চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষে বড় ধরনের কনসার্ট "সোণালী নৃত্য রৌপ্য গান" পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়। আজকের অনুষ্ঠানে এই কনসার্ট সম্পর্কে কিছু তথ্য দেবো।
যে গানটি আপনারা শুনছেন তা হলো "চিন ফেং ছাও ইয়াং"। তা হলো চীনের যুবক সুরকার ওয়াং চিয়া নানার এবারের কনসার্টের জন্য রচিত বিশেষ সঙ্গীত। এ সঙ্গীতের সঙ্গে সঙ্গে ৪০জন নৃত্যশিল্পী সুন্দর নৃত্য দেখিয়েছেন। এ সঙ্গীতে দ্রুত উন্নয়নে চীনা জনগণের আনন্দের আমেজ প্রকাশ করা হয়।
আপনারা শুনলেন "চিন ফেং ছাও ইয়াং" সঙ্গীতটি।
"সোণালী নৃত্য রৌপ্য গান" অনুষ্ঠানে গান ও নৃত্যের মাধ্যমে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জনপ্রিয় হওয়া সঙ্গীত মিলিয়ে দর্শকদের দেখানো হয়। এই কনসার্টের চারটি অংশে রয়েছে, কবিতা, আবেগ, ছবি এবং অনুভূতি। এসব গান ও নৃত্যের মাধ্যমে চীনা জনগণের সুখী জীবন তুলে ধরা হয়েছে।
যে গানটি আপনারা শুনছেন তা হলো গায়িকা লি চিং শুয়ের গাওয়া "লিয়াং জু"। এ গানটি চীনের পুরোনো নাটকের লিয়াং শান বো ও জু ইং থাই'র প্রেমের গল্প নিয়ে রচিত হয়। গানে বলা হয়, সবুজ ঘাসের মধ্যে ফুল ফটেছে। এতে দুটি প্রজাপতি পরস্পরের কাছে নাচছে। হাজার হাজার বছর ধরে এই গল্প মানুষের মুখে মুখে ফেরে। লিয়াং শান বো চিরকাল জু ইং থাইকে ভালবাসে। যত বেশি কষ্ট থাক না কেন তারা একসাথে থাকবে।
আপনারা শুনলেন লি চিং শু'র গাওয়া "লিয়াং জু"। তা কনসার্টের প্রথম অংশ কবিতার একটি অনুষ্ঠান। এবারের কনসার্টের পরিচালক ছিলেন চীনের যুবক নৃত্যশিল্পী থাং না। তিনি মনে করেন দর্শক এবং তাদের আসল জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত হলো এবারের কনসার্টের প্রধান বৈশিষ্ট্য। নাচ গানগুলো তৈরির সময় তিনি চেষ্টা করেছিলেন সহজভাবে দর্শকদের মুগ্ধ করা। তিনি বলেন, দ্বিতীয়াংশ "আবেগ"-এর সম্পাদন খুব সৃজনশীল।
"এবারের সবচেয়ে সৃজনশীল অংশ হলো দ্বিতীয়াংশ। এখানে সবচেয়ে জনপ্রিয়, সবচেয়ে সুন্দর গান ও নৃত্য জমিয়ে রেখে নাটকের মাধ্যমে সেগুলো সংযুক্ত করা হয়। গল্পের মাধ্যমে নাচ গান এবং কিছু আধুনিক অংশ মিলে খুব চমত্কার হয়েছে।"
যে গানটি আপনারা শুনছেন তা হলো দ্বিতীয়াংশের একটি গান "সহজ মেয়ে"। এতে দুটি ছেলে মেয়ের প্রেমের গল্পের মাধ্যমে তিনটি গান এবং দুটি নৃত্য সংযুক্ত করা হয়।
সম্পাদক থাং না বলেন, কনসার্টের তৃতীয়াংশ হলো "ছবি"। এ অংশে চীনের বৈশিষ্টময় গান ও নৃত্য নিয়ে গঠিত হয়। খুব জনপ্রিয় গান ও নাচগুলো শিল্পীদের চমত্কার পরিবেশনায় আরো আকর্ষনীয় হয়ে উঠেছে।
যে সঙ্গীত আপনারা শুনছেন তা হলো তৃতীয়াংশের একটি নাচ "থিয়ে ও" মানে রাজহাঁস। তার মাধ্যমে মানুষের সুন্দর পৃথিবী'র আকাঙ্খা প্রকাশ করা হয়। থাং না বলেন:
"মঙ্গোলিয়ায় নাচের মাধ্যমে রাজহাঁসের বড় হওয়ার প্রক্রিয়া প্রকাশ করা হয়। ছোট রাজহাঁস জন্ম নিলে খুব কিউট, পুতুলের মত। তারা উড়তে চায় কিন্তু পারে না। পরে উড়তে শিখে তারা আকাশে খুব সুন্দর উড়ে বেড়ায়। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষের জীবনের সামনে এগিয়ে যাওয়ার আশা প্রকাশ করা হয়।"
থাং নান বলেন, কনসার্টের চতুর্থাংশে দর্শকদের নিজের অনুভূতি জোর করে দেয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। থাং নান বলেন:
"এ অংশে আমি চাই দর্শকরা কিছু সঙ্গীত শুনে নিজের অনুভূতি নিয়ে ভাববেন। যে গানগুলো আগে শুনেছে সেগুলো আবার শুনলে কেমন লাগে। আগে গানের সঙ্গে কি কি ঘটনা ঘটেছিলো। এর মাধ্যমে তারা নিজের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি ভেবে সব কিছু আরো বেশি ছাপ মনে থাকবে।"
যে গানটি আপনারা শুনছেন তা হলো গায়িকা জু হাও হাও'র গাওয়া "ফেই সুয়ে ইং ছুন"। মঞ্চে নৃত্যশিল্পী'র নাচ এবং গানের সঙ্গে যেন দর্শকদের অনন্য এক পৃথিবীতে নিয়ে গেছে। এখানে বসন্তকালে সব কিছু নতুন প্রাণশক্তি পেয়েছে।
কন্সার্টের সর্বশেষ ছিল একটি নাচ, শাপলা নাচ। এ নাচটি বিশ বছর আগে বানানো হয়। এবার তা নতুন করে পরিবেশিত হয়। এখন শুনুন এই নাচের সঙ্গীত। |