অনুষ্ঠানরত একাদশতম রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলন এবং জাতীয় গণ কংগ্রেসের অধিবেশনে 'কঠিন অবস্থা অতিক্রম করা এবং চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করার' দৃঢ় আস্থা প্রকাশিত হয়েছে। গত কয়েক দিনে বিদেশী তথ্য মাধ্যম ও বিশেষজ্ঞগণ তার সক্রিয় মূল্যায়ন করেছেন। তারা মনে করেন, বিশ্ব অর্থনীতির পতনের প্রেক্ষাপটে চীনের নৈপুণ্য বিশ্ব অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
জাপানের 'দেইলী সংবাদ' পত্রিকার ৬ মার্চের এক সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও 'সরকারী কার্য বিবরণীতে' অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ বজায় রাখা এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা সম্প্রসারণের মাধ্যমে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে চাঙ্গা করে তোলা ও বিশ্ব অর্থনীতির পুনরুদ্ধার ত্বরান্বিত করার দৃঢ়প্রতিজ্ঞার কথা ব্যক্ত প্রকাশ করেছেন। জাপানের সর্বাধিক বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে চীনের অর্থনীতির পুনরুদ্ধার জাপানের অর্থনীতি ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।
'জাপানের অর্থনৈতিক খবর' পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, চীন বিশ্বের অর্থনীতির চালিকা শক্তি হিসেবে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। চীনের অর্থনীতি আবারও দ্রুত গতিতে প্রবৃদ্ধির পথে ফিরে আসতে পারলে তা হবে বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চাবিকাঠি।
যুক্তরাষ্ট্রের 'ডেইলী ওয়াল স্ট্রিট' পত্রিকা বলেছে, বিশ্ব আর্থিক সংকটের পটভুমিতে চীনের নেতৃবৃন্দ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৮.৮ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের ওপর যে দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করেছেন, বর্তমান পৃথিবীতে তার বিকল্প নেই।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের 'নিউইয়র্ক টাইমস' পত্রিকা বলেছে, চীন 'অভূতপূর্ব কঠিন অবস্থা ও চ্যালেঞ্জের' সম্মুখীন। চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও 'সরকারী কার্য বিবরণীতে' উত্থাপন করেছেন, চীন বিরাট আকারের অবকাঠামোগত ব্যবস্থার নির্মাণ, ভর্তুকি বাড়ানোর পাশাপাশি অন্যান্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মাধ্যমে চীনের আধুনীকায়ন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিতও জোরদার করবে।
আর্জেন্টিনার কৌশল গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক কাস্ট্রো বলেন, লাটিন-আমেরিকার দেশগুলো চীন সরকারের সংকট মোকাবিলা ব্যবস্থার ওপর নিবিড় দৃষ্টি রাখছে। যদি চীনের অর্থনীতি যথা সম্ভব খুব দ্রুত বিশ্ব আর্থিক সংকটের প্রভাব দূর করতে পারবে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোও এতে উপকৃত হবে।
রাশিয়ার একটি বার্তা সংস্থার চীনা ভাষা ওয়েবসাইটের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বর্তমান বিশ্ব এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে। সবাই বিশ্ব আর্থিক সংকট মোকাবিলায় চীনের ব্যবস্থার ওপর নজর দিচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়া ও রোমানিয়াসহ বিভিন্ন দেশের তথ্য মাধ্যমও চীন সরকারের সংকট মোকাবিলা নীতির ওপর তাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখেছে। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে) |