আজকের অনুষ্ঠানে কুয়াং সি শিল্পকলা ইনস্টিটিউটের কোরাস দলের বিশেষ কন্সার্টের কিছু অংশ।
যে গানটি আপনারা শুনছেন তা হলো কুয়াং সি শিল্পকলা ইন্সটিটিউটের কোরাস দলের গাওয়া 'জুয়াং সিয়াং ইন সিয়াং',অর্থাত কুয়াংসি'র ইমিজ।এ গানে কুয়াংসি'র জুয়াং সংখ্যালঘু জাতি'র পরিশ্রম ও আশাবাদী'র মর্ম প্রকাশ করা হয়।গানে বলা হয়, বসন্তকালের মৃদু বাতাসে ভেসে আসে ফুলের সুগন্ধ।সেই সুগন্ধ পাহাড় ও ফার্মে ভোরে।সেই সুগন্ধ দূরের অতিথিদের আকর্ষণ করে।বিভিন্ন জাতি'র ভাইবোনরা একসাথে মিষ্টি জীবন তৈরী করতে পারে।পরিশ্রমে মিষ্টি স্বর্ণ সূর্য্য।
কুয়াং সি শিল্পকলা ইন্সটিটিউট চীনের কুয়াংসি জুয়াং জাতি স্বায়ত্তশালিত অঞ্চলে আছে। এ অঞ্চলে চীনের জুয়াং, হান, ইয়াও,মিয়াওসহ দশাধিক সংখ্যালঘু জাতি বসবাস করে।কুয়াংসি শিল্পকলা ইন্সটিটিউটের কোরাস দল ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।এখন দলে ১০০জনের সদস্য রয়েছে, তারা সবাই ইন্সটিটিউটের শিক্ষক আর ছাত্রছাত্রী।দশ বছর ধরে তাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ আর চর্চা করতে থাকে।আস্তে আস্তে তাদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য গড়ে উঠেছে।এ কোরাসের সঙ্গীত পরিচালক হুয়া শান বলেন:
'আমাদের দলে প্রধানত ছাত্রছাত্রী আর কয়েকজন যুব শিক্ষক নিয়ে গঠিত হয়।কোরাস দলের ওপরে ইন্সটিটিউটের কর্তৃপক্ষের অনেক গুরত্ব পায়।কোরাস দলের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের ঐক্যবদ্ধ করা হয়।এর পাশাপাশি সঙ্গীতসহ ছাত্রছাত্রীদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য খুব ভাল'।
যে গানটি আপনারা শুনছেন তা হলো কুয়াংসি শিল্পকলা ইন্সটিটিউটের কোরাস দলের গাওয়া 'কান ইয়ু কুই লাই আলিলি'।তা হলো একটি ই জাতি'র বৈশিষ্ট গান।ইয়ু মানে চীনের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলে গ্রামাসের মেলা।কান ইয়ু মানে মেলায় যাওয়া।এ গানে ই জাতি'র মানুষদের মেলা থেকে আনন্দে ফিরে আসার কথা বলা হয়।
এ কোরাস দল ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন জাতি'র সঙ্গীতের বৈশিষ্ট ধরে রাখার চেষ্টা করেছে।তাদের এ প্রচেষ্টা লোকসঙ্গী উন্নয়নের জন্য বড় অবদান রাখা হয়।তাই অনেক লোকসঙ্গীত বিশেষজ্ঞদের প্রশংসা পেয়েছে।তারা ঐতিহ্য বৈশিষ্ট ধরে রাখার পাশাপাশি আবার আধুনিক উপাদান সঙ্গীত যোগ দিয়েছে। তা যুবকদের পছন্দ হয়েছে।পরিচালক হুয়া শান বলেন:
'আমাদের দলের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো লোকসঙ্গীত। কিন্তু আমরা বিভিন্ন গান গাওয়ার পদ্ধতি থেকে শিখি। কোরাসের সমন্বিত রক্ষার সঙ্গে সঙ্গে আমরা লোকসঙ্গীতের বৈশিষ্ট যোগ দেই'।
হুয়া শান বলেন, তারা আশা করে তাদের মাধ্যমে কুয়াং সি অঞ্চলের লোকসঙ্গীত সারা দেশ তথা বিশ্বের আওতায় জনপ্রিয় করে তোলা।তারা আশা করে তাদের গান শুনে মানুষের মনে যে সুখ ও আনন্দ হয়।
এখন শুনুন আরেকটি গান 'দুও দুও চিয়াও'। কোরাস দল নাচ ও গানের মাধ্যমে এ গানের পরিবেশন করেছে।সুন্দর পোশাক, সুন্দর নাচ গানের মাধ্যমে ই জাতি'র ছেলে মেয়ে একসাথে নাচ গান আনন্দ করে জীবন উপভোগের ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়।
গানে বলা হয়, আগুনের কাছে আমরা বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে গান নাচ করি।মন যত খুশি হয়, আনন্দ হয় তত জোরে আমরা পদাঘাত করি।পদাঘাত করার সঙ্গে সঙ্গে ছেলেরা মেয়েদের পেছনে দৌড়ে।চাঁদ দেকে চুরি করে হাসে।
'আমার গান নিয়ে যাও' নামক কন্সার্টে কোরাস দলের সদস্যরা জুয়াং, হান এবং ইয়াও জাতি'র ভাষায় গান গেয়েছে।তাদের গান শুনে দর্শকরা শুদু সুন্দর গান নাচ উপভোগ করেছে তা নয়।সঙ্গে সঙ্গে তারা আবার চীনের সংখ্যালঘু জাতি'র লোকসঙ্গীত শুনতে পেরেছেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কোরাস দল কয়েকটি দেশের ও আন্তর্জাতিক গানের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। ১৯৯৯সালে তারা চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সংস্কৃতিক উত্সবের কোরাস প্রতিযোগিতার রৌপ পদক পেয়েছে।২০০৫ সালে তারা চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের গান প্রতিযোগিতায় স্বর্ন পদক পেয়েছে। ২০০৮ সালে দেশের ১৩তম সিসিটিভি যুবকদের গান গাওয়ার প্রতিযোগিতায় তারা চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রবেশ হয়েছে। এখন শুনুন তাদের সেই প্রতিযোগিতায় পরিবেশিত গান 'আমার গান নিয়ে যাও'।
গানে বলা হয়, তুমি চায়ের গান নিয়ে যাও, যত দূরে গেলেও তৃষ্ণার্ত হবে না।তুমি লু শেং গান নিয়ে যাও, কোথায় গেলে একা একা লাগবে না।তুমি আগুনের গান নিয়ে যাও, কখনো ঠান্ডা লাগবে না।আমাদের এখানে আসতে স্বাগত জানাচ্ছি। |