সিন হুয়া বার্তা সংস্থার এক খবরে জানা গেছে, চীনের সংস্কার ও উন্মুক্ত নীতি প্রণয়নের ৩০ বছরে চীনের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কাজ অগ্রগতি হয়েছে। গত ৩০ বছর চীনে গরপড়তা আয়ু আগের চেয়ে ৫ বছর বেশি, শিশুর জন্ম মৃত্যুর হার ৫৬ শতাংশ এবং গর্ভ ধারণকারী নারীদের মৃত্যুর হার ৬০ শতাংশ কম। এ তিনটি হচ্ছে সারা বিশ্বে একটি দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত মুল্যায়ণের মানদন্ড। তাতে চীনের স্বাস্থ্য উন্নয়নের প্রতীক।
গত ৩০ বছর চীনে আঞ্চলিক রোগ রোধ সংক্রান্ত কাজ স্থিতিশীলভাবে পরিচালিত হয়েছে। রোগীদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে এসেছে। একই সঙ্গে চীন এড্স, টুবেকাল, হেপাটিটিস বিসহ গুরুতর আক্রান্ত রোগ রোধের বিষয়টি জোরদার করেছে।
২০০৩ সালে চীন বিশ্বের বৃহত্তম গণ স্বাস্থ্য তথ্য সংক্রান্ত ইন্টারনেট রিপোর্ট ব্যবস্থা চালু করেছে। এর ফলে গুরুতর আক্রান্ত রোগের প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের দক্ষতা উন্নত হয়েছে।
২০০৭ সাল পর্যন্ত চীনে বিভিন্ন স্তরের ৩.১৫ লাখ স্বাস্থ্য সংগঠন ছিল। যাতে গ্রাম ও শহর মানষের স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা মৌলিকভাবে স্থাপিত হয়েছে। চীনের সব হাসপাতালের বিছানার আসন ১৯৭৮ সালের চেয়ে ৮১ শতাংশ বেশি। চিকিত্সকের সংখ্যাও ১৯৭৮ সালের চেয়ে ৮৪ শতাংশ বেশি। এ সংগঠনগুলোর সেবার দক্ষতাও অনেক উন্নত হয়েছে।
বর্তমানে বিভিন্ন স্বার্থকল ব্যবস্থা চীনের ১ বিলিয়নের বেশি লোকজনের ওপর ছড়িয়ে পড়েছে। যা গ্রাম ও শহরের মানুষের চিকিত্সা সুনিশ্চিত করেছে। (ওয়াং তান হোং) |