v চীনের বিশ্ব কোষv চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগ
থাইল্যান্ডের ১৭টি প্রদেশ ইয়ুন নানের সঙ্গে " চারটি দেশের পর্যটনের লাইন" নির্ধারণ করবে
2008-12-05 21:19:37

    চীনের ইয়ুন নান প্রদেশের পর্যটন ব্যুরোর আমন্ত্রণে থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের ১৭টি প্রদেশের কর্মকর্তারা , পর্যটন বিভাগের নেতারা এবং সংবাদমাধ্যমকর্মী মোট ৪১জনকে নিয়ে গঠিত থাইল্যান্ডের একটি প্রতিনিধি দল থাইল্যান্ডের পর্যটন সমিতির চেয়ারম্যান এবং রাষ্ট্রীয় পর্যটন ব্যুরোর উত্তরাঞ্চলের পরিচালকের নেতৃতে গত ৯ নভেম্বর বিকালে ইয়ুন নান প্রদেশের খুন মিংয়ে পৌঁছায়।

    তারা খুন মিংয়ের পর্যটন ব্যবস্থা দু'দিন ধরে পরিদর্শন শুরু করেন। তবে এর আগের দুই দিনে থাইল্যান্ডের আরেকটি পর্যটন পরিদর্শন দল ইতোমধ্যেই ইয়ুন নান প্রদেশের সি শুয়াং পান নানের পর্যটন বাজারের দু'দিনব্যাপী পরিদর্শন করেছে।

যা সি শুয়াং পান নানের পর্যটন সমিতি এবং পর্যটন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করেছে। ফলে দু'পক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, মেকং নদীর " চারটি দেশের পর্যটন লাইন"-এর লক্ষ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।

    এ চারটি দেশ হচ্ছে চীন , লাওস , মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ড। এ লাইন চালু হলে পর্যটকরা চীনের লাইন ছাং অঞ্চলের মেকং নদী থেকে জাহাজ করে থাইল্যান্ড পৌঁছাবে, ফিরে যাওয়ার সময় পুনরায় মিয়ানমার থেকে সি শুয়াং পান নানে পৌঁছাবে। অথচ খুন মিং থেকে গাড়িতে লাওস হয়ে ব্যাংককে পৌঁছাবে আবার মিয়ানমার হয়ে চীনে ফিরে আসার কথা। এভাবে কেবল যে অনেক ইউরোপীয় ও আমেরিকার ভ্রমণকারী চীন ও আসিয়ানের মধ্যে চলাচল করতে পারবে তা নয়, বরং ব্যাপকভাবে এ অঞ্চলের পর্যটনের শক্তিরও উন্নয়ন করা যাবে।

    জানা গেছে, থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের ১৭টি প্রদেশের অনেক অধিবাসীই ইয়ুন নান প্রদেশের সি শুয়াং পান নানের তাই উপজাতির বংশদ্ভূত। সুতরাং তারা স্থানীয় তাই উপজাতির অধিবাসীদের সঙ্গে যোগাযোগের সময় ভাষাসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হয় না ।

    এ লাইন চালু হলে চীন, লাওস, মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডের অর্থনৈতিক , রাজনৈতিক ,এবং সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিষয় উন্নয়নের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে। এতে চারটি দেশের জনগণও অনেক উপকৃত হবেন। --ওয়াং হাইমান

  • সাক্ষাত্কার
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • অন-লাইন জরীপ
     
    © China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
    16A Shijingshan Road, Beijing, China