চীন সরকার ১৯৯৯ সালে সার্বিকভাবে পশ্চিমাঞ্চলের মহা উন্নয়ন প্রকল্প কার্যকর করার প্রস্তাব উত্থাপনের পর স্থানীয় অর্থনীতির দ্রুত প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান স্পষ্টভাবে উন্নত হয়েছে।
চীনের পশ্চিমাঞ্চলে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ছুংছিং, সিছুয়ান, কুইচৌ, ইয়ুননান, তিব্বত, শেনশি, কানসু, ছিংহাই, নিংসিয়া, সিনচিয়াং, অন্তর্মঙ্গোলিয়া ও কুয়াংসিসহ ১২টি প্রদেশ, স্বায়্ত্তশাসিত অঞ্চল ও কেন্দ্রশাসিত মহানগর। এ অঞ্চলগুলোর আয়তন সারা দেশের আয়তনের ৭০ শতাংশেরও বেশি এবং জনসংখ্যা হচ্ছে সারা দেশের জনসংখ্যার ৩০ শতাংশের কম। চীনের পশ্চিমাঞ্চল সম্পদে সমৃদ্ধ। কিন্তু প্রাকৃতিক, ঐতিহাসিক ও সামাজিকসহ নানা কারণে এ অঞ্চলগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা অপেক্ষাকৃত অনুন্নত।
১৯৯৯ সালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পঞ্চাদশ কেন্দ্রীয় কমিটির চতুর্থ পূর্ণাংগ অধিবেশনে গৃহীত 'চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংস্কার ও উন্নয়ন সংক্রান্ত কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সম্পর্কিত সিদ্ধান্তে' স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, চীন পশ্চিমাঞ্চলের মহা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কৌশল কার্যকর করবে।
২০০০ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত চীন সরকার ১.৩ ট্রিলিয়ন ইউয়ান রেনমিনপি বরাদ্দ করে পশ্চিমাঞ্চলের মহা উন্নয়নের জন্য ৯২টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চালু করেছে। ছিংহাই-তিব্বত রেলপথ, পশ্চিমাঞ্চলের গ্যাস চীনের পূর্বাঞ্চলে পাঠানো ও পশ্চিমাঞ্চলের বিদ্যুত্ চীনের পূর্বাঞ্চলে পাঠানোসহ নানা প্রকল্প পর পর সম্পন্ন হয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন শুরু করেছে। পশ্চিমাঞ্চলের উত্পাদনের মোট মূল্যের বার্ষিক বৃদ্ধির হার ১১.৬ শতাংশ পৌঁছেছে। এর পাশাপাশি আবাদি জমিতে পুনঃবনায়ন ও প্রাকৃতিক বন সংরক্ষণসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক নির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমাঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশও আরো উন্নত হয়েছে। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)
|