চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের ৩০ বছরের সফলতা মূল্যায়ন করার সময় জার্মানের 'টাইমস সাপ্তাহিক পত্রিকায়' বলা হয়েছে, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত চীনের বিভিন্ন অঞ্চলের সর্বনিম্ন বেতনের হার গরপড়তা ৩০ শতাংশ বেড়েছে। চীনের কর্মচারীরা আরো বেশি বেতন ও অধিকার পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। নতুন শ্রম চুক্তি আইন হচ্ছে এর সবচেয়ে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
ফ্রান্সের 'বিশ্ব' পত্রিকা বলেছে, উন্মুক্তকরণের ৩০ বছরে চীন অবিচল পদক্ষেপ দিয়ে সাফল্যের সঙ্গে আধুনিকায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। চীন এখন আর অনুন্নত দেশ নয়। চীনের জিডিপির ৪০ শতাংশের আমানত থাকার ফলে চীনাদের পরবর্তী প্রজন্মের শিক্ষা ক্ষেত্রের বিনিয়োগ আর বুনিয়াদী ব্যবস্থা ও গণ স্থাপনার ওপর বিরাট বরাদ্দ এখন বাস্তবায়িত হতে পারছে। চীনকে দেখে, আমরা মানবজাতির ভবিষ্যতের ব্যাপারে আশাবাদী।
যুক্তরাষ্ট্রের 'নিউজ উইক' পত্রিকায় গত ডিসেম্বরে এক ভাষ্যে বলা হয়েছে, বলা যায়, সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ চীনের দারিদ্র ও ক্ষুধা দূর করেছে এবং সফলতা অর্জনের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। ১৯৭৮ সালে চীনের মাথাপিছু জিডিপি যেখানে কেবল ৩৭৯ ইউয়ান রেনমিনপি ছিল, সেখাতে ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারীতে পরিমাপ ২০০০ মার্কিন ডলারে গিয়ে পৌঁছেছে। এ পরিমান প্রায় ৪০ গুণ বেড়েছে। ২০০৭ সালে চীনের অর্থনৈতিক পরিধি যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও জার্মানীর পর বিশ্বের চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে। ৩০ বছরে সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের মাধ্যমে চীন অনুন্নত গ্রাম প্রধান সমাজ থেকে আধুনিক বাণিজ্যিক সমাজে পরিণত হয়েছে। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে) |