ্যায়নকে আধুনিকীকরনের গুরুত্বপূর্ণ দিক বলে মনে করি। এটা ধাপে ধাপে সুদূর সমুদ্রের সহযোগিতা ত্বরান্বিত করবে। বহুবিধ দায়িত্ব সম্পন্ন করার সামর্থ্য উন্নত করবে এবং নৌ বাহিনীর সার্বিক ক্ষেত্রের রূপান্তর করবে।' (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে) |