৫ মার্চ চীনের ১১তম জাতীয় গণ কংগ্রেসের দ্বিতীয় অধিবেশন পেইচিংয়ের মহা গণ ভবনে শুরু হয়েছে। চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও এ অধিবেশনে সরকারী কার্য বিবরণী পেশ করেছেন। সম্প্রতি ভারতের শ্রোতারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাওয়ের সরকারী কার্য বিবরণীর উচ্চসিত প্রশংসা করেছেন।
ভারতের উত্তর প্রদেশের সূর্যোদয় শ্রোতা ক্লাবের সভাপতি শাশিদী আজীমি ই-মেইল বার্তায় বলেছেন, গণ কংগ্রেসে প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও সরকারী কার্য বিবরণীতে বিগত পাঁচ বছরের কর্মকান্ড পর্যালোচনা করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে চীনের প্রশাসনিক দিকও উল্লেখ করেছেন। আজীমি মনে করেন, সরকারী কার্য বিবরণীতে জনসাধারণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কিত শিক্ষা ও চিকিত্সাসহ নানা সমস্যার সমাধান সমাজের ন্যায়সংগত বাস্তবায়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থান দেয়া হয়েছে এবং বৈজ্ঞানিক উন্নয়নের তত্ত্ব আর সুষম সমাজ গড়ে তোলার বিষয়কে নীতিকরণ করা হয়েছে।
উত্তর প্রদেশের আমির শ্রোতা ক্লাবের সভাপতি আমির আহমেদ ই-মেইলে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও সরকারী কার্য বিবরণীতে অনেক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা উল্লেখ করেছেন। এ কার্য বিবরণী জনসাধারণের জীবনযাপনের সমস্যার সমাধান এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। উন্নয়ন ও জনগণের জীবনযাপনের মান উন্নত করা হচ্ছে চীন সরকারের প্রশাসনের প্রধান লক্ষ্য। আরো বেশি চীনা মানুষ অর্থনীতির দ্রুত উন্নয়নের সাফল্য ভোগ করতে পারবেন। এটা ভবিষ্যতের টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে অনুকূল হবে। তিনি মনে করেন, ২০০৯ সালের চীনের সরকারী কার্য বিবরণীতে কেবল সফলতার কথা বলা হয় নি, সমস্যাও এড়ানো হয় নি এবং বাস্তব কার্য লক্ষ্যমাত্রা উত্থাপিত হয়েছে। এটা একটি বাস্তব ও গ্রহণযোগ্য কার্যবিবরণী। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে) |