ওয়াং ফাং
বন্ধুরা, এখন আপনারা শুনছেন ওয়াং ফাংয়ের গাওয়া 'প্রস্ফুটিত প্রাণ' নামের গানটি। গানটিতে বলা হয়েছে, আমরা প্রস্ফুটিত প্রাণ চাই। নিরন্তরভাবে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। শেষে পর্যন্ত আমরা সাফল্য অর্জন করবোই।
প্রথমদিকে চীনের রক সংগীত জগতে প্রধানত গায়করাই তত্পর ছিলো। পরে কিছু গায়িকাও এগিয়ে এসেছেন। মঙ্গোলিয় মেয়ে সিছিনগেরিল তাদের মধ্যে একজন। তাকে চীনের নতুন রক সংগীতের প্রথম গায়িকা বলা হয়। তিনি একটি রক ব্যান্ডের বেস বাদক ছিলেন। পরে যখন তিনি নিজেই গান গাইতে শুরু করেন তখন তার উচু কণ্ঠ ও প্রাণবন্ত রক ছন্দ দর্শকদের মুগ্ধ করে। তার প্রতিনিধিত্বকারী গান হলো 'পাহাড়ি গান বসন্তের নদীর পানির চেয়েও সুন্দর'। শুনুন, কেমন লাগে?
সিছিনগেরিল
বন্ধুরা, রক সংগীত প্রথম ইউরোপ ও আমেরিকা থেকে শুরু হয়েছে। ১৯৯০ সালে চীনের 'আধুনিক রক' প্রচার শুরু হয়। চীনের শিল্পীরা রক সংগীতে সমাজ ও জীবনের চিন্তাভাবনা আরো বেশি যোগ করেছেন।
সময়ের অভাবে 'সুর ও বানী' আসরে আপনাদের চীনের রক সংগীতের পুরো কাঠামো সম্পর্কে বলতে পারছি না। তবে কয়েকটি প্রতিনিধিত্বকারী গান শুনে আপনাদের চীনের রক সংগীত সম্পর্কে কিছু ধারণা হবে।
শু ওয়েই
অনুষ্ঠান শেষে শুনুন 'সেই বছর' নামের একটি গান। গেয়েছেন শু ওয়েই। তিনি গেয়েছেন, 'আমি সবসময় মনে করি, আগামীকাল খুব সুন্দর হবে। আদর্শ বিশ্ব উজ্জ্বল আলোর মতো তোমার মনকে উজ্জ্বল করবে। বহু বছর ধরে তুমি দৌঁড়াতে থেকেছ। কখনো থামোনি। একদিন তুমি ব্যস্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে দিক হারিয়ে ফেললে। তুমি দিক খুঁজতে থাকো। আগের শক্তি খুঁজতে থাকো। যখন তুমি তরুণ ছিলে'।
বন্ধুরা, এতোক্ষণ আপনারা 'সুর ও বানী' আসরে চীনের কয়েকটি রক সংগীত শুনলেন। গানগুলো আপনাদের কেমন লেগেছে? আমাকে লিখে জানালে ভালো লাগবে।
আজ এ পর্যন্তই। আমি বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকুন। আবার কথা হবে। (ইয়ু/মান্না)