---ছাও ইয়ান হুয়া
২০০৯ সালের পয়লা জানুয়ারী সি আর আই'র বাংলা বিভাগের অনুষ্ঠান প্রচারের ৪০তম বার্ষিকী । মানুষের জন্য ৪০ বছর হলো বুদ্ধিমান হিসেবে পরিবর্তিত হওয়ার একটি সুযোগ এবং নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সুষ্ঠু উন্নয়নের একটি সোনালী সময়পর্ব । বাংলা বিভাগের উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিশ্রমের সঙ্গে যারা কাজ করে যাছেন সে সব সহকর্মীদের জন্য ৪০তম বার্ষিকী হচ্ছে তাদের প্রচেষ্টার সফলতা এবং চীন ও বাংলাদেশের মৈত্রীর গভীরত্বের একটি চিহ্ন । বাংলা বিভাগের একজন নবীন কর্মী হিসেবে, এ সাফল্যের জন্য আমি দারুণভাবে গর্বিত । এ বিভাগে কাজ করার সময় পাওয়া সব ধরণের সাহায্য ও পরামর্শের জন্য আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই । আমার মনে হয় বাংলা বিভাগের উন্নয়নের দিক আমার উন্নয়নের পথের মত।
২০০৮ সাল পর্যন্ত আমি বাংলা বিভাগে ৪ বছর কাজ করেছি । চীন সরকারের নির্দেশনায় গত জুন ২০০৮ থেকে আমি বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসে কাজ করতে শুরু করেছি । আমার জন্য তা একটি নতুন সূচনা ও নতুন অভিজ্ঞতা। আমার কর্মস্থল হলো আমার বাংলা ভাষা উন্নয়নের একটি ভালো সুযোগ এবং চীন ও বাংলাদেশের মৈত্রী জোরদার করার জন্য আমার প্রচেষ্টার নবতম প্ল্যাটফর্ম ।তার মাধ্যমে আমার সঙ্গে চীনকে পছন্দ করা আরো বেশি বাংলাদেশী বন্ধুদের দেখা হয়েছে এবং তাদের মাধ্যমে আমি বাংলাদেশের সমাজ, সংস্কৃতি ও রীতিনীতিকে অনুধাবন করতে শুরু করেছি। এর পাশাপাশি আমি গভীরভাবে অনুভব করেছি যে, চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগ বাংলাদেশের অসংখ্য শ্রোতাবন্ধুদের আকর্ষণ করছে এবং তাদের ওপর কী প্রভাব ফেলছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন মহলের ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করার সময় আমি বাংলা বিভাগের শ্রোতাবন্ধুদের খুঁজতে থাকি। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্তরের জনগণের মধ্যে সি.আর.আইয়ের অনেক বন্ধু রয়েছে। যখন আমি রেডিও পেইচিং বলি, তখন তাদের মুখে আন্তরিক হাসি দেখতে পাই এবং তারা আমার সঙ্গে নিজেদের পছন্দের অনুষ্ঠান ও উপস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করেন । এসব কথা শুনে আমার মন অনেক আনন্দে ভরে ওঠে । যখন বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শ্রোতাবন্ধুরা ভারী চিঠির প্যাকেট দুতাবাসে পাঠান, তখন আমি আরো সরাসরিভাবে বাংলা বিভাগের প্রতি তাদের ভালোবাসা ও মনোযোগের বিষয়টি বুঝতে পারি ।
বাংলা বিভাগের সকল কর্মীদের পরিশ্রম শ্রোতাবন্ধুদের আন্তরিক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আমি বাংলাদেশে আসার পরে এত বেশি শ্রোতাবন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়েছে এবং যোগাযোগ হয়েছে যে, ভবিষ্যতে চীন ও বাংলাদেশের মৈত্রীর জন্য নিজের অবদান রাখার ব্যাপারে আরো বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছি। আমি জানি, আমার ৪ বছরের অভিজ্ঞতা বাংলা বিভাগের ৪০ বছর উন্নয়নের ইতিহাসে সামান্য সময়মাত্র। তবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বাংলা বিভাগের সকল কর্মীর পরিশ্রম প্রচেষ্টা ও শ্রোতাবন্ধুদের ব্যাপক সাহায্যে ভবিষ্যতে বাংলা বিভাগের উন্নয়ন আরও উজ্জ্বলতর হয়ে উঠবে।
বাংলা বিভাগের অনুষ্ঠান প্রচারের ৪০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আমি আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাই । গত ৪০ বছরে বাংলা বিভাগের উন্নয়নের জন্য করেছেন তাদেরসহ সকল কর্মীদের ধন্যবাদ জানাই । আশা করি, ভবিষ্যতে বাংলা বিভাগ আরও বেশি সুখবর ও নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করবে।
ছাও ইয়ান হুয়া |