১৯৯৬ সালে কাও সিয়াও সোং নিজ উদ্যোগে 'মেইথিয়ান সংগীত কোম্পানি' প্রতিষ্ঠা করেন। এ কোম্পানি পরে চীনের বৃহত্তম ডিস্ক কোম্পানি থাইহো মেইথিয়ানে পরিণত হয়। চীনের পপ সংগীত জগতের শ্রেষ্ঠ ব্যবস্থাপনা, নির্বাহী ও শিল্পী দল এ কোম্পানিতে রয়েছে। এ কোম্পানি চীনের প্রথম শ্রেণীর পপ সংগীত সৃষ্টি ও বিক্রির প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে কাও সিয়াও সোং চীনের একজন শীর্ষ পর্যায়ের সংগীত প্রযোজক।
প্রিয় বন্ধুরা, এখন আপনারা চেন ছু শেংয়ের গাওয়া 'পাতা ঝরার শব্দে শরত্কালের আগমন জেনে নেওয়া' নামের একটি গান শুনছেন। এ গানে বলা হয়েছে, 'একটি কাগজে বেশি কিছু লেখা যায় না। তুমি বুড়ো হয়ে গেছ, তাই স্বপ্নের জন্য আর পাগল হও না। তুমি শান্ত হয়েছো, সমুদ্রের ফুলের মতো। উল্কা আকাশ থেকে নেমে আসার পথে মনের কামনার কথা শুনেছে। তারপর তোমার পিছনে পড়ে গেছে। দেখো, একটি পাতা ঝরা থেকে আমরা জেনেছি শরত্কাল আসছে।'
কাও সিয়াও সোং একজন ভিন্ন ধারার শিল্পী। তিনি সবসময় ভিন্ন ধারার কাজ করার চেষ্টা করেন। তিনি গান লেখেন, টক শো উপস্থাপনা করেন, চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। কিন্তু তিনি কখনো গায়ক হতে চান না। তিনি বলেন, "আমি কখনোই গায়ক হতে চাই না। ছোটবেলা থেকে আমি মনে করি, গায়ক মঞ্চে দাঁড়িয়ে দর্শকদের জিজ্ঞেস করেন, 'পিছনের দর্শক বন্ধুরা, আপনারা ভালো আছেন?', না, না, আমি মনে করি, এটা ভালো নয়। আমার পরিবারও এটা গ্রহণ করে না। আমি পর্দার পিছনে কাজ করতে চাই। আমি একজন শিল্পী হতে চাই। গায়ক নয়। ফলে বড় হলেও আমি কখনো মঞ্চে যাই না।"
কাও সিয়াও সোং আর লাও লাং
শ্রোতা বন্ধুরা, এবার শুনুন 'একই বিছানায় ঘুমানো ভাই' নামে একটি গান। কাও সিয়াও সোং এ গানের কথা লিখেছেন এবং সুর করেছেন। গেয়েছেন তার বন্ধু লাও লাং। এ গান প্রসঙ্গে কাও সিয়াও সোং বলেন, একদিন বিজ্ঞাপন কোম্পানি থেকে কিছু টাকা আয় করার পর তিনি কয়েকজন বন্ধুকে দাওয়াত করেন। খাবার সময় একটি ফোন আসে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে একই রুমে একই বিছানায় ঘুমানো রুমমেট তাকে ফোন করেছে। ফোনে আলাপ শেষে কাও সিয়াও সোং হঠাত্ বলেন, একটি গান লিখতে হবে। এ গানের নাম দেওয়া হবে 'একই বিছানায় ঘুমানো ভাই'। এরপর এক ঘন্টার মধ্যে এ গানটি সৃষ্টি করেন তিনি।
১৯৯৭ ও ১৯৯৮ সালে কাও সিয়াও সোং ইউরোপ ও আমেরিকা ভ্রমণ করেন। এরপর তিনি 'দেওয়ালে লেখা চেহারা' নামে একটি উপন্যাস এবং 'সে সময় ফুল ফোটে' শিরোনামে একটি নাটক লেখেন। ১৯৯৯ সালে 'সে সময় ফুল ফোটে' সিনেমাটি পরিচালনা করেন তিনি। ২০০০ সালের মার্চে তার উপন্যাস 'দেওয়ালে লেখা চেহারা' প্রকাশিত হয়। এই বই ১ লাখ ৮০ হাজার কপি বিক্রি হয়েছে। ২০১৫ সালের ১৫ জুলাই আলিবাবা গ্রুপ 'আলি সংগীত গ্রুপ' প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দেয়। কাও সিয়াও সোং 'আলি সংগীত গ্রুপ'-এর বোর্ডের চেয়ারম্যান। দেখুন, কেউ জানেন না ভবিষ্যতে কাও সিয়াও সোং আরও কী করতে পারবেন!
বন্ধুরা, 'সুর ও বাণী' আসরে আমি চীনের বিখ্যাত সুরকার কাও সিয়াও সোংয়ের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিলাম। আশা করি, তার গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজ এ পর্যন্তই। আজকের মত আমি বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকুন। আবার কথা হবে। (ইয়ু/মান্না)