বন্ধুরা, চীনের ইয়ুন নান প্রদেশ একটি বৃহত্তম পর্যটনসমৃদ্ধ প্রদেশ। সেখানে ভ্রমণ ব্যয়ের মোট পরিমান অনেকের কাছেই বাজেটের চেয়ে অনেক বেশি। ইয়ুন নান প্রদেশের কোন একটি জায়গা ভ্রমণ করতে চাইলে প্রথমেই ভাবতে হবে বিমান টিকিটের ব্যয়ের কথা। অনেক পর্যটকই এর ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখেন।
ইয়ুন নান প্রদেশের থেং ছুং জেলা মিয়ানমার সংলগ্ন। সুতরাং, এ স্থানটি হচ্ছে মিয়ানমার, ভারত এবং পাকিস্তানসহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বিনিময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এ জেলার নিজের গভীর স্ববৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ভূভাগীয় অবস্থা রাখা এবং ২৩টি সংখ্যালঘু জাতি অধূষিত এলাকার কারণে বেশ মনোরম ও রহস্যময় পরিবেশ বিরাজ করছে সব সময়।
তাছাড়াও, এখানকার প্রাচীনকাল থেকেই মিং ও ছিং রাজবংশের স্থাপত্যগুলো সুষ্ঠুভাবে বজায় রেখেছে।যেমন হে শুন প্রাচীন জেলা, কাও লি পবর্ত, আগুণ পবর্ত এবং গরম সাগরের উষ্ণ পানি। এ সব দৃশ্য সকল পর্যটকদের আকর্ষণ করে। উল্লেখ্য,এখানকার আপনি বেশ সস্তায় রত্ন মনি মুক্তা কিনতে পারবেন।
থেং ছুং ভ্রমণ করতে চাইলে, নিজের গাড়িতে সাখানকার যাওয়া হলো একটি সবচে' উপযোগী উপায়। কারণ খুন মিং থেকে থেং ছুং পর্যন্ত শুধু ৭ শ কিলোমিটার দূরে। সে জন্যই এর মধ্যে মাত্র ১০ ঘন্টার সময় লাগবে। যদি বিমান করতে বাছাই করলে বিশেষ করে জাতীয় দিবসকালে বিমান টিকিটের ওপর কোন দাম কমানোর কল্যাণকর নীতি না থাকায় এর ব্যয় ৯৫০ ইউয়ান হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আরেকটি কথা, থেং ছুংয়ের বিমান বন্দর নির্মাণের কাজ এখনও সম্পন্ন হয়নি।
থেং ছুংয়ের হোটেল অনেক বেশি রয়েছে। সেখানকারে ছোট ও বড় আকারের হোটেল অলি-গলি রাস্তায় রাস্তায় সব দেখা যায়। এমন কি, অনেক স্থানীয় অধিবাসীর বসতবাড়িতেও ভাড়তে পারেন।
থেং ছুংয়েতে একটি ঐতিহ্যবাহী জাদুঘর রয়েছে। যা থেং ছুংয়ের একটি বিখ্যাত হে সুন উপকন্ঠে অবস্থিত। এ জাদুঘরে স্ববৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ঐতিহ্যিক ও সাংস্কৃতিক বস্তু রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে পুরোপুরিভাবেই প্রাকৃতিক ও সম্প্রীতিময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
বন্ধুরা, যদি ইয়ুন নান প্রদেশ আসেন , তাহলে অবশ্যই থুং ছুং জেলায় দেখতে পারেন। কারণ সেখানকার প্রচুর মনভোলানো সুন্দর সুন্দর দৃশ্যদেখতে পারেন।--ওয়াং হাইমান |