পরে তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এরপর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে শিশু সমাবেশ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া একই স্থানে বইমেলার উদ্বোধন ও সেলাইমেশিন বিতরণ করেন তিনি।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘীরে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে কি ধরনের কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে তা জানতে আমরা সেখানে কথা বলেছি বাংলাদেশ বেতারের উপস্থাপক শামীম আহমেদ-এর সাথে।
এছাড়া চীন বেতারকে বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো: জয়নাল আবেদীন এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: শহীদুল ইসলাম চৌধুরী। দিবসটি উপলক্ষে আমরা আরো কথা বলেছি শিশু কিশোরদের সাথে।
উল্লেখ্য, শিশু দিবস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময় পালিত হয়। বিশ্বব্যাপী শিশুদের সম্মান করতে এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। শিশু দিবসটি প্রথমবার পালন করা হয়েছিল ১৯২০ সালের ২৩ এপ্রিল তুরস্কে। সারা বিশ্বে "বিশ্ব শিশু দিবস" পালন করা হয় ২০ নভেম্বর এবং "আন্তর্জাতিক শিশু দিবস" পালন করা হয় ১ জুন। বাংলাদেশে প্রতি বছর ৩ চৈত্র বঙ্গাব্দ এবং ১৭ মার্চ খ্রিস্টা্ব্দে দিবসটি উদযাপন করে। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর দরদ ছিল অপরিসীম। তাই তাঁর জন্মদিনকে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে জাতীয় শিশু দিবস ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৬ সালে ১৭ মার্চ প্রথম বাংলাদেশে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়।
বলাবাহুল্য, ১৯২০ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায় সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান ও মাতার নাম সায়েরা খাতুন। পিতা-মাতার চার কন্যা এবং দুই পুত্রের সংসারে তিনি ছিলেন তৃতীয়। কিশোর বয়সেই শেখ মুজিবুর রহমান সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে তৎকালীন বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে তাকেঁ প্রথমবারের মতো গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করতে হয়। এরপর থেকে শুরু হয় তাঁর বিপ্লবী জীবন। বঙ্গবন্ধুর গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, আত্নত্যাগের কারণে পরবর্তিতে তিনি হয়ে ওঠেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, মুক্তিযুদ্ধের পথ প্রদর্শক। বিশ্ব ইতিহাসে ঠাঁই করে নেন স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার হিসেবে। বিবিসি'র এক জরিপে তিনি নির্বাচিত হন 'সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি'।
আজকের শিশুরাই আগামীর সক্ষম নাগরিক। তাই শিশু-কিশোরদের চারিত্রিক দৃঢ়তার পাশা-পাশি তাদেঁর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ নিশ্চিত হোক এ বছরের শিশু দিবসের প্রত্যয়। জয় হোক সকল শিশুর।
দিদারুল ইকবাল
চীন আন্তর্জাতিক বেতার
বাংলাদেশ।