যুক্তরাষ্ট্রে চীনা দূতাবাসে দ্বিপাক্ষিক শিক্ষা বিনিময়ের ৪০তম বার্ষিকী পালন
চলতি বছর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিনিময়ের ৪০তম বার্ষিকী, এ উপলক্ষে সম্প্রতি চীনা দূতাবাসে উদযাপনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। মার্কিন থিংকট্যাংক কার্টার কেন্দ্র, স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও দু'দেশের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিসহ চার শতাধিক অতিথি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মার্কিন থিংকট্যাংক কার্টার কেন্দ্রের চীনা প্রকল্প পরিচালক লিউ ইয়া ওয়ে গত শতাব্দীর ৮০ দশকে যুক্তরাষ্ট্রে লেখাপড়া করেছেন এবং পরপর হাভাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি ও এমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তিনি বলেন,
'মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের সাথে কাজ করা আমার স্বপ্নের বাইরের ব্যাপার। আমার মনে হয়, আমার মতো যুক্তরাষ্ট্রে আসা শিক্ষার্থীরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সেতু, যারা দুই রাজনৈতিক ব্যবস্থা, ইতিহাস ও সংস্কৃতির বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।'
বিভিন্ন সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনে লেখাপড়া করতে আসা শিক্ষার্থীরাও নিজ নিজ অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তাঁরা মার্কিন যুবকদের চীনা ভাষা শেখার উত্সাহ দেন, যাতে চীনা সংস্কৃতি জেনে দ্বিপাক্ষিক বিনিময়ের দূতে পরিণত হতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ছুই থিয়ান খাই তাঁর অভিনন্দন-বার্তায় বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৪০ বছরের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন খাত ঘনিষ্ঠভাবে সংমিশ্রিত হয়েছে, বিশেষ করে অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও শিক্ষা, যা দু'দেশের মৈত্রীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ইতিহাস থেকে বোঝা যায়, দু'দেশের সহযোগিতা উভয়ের জন্য কল্যাণকর, সংঘাত দু'দেশের জন্যই ক্ষতিকর। সহযোগিতা হবে একমাত্র সঠিক পথ। রাষ্ট্রদূত ছুই আরো বলেন, বর্তমানে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জটিলতার সম্মুখীন হয়, দু'দেশের শিক্ষার্থীদের দু'দেশের জনগণের সমঝোতা ও আস্থা বাড়াতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করা উচিত। শিক্ষার মাধ্যমে সুন্দর ভবিষ্যত গড়ে তোলা যায়। সবার যৌথ সহযোগিতায় নতুন অধ্যায় উন্মোচিত হবে বলে কামনা করেন তিনি। তিনি বলেন,
'বর্তমানে কিছু কুসংস্কার ও শত্রুর চরম মন্তব্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তবে মৈত্রী, সহযোগিতা হবে মূল প্রবণতা, কারণ তা দু'দেশের জনগণের মৌলিক স্বার্থের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। জনগণ ইতিহাসের সৃষ্টিকারী এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অনুশীলনকারী। এ জটিল সময়ে আমাদের উচিত যৌথভাবে প্রচেষ্টা চালানো। বিনিময় ও আদান-প্রদান জোরদার করে পারস্পরিক আস্থা ও সমঝোতা বাড়াতে হবে। তা হবে শিক্ষা বিনিময়ের মূল ভূমিকা।'
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মারিয়ান ক্রেভেন বলেন,
'বিদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে লেখাপড়া করতে স্বাগত জানায় ওয়াশিংটন। দ্বিপাক্ষিক শিক্ষা বিনিময় প্রকল্পে অর্থ প্রদান করবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।'
প্রিয় শ্রোতা, সময় দ্রুত চলে যায়। আমাদের আজকের অনুষ্ঠানও এখানেই শেষ করতে হবে। এ অনুষ্ঠান সম্পর্কে কোনো মতামত থাকলে আমাদের চিঠি লিখতে ভুলবেন না। আমাদের যোগাযোগ ঠিকানা ben@cri.com.cn,caoyanhua@cri.com.cn
সময় মতো আমাদের অনুষ্ঠান শুনতে না পারলে বা শুনতে মিস করলে আমাদের ওয়েবসাইটে তা শুনতে পারবেন। ওয়েবসাইটের ঠিকানা: www.bengali.cri.cn
তাহলে এবার বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, থাকুন সুন্দর ও আনন্দে। আগামী সপ্তাহের একই দিনে একই সময়ে আবারো কথা হবে। যাই চিয়ান। (সুবর্ণা/টুটুল/শুয়ে ফেই ফেই)