হুয়াং ইয়াও শহরের মূল আকর্ষণ-এর সুসংরক্ষিত স্থাপত্য, যদিও সময়ের ঝপটা আর বৃষ্টি বাদলায় এগুলোর রং কিছুটা ফিঁকে হয়ে গেছে। তারপরও শতাব্দী প্রাচীন শত শত আবাসিক গৃহ, পূর্বপুরুষদের মন্দির, টাওয়ার আর প্যাভিলিয়নগুলো আজ অবধি এতো সুন্দর করে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে যে দেখলে বিস্ময় জাগে।
প্রাচীন কালে সহজ নৌ পরিবহনের কারণে হুয়াং ইয়াং হয়ে উঠেছিল একটি সমৃদ্ধ বাণিজ্য কেন্দ্র। স্থানীয় মানুষেরা মূলত বাণিজ্যিক কাজকর্ম করতেন এবং তাদের জীবনও যথেষ্ট সচ্ছল ছিলো। এ জন্য তাদের বেশির ভাগই পরিবারের প্রতি সম্মান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বার্থে বাড়ি নির্মাণের পেছনে অঢেল টাকা খরচ করেছিলেন।
অধিকাংশই ইটের দেয়াল আর কালো টালির দোতলা বাড়ি। প্রতিটি বাড়ি দারুন সব চিত্রকলা, বাহারি ইট, পাথর আর খোদাই করা কাঠ দিয়ে জাঁকজমক করে সাজানো। নাগরিক গৃহ সজ্জায় ব্যবহার হয় এমন কোনো আসবাব বা অলংকার এস ব বাড়ির ভেতরে খুঁজে পাওয়া যাবে না। প্রায় প্রতিটি কক্ষ চিরায়ত চীনা আসবাবে সাজানো যা বহু বছরের ব্যবহারেও আগের মতোই অক্ষত। এই বাড়িগুলোকে বলা হয় জীবন্ত জাদুঘর।
পূর্বপুরুষদের ২০টিরও বেশি মিলনায়তন ও মন্দির আবাসিক বাড়িগুলোর তুলনায় আরো বেশি জৌলুসপূর্ণ ও বিলাসবহুল, কারণ দেবতা ও তাদের পূর্বপুরুষদের প্রতি সম্মান জানানোর জন্যে এগুলো তৈরি করেছিলো বিত্তবান পরিবারগুলো।
প্রাচীন হুয়াংইয়াওয়ের পর আপনার ভ্রমণের পূর্নতা আনার জন্য চলে যেতে পারেন কুপো পর্বত জাতীয় অরণ্য উদ্যানে। দুশ্চিন্তার কিছু নেই মাত্র দেড় ঘন্টার বাসযাত্রা।
৮০ বর্গকিলোমিটারের এই উদ্যানের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে উঁচু পাহাড় চূড়া, গভীর উপত্যকা, ঘন প্রত্ন অরন্য, তাক লাগিয়ে দেওয়া জলপ্রপাত আর অসংখ্য ঝরনা। এই বিপুল অরন্যটি দেড় হাজারেরও বেশি প্রজাতির বন্য উদ্ভিদ ও জীবজন্তুর আবাস।
এই পর্বতে রয়েছে একগুচ্ছ উঁচু শৃঙ্গ, যার মধ্যে অন্তত ২৫টির উচ্চতা সমুদ্র সমতল থেকে এক হাজার মিটারের বেশি। সবচেয়ে উঁচু শৃঙ্গটির নাম 'স্বর্গ শীর্ষ', উচ্চতা প্রায় ১ হাজার ৮শ' মিটার।
1 2 3 |