গত শতাব্দির শেষ দিকে কাও ওয়েন পিং -এর সংগীত বাজানোর দক্ষতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে । তিনি শিল্পী দলের জন্য সংগীত বাজানোর ক্ষেত্রে খুব উত্সাহী । চীনে সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের পাশাপাশি নগরায়নের গতিও দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে । চাকরি করার জন্য বিপুল সংখ্যক গ্রামীণ শ্রমিক শহরগুলোতে গিয়েছেন । ফলে গ্রামের স্থানীয় অপেরার বিকাশ অনেকটা ব্যাহত হয় এবং অচলাবস্থায় পড়ে যায় ।

এতে কাও ওয়েন পিং খুব চিন্তিত হয়ে পড়েন । শিল্পী দলের বেশ কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রী দল থেকে চাকরি ছেড়ে দেন । এটা দেখে কাও ওয়েন পিং খুব হতাশ হন ।

১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে চীনে শুধু হুয়া কু অপেরা নয় , সকল স্থানীয় অপেরা দলের অবস্থায় মন্দা ছিল । অচলাবস্থায় পড়েছিল । তখন শিল্পী দলের কর্মীরা দলের ভবিষ্যতের ওপর কোন আশা পোষণ করতেন না । তাদের মধ্যে অনেকে অন্য চাকরি বা ব্যবসা করতে চলে যান । বাজার অর্থনীতির আকর্ষণে তারা বেশি আয় করতে চান । স্থানীয় অপেরা তাদেরকে কোন আকর্ষণ করতে পারতো না ।

হুয়া কু অপেরার অভিনেত্রী লু সিয়াং লিয়ান কাও ওয়েন পিংয়ের সহকর্মী । অতীতের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে তিনি আবেগের সঙ্গে বলেন ,

তখন বেশ কিছু শিল্পী দল অচলাবস্থায় পড়ে যায় । শুধু তাদের হুয়া কু অপেরা শিল্পী দলটি কোন রকমে চলতো । শিল্পীরা বেতনও পেতে পারতেন না ।

সংসার ও পারিবারিক জীবনের জন্য শিল্পী দলের বহু কর্মী দলের চাকরি ছেড়েছেন । অন্য চাকরি করার জন্য কাও ওয়েন পিংয়ের স্ত্রীও তাকে অনুরোধ করেন । কিন্তু কাও ওয়েন পিং তার চাকরি ছেড়ে দিতে চান নি ।

তিনি নিজের অপেরা জীবন ভালবাসেন । সংসার ও পারিবারিক জীবনের প্রয়োজনীয় আয় করার জন্য তিনি অবসর সময় কৃষি কাজও করতেন । তিনি ও তার পরিবার পরিজন খুব কষ্টে দিন কাটাতেন । তার সহকর্মীরা চাকরি করার জন্য বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়েছিলেন । এটা দেখে তিনি খুব মর্মাহত হয়েছেন । কিন্তু সংগীত ও স্থানীয় অপেরা ভালবাসার কারণে তিনি অবশেষে শিল্পী দল থেকে সরে যান নি । তিনি হুয়া কু অপেরাসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক অপেরার বিকাশ ও দলের ভবিষ্যতের ওপর ব্যাপক আশাবাদী ।