সম্প্রতি ইয়ুন নান প্রদেশের কৃষি ব্যুরোর ২০০৯ সালের কাজ-সম্মেলন খুন মিংয়ে অনুষ্ঠিতহয়েছে। কৃষি ব্যুরোর মহাপরিচালক লি সু পিং এবারের সম্মেলনে অংশ নেন।
এবারের সম্মেলনে প্রকাশিত এক কর্ম-রিপোর্টে বলা হয়, গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ইয়ুন নানের ৬০ শতাংশ প্রশাসনিক গ্রামে সাংস্কৃতিক তথ্যের অভিন্ন বিনিময় বাস্তবায়িত হয়েছে। আসলে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ২০০২ সালে সারা দেশে এ কর্মকান্ড শুরু করে। এই প্রকল্প হাইটেক প্রযুক্তির মাধ্যমে চীনের হাজার বছরের নানা ধরণের সাংস্কৃতিক তথ্য সম্পদ এবং জনগণের জীবন ঘনিষ্ঠ আধুনিক সাংস্কৃতিক তথ্য সম্পদ ডিজিটাল ভূক্ত করার পর নেট ওয়ার্ক ইন্টারনেট, ডিজিটাল টিভি নেট এবং ডিভিডিসহ বিভিন্ন পদ্ধতিতে সারা দেশে সমভাবে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। জানা গেছে, বর্তমানে সারা দেশে সাংস্কৃতিক তথ্য বিনিময়ের তৃণ মূল পর্যায়ের সেবা কেন্দ্রের সংখ্যা ৪ লাখ ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে ৫০ শতাংশেরও বেশি হচ্ছে ইয়ুন নান প্রদেশের।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, চলতি বছর তৃণ মূল পর্যায়ে সেবা কেন্দ্রের নির্মাণ দ্রুততর করবে। আগামী বছর সকল গ্রামে ডিজিটাল সাংস্কৃতিক সেবা ব্যবস্থা নির্মান করা হবে। যাতে তৃণ মূল পর্যায়ের জনগণ আরো সাংস্কৃতিক জ্ঞান, শিক্ষা ও নৈপুণ্যর প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন সেবা অর্জন করতে পারবেন।
এছাড়া,ইয়ুন নান প্রদেশের খাদ্যশস্যের মোট পরিমান ২০০৭ সালের তুলনায় ৪.৭৪ শতাংশ বেশি। কৃষকের মাথাপিছু পরিমাণ হয়েছে ৩ হাজার ২৭৬ ইউয়ান। যা গত বছরের তুলনায় ৫৯৫ ইউয়ান বেশি। কৃষকের আয় বৃদ্ধি সারা প্রদেশের সামাজিক স্থিতিশীলতা সুরক্ষা করার লক্ষ্যে একটি ইতিবাচক শর্ত সৃষ্টি করেছে।
উল্লেখ্য, ইয়ুন নান প্রদেশের আরও বেশী তৈল চা চাষ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ ধরনের চায়ে তেলের পরিমাণ ৩০ শতাংশ। চার গন্ধ খুব সন্দর ও পুষ্টি বেশী। তা ছাড়া , এই চা থেকে ঔষুধ শিল্পের কাঁচামাল উপাদান হয়।
জানা গেছে, বর্তমানে চীনের তৈল চা বাগানের আয়তন প্রায় ৩৩০ হেকটর। এ সব চা বাগান প্রধানত দক্ষিণ চীনের ১৪টি প্রদেশের নিম্ন পাহাড়ি অঞ্চলে বিস্কৃত।
|