আপনারা অবশ্যই জানেন বর্তমানে চীনে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চীনা সরকার ও জনগণ। তাই যদিও বসন্ত উত্সব চীনাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক উত্সব, তবে চলতি বছরের এ উত্সব অনেকে ভালভাবে পালন করতে পারেননি। কারণ অনেক চিকিত্সক, গবেষক ও নার্স করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধে দিনরাত ব্যস্ততার মধ্যে রয়েছেন। আমরাও আজকের 'বিদ্যাবার্তা' আসরটি করোনা ভাইরাসসংশ্লিষ্ট তথ্যাদি নিয়ে সাজিয়েছি।
শানতুং অনলাইন ক্লাস চালু
২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে চীনের উহান শহর থেকে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। এ পর্যন্ত ১৫ হাজারের বেশি মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। চীনের বিভিন্ন প্রদেশ ও অঞ্চলে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে স্কুল ও কিন্ডারগার্ডনসহ বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে বসন্তকালীন সেমিস্টার স্থগিত করা হয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করতে অনলাইন ক্লাস চালু হয়েছে চীনের কোনো কোনো স্থানে। শানতুং প্রদেশের থাই'আন শহর এর মধ্যে অন্যতম। থাই'আনের এক উচ্চবিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক শেন ওয়ে তাঁর অনলাইন ক্লাসের ভিডিও শুটিং করেন সম্প্রতি। ৪৫ মিনিটের ক্লাস রেকর্ডিং শেষ করে তিনি বিশ্রাম নেন। অনলাইন ক্লাস তাঁর জন্য নতুন বিষয়। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তিনি আরো ১০টি ক্লাস রেকর্ডিং করবেন।
চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী, নতুন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বিভিন্ন স্কুলের বসন্তকালীন সেমিস্টার শুরুর সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনা অনুসরণ করে শানতুং প্রদেশের বিভিন্ন শহরের স্কুলের শিক্ষকরা অনলাইন ক্লাস রেকর্ডিং শুরু করেন। আসলে, ২০১৪ সাল থেকেই চীনে 'ইন্টারনেট প্লাস' শিক্ষাদান পদ্ধতি চালু হয়। এ সম্পর্কে ছিংতাও শহরের নম্বর ২ মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক পরিচালক ইয়ান ইয়ুন লুং বলেন, 'আমাদের স্কুলে ২০০ জনেরও বেশি শিক্ষক রয়েছেন। এক বছরে তাঁরা অনলাইনে ছাত্রছাত্রীদের ১০ লাখেরও বেশি প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম। বর্তমানে স্কুল আগামী দুই সপ্তাহের ক্লাস রেকর্ডিং করার জন্য প্রস্তুত।'
অনলাইনে মানসিক স্বাস্থ্যসম্পর্কিত ক্লাসও চালু হতে যাচ্ছে। এভাবে শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা ঠিক রাখতে পরামর্শ দেওয়া হবে। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শানতুং প্রদেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক শ শিক্ষকও ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিনা খরচে অনলাইন ক্লাস নেবেন। এতে বাড়িতে থাকলেও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার কোনো ক্ষতি হবে না।