** ২০০৮ সালে চীনের হুয়াওয়েই কোম্পানি ভারতে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলারের টেলিযোগাযোগ সামগ্রী বিক্রি করেছে
ভাতরে চীনের হুয়াওয়েই কোম্পানির অফিস ভবন
১৯৯৯ সালে চীনের হুয়াওয়েই কোম্পানি ভারতের টেলিযোগাযোগ বাজারে প্রবেশের পর প্রথম কয়েক বছর খুব কঠিন ছিল। ২০০৫ সালে এ কোম্পানির ব্যবসা স্থিতিশীল হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত এ কোম্পানির বিদেশের বৃহত্তম বাজারে পরিণত হয়েছে। হুয়াওয়েই কোম্পানি সাফল্যের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ায় চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি স্থাপন করেছে।
হুয়াওয়েই কোম্পানির সর্বশেষ উপাত্ত অনুযায়ী, ২০০৮ সালে হুয়াওয়েই কোম্পানি ডিজিটাল যোগাযোগ, মাইক্রোওয়েভ, অপটিকেল ফাইবার নেট, কেন্দ্রীয় নেটসহ নানা ক্ষেত্রে সার্বিকভাবে ভারতের বাজারে প্রবেশ করে। তারা পর পর রিলায়েন্স টেলিযোগাযোগ, এয়ারটেল, বিএসএনএল, টাটা টেলিযোগাযোগসহ ভারতের প্রধান কোম্পানিগুলোর সঙ্গে জিএসএম ও সিডিএমএসহ সাজসরঞ্জাম ও সেবা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ কোম্পানি ২০০৮ সালে মোট ২০০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং ১৩০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, ২০০৬ ও ২০০৭ সালে হুয়াওয়েই কোম্পানি ভারতে যথাক্রমে ২০ কোটি ও ৬০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য বিক্রি করেছে।
** পাকিস্তান রপ্তানী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ঋণ ফেরত দেয়ার সময় এক বছর পিছিয়ে দিয়েছে
পাকিস্তানের 'ডেইলি টাইমস'পত্রিকার খবরে জানা গেছে, পাকিস্তানের জাতীয় ব্যাংক সম্প্রতি আর্থিক সংকট মোকাবিলার জন্য নতুন ব্যবস্থা ঘোষণা করেছে। অর্থাত্ রপ্তানীমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও আর্থিক সংস্থার কাছে পাওনা ঋণের অর্থ ফেরত দেয়ার সময় এক বছর পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়ে।
পাকিস্তান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর দেয়া রপ্তানী অর্থ সংগ্রহ পরিকল্পনা প্রকল্পের ঋণ রপ্তানী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো ২০০৯ সালের ৩১ মার্চের আগে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক সংস্থার কাছে ঋণ ফেরত দেয়ার সময় এক বছর পিছিয়ে দেয়ার জন্য আবেদন করতে হবে, দেরি হলে তা গ্রহণ করা হবে না। তবে মন্দ ঋণ রেকর্ড শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে এ আদেশ কার্যকর হবে না।
জানা গেছে, গত বছরের শেষ দিক থেকে পাকিস্তানের শিল্প ও বণিক সমিতি সমূহ সরকারকে আর্থিক সংকট মোকাবিলার জন্য উল্লেখিত ব্যবস্থা চালু করার অনুরোধ করে, যাতে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর এ কঠিন সময় অতিক্রম করা যায়। পাকিস্তান সরকার বহুবার আলোচনার পর উপরোক্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
**আর্থিক সংকট মোকাবিলায় শ্রীলংকার পোশাক শিল্প সরকারের উদ্ধার নীতির অপেক্ষায় আছে
আর্থিক সংকট তীব্রতর হওয়ার পাশাপাশি শ্রীলংকার পোশাক শিল্পের রপ্তানী গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদেশের অর্ডার কমেছে। শ্রীলংকার পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো আশা করে, সরকার রুপির মূল্যহ্রাসের মাত্রা ২৫ শতাংশে বজায় রাখবে। ফলে শ্রীলংকার পোশাক রপ্তানী অন্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে। তা ছাড়া পোশাক শিল্প আশা করে, শ্রীলংকা সরকার বাজার উদ্ধারের জন্য আরো বেশি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যাতে শ্রীলংকার ঐতিহ্যকবাহী রপ্তানী শিল্পের স্থিতিশীল উন্নয়ন বজায় রাখা যায়।
** নেপাল সরকার তেল পাইপ লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে
কাঠমান্ডু পোস্ট পত্রিকার খবরে জানা গেছে, নেপাল সরকারের মন্ত্রিসভা ভারতের সীমান্ত নগর রাক্সাউল থেকে নেপালের আমলেখগঞ্চ পর্যন্ত তেল পাইপ লাইন নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।
সম্মেলনের পর নেপালের বাণিজ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন, নেপালের তেল কোম্পানি ভারতের তেল কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এ পাইপ লাইন নির্মাণ করবে। দু'পক্ষের কর্মকর্তারা অবিলম্বে এ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই রিপোর্টের প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করবেন। এ প্রকল্পে আনুমানিক প্রায় ৮ কোটি রুপি ব্যয় হবে। নির্মাণকাজের জন্য দু'বছর সময় লাগবে। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে) |