এএফপি'র ২৮শে ফেব্রুয়ারী প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, এ সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেসের অধিবেশন নিঃসন্দেহে চীন সরকারের অর্থনীতি উদ্ধারের পরিকল্পনায় কেন্দ্রীভূত হবে।
হংকং চীনা ভাষা বিশ্ববিদ্যালযের চীনের রাজনীতি বিশ্লেষক ওয়েলি রাম বলেছেন, 'চীনের কমিউনিস্ট পার্টি প্রচেষ্টা চালিয়ে জনগণের কাছে প্রমাণ করবে যে, নিজ দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির আর অবনতি হবে না। চীন সরকার তা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে।'
নাগরিকদের অনুভূতি প্রশমনের জন্য জাতীয় গণ কংগ্রেসের অধিবেশন চলাকালে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক নিশ্চয়তা আইন অনুমোদিত হবে। যে 'সামাজিক নিশ্চয়তা আইনে', নাগরিকের মৌলিক চিকিত্সা, কর্মচ্যুত ও কর্মস্থলে আহতদের বীমা এবং অবসর ভাতা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।
গণ কংগ্রেসের একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিনিধি এএফপিকে বলেছেন, 'সমাজের স্থিতিশীলতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্যবিষয়ে পরিণত হবে। বিশ্ব জুড়ে আর্থিক সংকট গভীরতর হওয়ার পাশাপাশি সরকার ব্যয় হ্রাসের মাধ্যমে সমাজের স্থিতিশীলতা বজায় রাখবে।'
চীন সরকার ৪ ট্রিলিয়ন ইউয়ান রেনমিনপি দিয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করার প্রস্তাব আর কয়েকটি শিল্প পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও আরো বেশি প্রতিশ্রুতি দেবেন।
সমাজের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা ছাড়া চীন সরকার আশা করে, পুনরুদ্ধার প্রস্তাবের সাহায্যে অভ্যন্তরীণ পণ্যভোগকে উত্সাহ দেয়া যায়। কারণ ভবিষ্যতে নাগরিকরা চিকিত্সা, অবসর আর অন্যান্য ব্যয়ের ক্ষেত্রে নিজের অর্থ খরচ করার দরকার হবে না। সরকার আশা করে, এর মাধ্যমে রপ্তানীর ওপর নির্ভরতা কমানো যায়। ফলে আরো বেশি অর্থের পণ্যভোগ হবে দেশের মধ্যেই।
তা ছাড়া এবারের জাতীয় গণ কংগ্রেসের অধিবেশনে নতুন 'খাদ্য নিরাপত্তা আইন' আর 'শ্রম আইন' নিয়ে আলোচনা হবে। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)
|