চীনের একাদশতম জাতীয় গণ কংগ্রেসের দ্বিতীয় অধিবেশনের সংবাদ সম্মেলন ৭ মার্চ সকালে পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং চিয়ে ছি চীনের পররাষ্ট্র নীতি সংক্রান্ত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।
গত বছর চীনের পররাষ্ট্র ক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্যের কথা তুলে ধরেছেন এবং চলতি বছরে চীনের পররাষ্ট্র ক্ষেত্রের চারটি প্রধান বিষয়ের ওপর বক্তব্য রেখেছেন। এর মধ্যে রয়েছে, দেশের স্থিতিশীল অর্থনীতি ও দ্রুত উন্নয়নের জন্য সেবা প্রদান; আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং সংকট মোকাবিলা; নিরাপত্তা বিষয়ক পররাষ্ট্র, মানব সংক্রান্ত পররাষ্ট্র এবং কন্সুলেটের কাজে গতি আনয়ন; চীন এবং বিভিন্ন শক্তিশালী দেশ, প্রতিবেশী দেশ এবং উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরো জোরদার করা, যাতে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সমস্যার সঠিক মোকাবেলা করা যায়।
আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং সংকট সম্পর্কে ইয়াং চিয়ে ছি বলেন, চীন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সংকট মোকাবেলা করতে ইচ্ছুক। চীন বিশ্বাস করে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় লন্ডন শীর্ষ সম্মেলনে ইতিবাচক ফলাফল অর্জিত হবে।
চীন ও ফ্রান্সের বতর্মান সম্পর্ক নিয়ে ইয়াং চিয়ে ছি বলেন, বর্তমানে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের জন্য চীন দায়ী নয়। চীনের উদ্বেগের বিষয় নিয়ে ফ্রান্স সরাসরি ও ইতিবাচক জবাব দেবে বলে চীন আশা করে। তা সত্ত্বেও তিনি দু'দেশের সম্পর্কের দীর্ঘ মেয়াদী উন্নয়নের ভবিষ্যতের ব্যাপারেও আশাবাদী।
কোরীয় উপদ্বীপরের ব্যাপারে ইয়াং চিয়ে ছি বলেন, ছ-পক্ষীয় বৈঠকের সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে ২০০৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত চুক্তি মেনে চলা উচিত। যতশীগগিরই সম্ভব দ্বিতীয় পর্যায়ের কর্মসূচী সম্পন্ন করে তৃত্বীয় পর্যায়ে উন্নীত করা উচিত।
চীন-আফ্রিকার সম্পর্ক নিয়ে ইয়াং চিয়ে ছি বলেন, চীন ও আফ্রিকার দেশের মধ্যে জ্বালানি সম্পদ সহযোগিতা দু'পক্ষের জন্য কল্যানকর হবে। চীন আগের মত ভবিষ্যতেও আফ্রিকার উন্নয়নে সমর্থন প্রদান করে যায়। (ইয়াং ওয়েই মিং) |