**বিশ্ব জুড়ে আর্থিক সংকটঃ বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানী ব্যবসায়ী সমিতির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, বিশ্ব জুড়ে আর্থিক সংকট বাংলাদেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ বছরের মার্চ ও এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের রপ্তানী ফরমায়েশ হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এ বছর বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে।
আন্তর্জাতিক বাজারের ক্রেতারা বাংলাদেশের রপ্তানীকৃত পোশাকের দাম ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ কমানোর অনুরোধ করেছে। ২০০৮ সালের নভেম্বরে পাওয়া বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানীর ফরমায়েশ অনেক বাতিল হয়েছে। এ সমিতির চেয়ারম্যান পোশাক শিল্পের রপ্তানী অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করেছেন। কারণ সরকারের সমর্থন না পেলে পোশাক শিল্পের ২৮০ লাখ কর্মী কর্মচ্যুত হবে।
**জাতিসংঘের কর্মকর্তা মনে করেন, দক্ষিণ এশিয় অঞ্চলে আর্থিক সংকটের নেতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশের ওপর সবচেয়ে কম পড়েছে
বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘ মহাসচিবের সহকারী অজয় ছিবের বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সঙ্গে সাক্ষাত্ করার সময় বলেছেন, আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার সঙ্গে তেমন ঘনিষ্ঠ সংযোগ না থাকার কারণে বাংলাদেশ হচ্ছে দক্ষিণ এশিয় অঞ্চলে আর্থিক সংকটের প্রভাব সবচেয়ে কম পড়ার দেশ। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আর্থিক সংকট বাংলাদেশের রপ্তানী ও প্রবাসীদের প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রার ওপর তেমন প্রভাব সৃষ্টি করে নি। তবে সংকট সম্প্রসারণের পাশাপাশি প্রভাবও দেখা যাবে। মুহিত বলেন, যদিও এখন পর্যন্ত আর্থিক সংকট বাংলাদেশের ওপর বড় প্রভাব ফেলে নি, তবুও সরকারের এর ওপর সতর্কতা বজায় রাখা উচিত।
** ২০০৯ সালে শ্রীলংকার জিডিপির বৃদ্ধির হার নেমে ৩.২ শতাংশ হবে: অর্থনীতিবিদ
শ্রীলংকার অর্থনীতিবিদরা অনুমান করেন যে, বিশ্ব আর্থিক সংকটের প্রভাবে শ্রীলংকার রপ্তানী বাণিজ্য গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিদেশে শ্রীলংকার শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ অনেক কমেছে। এসব কারণে ২০০৯ সালে শ্রীলংকার জিডিপির বৃদ্ধির হার নেমে ৩.২ শতাংশ হবে। সবাই জানেন, শ্রীলংকার রপ্তানী শিল্প ও বিদেশে প্রবাসীদের পাঠানো মুদ্রা হচ্ছে শ্রীলংকার জিডিপির প্রধান উত্স। কিন্তু বিশ্বজুড়ে আর্থিক সংকট সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে শ্রীলংকার পোশাক শিল্পের রপ্তানী ফরমায়েশ গুরুতরভাবে কমেছে। বিশেষ করে মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোতে শ্রীলংকার শ্রমীকদের কর্মসংস্থান অনেক কমেছে। এর ফলে শ্রীলংকার প্রবাসীদের দেশে অর্থ প্রেরণের পরিমাণ অনেক কমেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শ্রীলংকার অর্থনীতি স্থিতিশীল ও অপেক্ষাকৃত দ্রুত গতিতে উন্নয়নের প্রবণতা বজায় ছিল। দেশটির গরপড়তা জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৫.৫ শতাংশ।
** ভারত মালদ্বীপকে ময়দা রপ্তানীর তদারকি বাতিল করেছে
১৫ই ফেব্রুয়ারী ভারত মালদ্বীপকে ময়দা রপ্তানীর তদারকি বাতিল করেছে। ভারতের পিইসি কোম্পানি মালদ্বীপকে ২৯,১৭৭ টন ময়দা রপ্তানী করবে। গুরুতর বন্যায় ভারতের প্রধান ফসলের ক্ষতি হয়েছিল। ফলে ২০০৭ সাল থেকে ভারত ময়দা ও ধানসহ প্রধান ফসলগুলোর রপ্তানীর ওপর লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থা চালু হয়েছে।
**পাকিস্তান সময় মতো ৫১.৭ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের ইউরোপীয় ঋণ শোধ করেছে
পাকিস্তানের 'সংবাদ' পত্রিকার ১৯শে ফেব্রুয়ারীর খবরে জানা গেছে, পাকিস্তান সরকার ১৮ই ফেব্রুয়ারী মেয়াদোত্তীর্ণ ৫১.৭ কোটি মার্কিন ডলার মুল্যের ইউরোপীয় ঋণ শোধ করেছে। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে গ্রহণ করা ৫০ কোটি মার্কিন ডলার ইউরোপীয় ঋণপত্রের কার্যমেয়াদ ছিল পাঁচ বছর।
গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত দ্রুত কমে যায়। এর ফলে সে দেশের বিদেশী ঋণ শোধ করার ওপর চাপ বেড়েছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল পাকিস্তান সরকারকে ৭৬০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিতে রাজি হয়েছে এবং প্রথমে ৩১০ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ করে। এভাবে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বেড়ে তার বিদেশী ঋণ শোধ করার চাপ প্রশমিত হয়েছে।(ইয়ু কুয়াং ইউয়ে) |