আজকের অনুষ্ঠানে ২০০৯ সালের চীনের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজন 'বসন্তকালের শুভেচ্ছা' অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশ। প্রথমে শুনুন এ অনুষ্ঠানের একটি গান 'কো সাং লা'। গায়ক সুন চিয়ে এ গান পরিবেশন করেন।
এটি একটি তিব্বত বৈশিষ্ট গান। এ গানটি তিব্বতীদের জীবনের ভালবাসা প্রকাশ করা হয়। গানে বলা হয়, গরু পালক ইয়াং ছেলেরা সুন্দর চুরি পরছে। ভেড়া পালক মেয়েরা সুন্দর কাপড় পরছে। পশুপালকরা গান গাইতে গাইতে পরিশ্রম করে। কো সাং লা, মনের আনন্দ যেন চেহারায় ফুটে গেছে। আব্বার কাপে মদ ভোরা, আম্মার পোকেটে খাবার ভোরা। কো সাং রা, আমারা বাদ্যযন্ত্র সব সময় বাজি, আর গান গাইতে থাকি।
এ অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানগুলো থাকা ছাড়া আরো অনেক নতুন রকমের অনুষ্ঠানও থাকে। অনুষ্ঠানটি ছয়টি অনুচ্ছেদে বিভক্ত করা হয়। এ ছয়টি অনুচ্ছেদ হলো, বাড়িঘর, আত্মীয়স্বজন, সময়পর্ব, সুখী মেঘ, সম্প্রীতি এবং বসন্তকাল। নতুন বছরের শুরুতেই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণের কাছে পাঠানো হয়েছে শুভেচ্ছা। বিভিন্ন অনুচ্ছেদের মধ্যে সুন্দর কবিতা দিয়ে সংযুক্ত করা হয়।
যে গানটি আপনারা শুনছেন তা হলো এবারের অনুষ্ঠানের প্রথম অনুচ্ছেদ, মাতৃভূমি'র প্রতি একটি গান। গানে বলা হয়, কত বার আমার মাতৃভূমি'র দিকে তাকালাম। আমি সেখান থেকে বের হয়ে অনেক দিন। কিন্তু যত দূরে যাই তার প্রতি আমার অনুভূতি যেন ছায়ার মত কাছে থাকে। আমাদের গ্রামের সব কিছু খুব স্পষ্ট আমার মনে পড়ে। আমার মাতৃভূমি, তোমার সন্তান যত দূরে গেলেও তোমার কথা ভুলবে না। আমার মাতৃভূমি, আমি কিছু সাফল্য পেলে তোমার কাছে ফিরে যাবো।
এবারের অনুষ্ঠান আনন্দদায়ক আমেজ তৈরী করার পাশাপাশি সাধারণ জনগণের অন্যান্য অনুভূতিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যেমন মাতৃভূমি'র স্মরণ এবং প্রাকৃতী'র প্রতি আবেগ।
যে গানটি আপনারা শুনছেন তা হলো "ভালবাসার আকাশে তুমি আর আমি আছি"। গানে বলা হয়, নীল আকাশে স্বচ্ছন্দ। আমাদের আন্তরিকতা সন্দেহের কাল মেঘ দূর দিতে পারে। তা আমাদের মন শান্ত রাখতে পারে, পৃথিবীকে সম্প্রীতিময় গড়ে তুলতে পারে এবং মানুষ সুখী জীবন কাটতে পারে। পাহাড় ও সমুদ্রও আমাদের সঙ্গে গাইতে শুরু করেছে। বসন্তকাল হোক, শীতকাল হোক, ভালবাসার জন্য আমরা গাইতে থাকি।
এ অনুষ্ঠান গান আর নৃত্য ছাড়া আরো এক্রবেটিক আছে। নতুন করে সাজানোর পর অনুষ্ঠানটি খুব আকর্ষনীয় হয়েছে। এর মধ্যে একটি গান "আমি বড় হওয়ার পর" মায়ের কাছে গভীর ভালবাসা প্রকাশ করা হয়। এ গানে একটি চীনা গান এবং একটি বিদেশী গান সংযুক্ত করা হয়েছে।
গানে বলা হয়, ছোটবেলায় মা আমাকে গান শিখিয়েছেন। তার চোখে কান্না আসে। এখন আমি আমার বাচ্চাকে গান শিখাই। শিখার সময় মায়ের কথা মনে পড়লে আমার চোখেও কান্না আসে।
অনুষ্ঠানে চীনের ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত নতুন করে পরিবর্তন করআ হয়। সেমন চীনের একটি খুব বিখ্যাত লোকসঙ্গীত আছে, 'মো লি হুয়া', জেসমিন ফুল। বেলজিয়ামের একটি ব্যান্ড তাদের পদ্ধতিতে এই সঙ্গীত পরিবেশন করেছে। এখন শুনুন এই সঙ্গীতটা।
অনুষ্ঠানের শেষ প্রান্তে এসে শুনুন চীনের বিখ্যাত গায়িকা সুং জু ইংয়ের গাওয়া "জি জু কুও", মাতৃভূমি'র প্রতি। গানে বলা হয়, আমার দুই মা আছে, এ হলো আমার মাতৃভূমি , আরেক আমার মা। মা আমাকে পালন করেন। আর মাতৃভূমি আমার বড় হওয়ার জন্য পরিবেশন সৃষ্টি করে। মাতৃভূমি আমার, বিদেশে থাকলে তোমার কথা ভিষণ মনে পড়ে। শ্বপ্নে মায়ের মুখ দেখি। আমার মাতৃভূমি সারা জীবন দিয়ে তোমার জন্য গাইতে চাই। (ইয়াং ওয়েই মিং) |